বিখ্যাত কিছু মানুয়ের অদ্ভুত অভ্যাস যা আপনাকেও অবাক করবে!

বিখ্যাত তারাই যারা পৃথিবীতে বিভিন্ন ভাবে অনন্য অবদান রেখে গেছেন। এই সমস্ত ব্যক্তিরাই আমাদের মাঝে অনুকরণীয়-অনুসরণীয় হয়ে রবেন সব সময়।
আপনি জানেন কী এই বিখ্যাত মানুষ গুলোর ভিতরে অদ্ভূত কিছু অন্যরকম অভ্যাস রয়েছে। আসুন জেনে নেওয়া যাক তাদের সেই সব অদ্ভূত অভ্যাসগুলো সম্পর্কে- আগাথা ক্রিস্টি আগাথা ক্রিস্টি, তিনি লেখালেখি করতেন, যখনই লেখার ইচ্ছে হতো শুধু তখনই লিখতেন। তিনি কোনো সময় ধরাবাধা চেয়ার টেবিলে লিখতেন না। হোক সেটা হোটেলে কিংবা হোক সেটা রান্নাঘরে। আগাথা ক্রিস্টি টাইপ রাইটারে লিখতেন। এই ভদ্রলোক আবার কখনো কখনো তার দুপাশে বইয়ের দেয়াল বানিয়ে মাঝখানে বসে লিখতেন। অপরদিকে, লেখক মার্ক টোয়েন সবসময় বিছানায় শুয়ে লিখতেন। এ ছাড়া তিনি লিখতে পারতেন না। লিওনার্দো দা ভিঞ্চি লিওনার্দো দা ভিঞ্চি, ইতালীয় রেনেসাঁসের কালজয়ী চিত্রশিল্পী। এই চিত্রশিল্পী দিনে ছোট ছোট সময় বের করে নিয়ে কয়েকবার ঘুমাতেন। তিনি এভাবেই করেই তার সকল আবিষ্কারগুলো করেছিলেন। অপরদিকে, বিদ্যুৎ সরবরাহ পদ্ধতির জনক নিকোলা টেসলা দিনে ২ ঘণ্টার বেশি ঘুমাতেন না। অনরে দ্য বালজাক অনরে দ্য বালজাক, তিনি বিখ্যাত ফরাসি ঔপন্যাসিক এবং নাট্যকার। এই ঔপন্যাসিক তার জীবনে প্রায় ১০০টি উপন্যাস রচনা করেছেন। তিনি ধারাবাহিকতা বজায় রেখেই এ উপন্যাস রচনা করেছেন। এই বিশাল রচনাণ্ডারকে একত্রে La Comédie Humaine বলা হয়। অবাক করা মতো ঘটনা মনে হলেও তিনি দিনে ৫০ কাপের বেশি কফি খেতেন। ফরাসি এই ঔপন্যাসিকের ব্যাপারে বলা হয়ে থাকে তিনি ৩ ঘণ্টা বিরতি নিয়ে টানা ৪৮ ঘণ্টা করে কাজ করতেন। চার্লস ডিকেন্স চার্লস ডিকেন্স, তিনি ঊনবিংশ শতকের অন্যতম বিখ্যাত ইংরেজ ঔপন্যাসিক। এই ঔপন্যাসিক তার টেবিলের আশেপাশে চুল খুব অপছন্দ করতেন। প্রতিদিন বিখ্যাত এই ইংরেজ ঔপন্যাসিক কাজ শুরু করার আগে মাথার চুল সুন্দর করে চিরুনি করে নিতেন। চার্লস ডিকেন্স লেখার জন্য একজন সহকারী রাখতেন তিনি বলতেন আর সহকারী লিখতেন। মাঝে মধ্যে যখন তিনি লিখতে পারতেন না তখন ১০ মাইল করে হাঁটতেন তারপর সে হারিয়ে যেতেন। এরপরই লেখার মুড আসলে বাড়ি ফিরে লিখতে বসে যেতেন। পিথাগোরাস পিথাগোরাস, এই গ্রিক গণিতবিদ কখনই মাংস খেতেন না। তিনি সারা জীবন নিরামিষভোজী ছিলেন।