English Version
আপডেট : ২৪ জুলাই, ২০১৮ ১৭:০৯

মসজিদের দান বাক্সে ৮৮ লাখ টাকা!

অনলাইন ডেস্ক
মসজিদের দান বাক্সে ৮৮ লাখ টাকা!

কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দান বাক্স থেকে ৮৮ লাখ ২৯ হাজার ১৭ টাকা পাওয়া গেছে। ৩ মাস বিরতির পর সম্প্রতি এই মসজিদের দান বাক্সে জমা থাকা অর্থ ও স্বর্ণালঙ্কারের হিসেব করা হয়। টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার ছাড়াও দান হিসেবে অনেক বৈদেশিক মুদ্রাও পাওয়া গেছে।

জেলা প্রশাসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে পাগলা মসজিদের ৫টি দান বাক্স খোলা হয়। প্রথমে দান বাক্স থেকে টাকা খুলে বস্তায় ভরা হয়। এরপর শুরু হয় টাকা গণনা। টাকা গণনার কাজ তদারক করেন কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) তরফদার মো. আক্তার জামীল, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আলমগীর হোসাইন, জ্যেষ্ঠ নির্বাহী হাকিম আবু তাহের মো. সাঈদ। এ সময় সিন্দুক খোলা কমিটির সদস্যরা ছাড়াও প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, মসজিদ পরিচালনা কমিটির সদস্য এবং সার্বক্ষণিক দায়িত্বরত কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

জানা যায়, প্রতিদিন জেলার বিভিন্ন অঞ্চলের বাসিন্দা ছাড়াও দূর-দূরান্ত থেকে অসংখ্য মানুষ তাদের মনের আশা পূরণ ও মানতের জন্য পাগলা মসজিদে বিভিন্ন ধরনের জিনিসপত্র দান করে থাকেন। শহরের গাইটাল এলাকার নরসুন্দা নদীর তীরে অবস্থিত এই মসজিদ। 

জ্যেষ্ঠ নির্বাহী হাকিম আবু তাহের মো. সাঈদ বলেন, এবার ৮৮ লাখ ২৯ হাজার ১৭ টাকা পাওয়া গেছে। দান বাক্সের টাকা ব্যাংকে জমা করে রাখা হবে।

কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও মসজিদ কমিটির সভাপতি মো. সারওয়ার মুর্শেদ চৌধুরী বলেন, দেশের অন্যতম আয়কারী ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃত এই মসজিদের দান বাক্সের টাকা ব্যাংকে জমা করে রাখা হয়। যে স্বর্ণালঙ্কার পাওয়া গেছে, তা আগের স্বর্ণালঙ্কারের সঙ্গে যোগ করে রাখা হয়েছে। এই আয় থেকে ওই মসজিদ ও মসজিদসংলগ্ন এতিমখানার খরচ ছাড়াও অন্যান্য মসজিদের উন্নয়নমূলক কাজ, দরিদ্র রোগীদের চিকিৎসাসহ নানা সেবামূলক খাতে অর্থ সাহায্য করা হয়ে থাকে।