English Version
আপডেট : ২৩ ডিসেম্বর, ২০১৭ ১৬:৫৬

মায়ের মাথা কেটে বল খেলেন এই বিকৃত নরখাদক!

অনলাইন ডেস্ক
মায়ের মাথা কেটে বল খেলেন এই বিকৃত নরখাদক!

মাত্র ২৫ বছর বয়সের মধ্যে ৮ জনকে খুন করে সে। যাদের মাঝে সবাই মহিলা। ৬ জন শিক্ষার্থী, বাকি দুজন তার মা এবং মায়ের বান্ধবী। তিনি হলেন এডমুন্ড এমিল কেম্পার। অপরাধ দুনিয়ায় তার আরো পরিচয় আছে‚ কসাই নামে। তিনি একাধারে সিরিয়াল কিলার‚ ধর্ষক‚ সমকামী এবং নরখাদক। এডমুন্ডের জন্ম ১৯৪৮ সালে আমেরিকার ক্যালিফর্নিয়ায়।

কৈশোরেই তার উচ্চতা দাঁড়ায় ৬ ফিট ৪ ইঞ্চি। মা মাঝে মাঝেই ছেলের উচ্চতা নিয়ে ঠাট্টা তামাশা করতেন। মায়ের উপর আক্রোশ মেটাতে এডমুন্ড জ্যান্ত পুঁতে ফেলল পোষা বিড়ালকে। তারপর মাটি খুঁড়ে বিড়ালের দেহ বের করে তার মাথা কেটে ফেলে ১৫ বছর বয়সী এডমুন্ড। এডমুন্ডের মানসিক অবস্থার আরো অবনতি হয়‚ যখন তার বাবা মায়ের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে যায়। ১৫ বছর বয়সী এডমুন্ড থাকতে যায় দাদা-দাদির কাছে। সেখানে গিয়ে এই কিশোর খুন করে নিজের দাদিকে। কারণ সে জানতে চেয়েছিল‚ নিজের দাদিকে খুন করলে কেমন লাগে! খুন করে দাদাকেও। কেন? সে চেয়েছিল‚ ভদ্রলোক বুঝুক‚ স্ত্রী মারা গেলে কেমন লাগে! ধরা পড়ার পরে নাবালক অপরাধী হিসেবে এডমুন্ডের স্থান হয় সংশোধনাগারে। সাইকোটিক‚ প্যারানয়েড স্কিজোফ্রেনিক এডমুন্ডের মানসিক চিকিৎসা চলে। কিন্তু তাতে যে কোনো কাজ হয় না‚ সেটা বোঝা যায় তার মুক্তির পরেই। মুক্তির পরে এডমুন্ড থাকতে যান মা‚ ক্লারনেলের কাছে। ততদিনে দ্বিতীয়বার বিয়ে করেছেন ক্লারনেল। এবার এডমুন্ডের মধ্যে রক্তের স্বাদ। আবারও খুন করলেন আর একটা পোষা বিড়ালকে। তারপর শিকার ধরতে বেরোলেন রাস্তায়‚ গাড়ি চালিয়ে। যে সব কিশোরীরা হিচ হাইকিং করে ঘোরে রাস্তায়‚ তাদের নিশানা করতেন তিনি। তার ভদ্র মুখ দেখে কিছু না ভেবেই গাড়িতে উঠে পড়ত মেয়েরা। প্রতি বার একটি করে মেয়েকে গাড়িতে তুলতেন এডমুন্ড। তারপর নিয়ে যেতেন নিজের বাড়িতে। সেখানে শ্বাসরোধ করে খুন করতেন শিকারকে। মৃতদেহের সঙ্গে রাত কাটিয়ে পরে কেটে ফেলতেন তাদের মাথা। আক্ষরিক অর্থেই বল খেলতেন কাটা মুণ্ডু নিয়ে! এরপর লোপাট করে ফেলতেন গোটা দেহটাই। এভাবে ৬ জন কিশোরীকে নিকেশ করার পরে একদিন ঘুমন্ত মাকে খুন করেন এডমুন্ড। প্রথমে মাথায় হাতুড়ি মেরে‚ তারপর গলা কেটে খুন করেন ৫২ বছর বয়সী ক্লারনেলকে। এরপর মায়ের মৃতদেহের সঙ্গেও যৌন সঙ্গমে লিপ্ত হন এই বিকৃতকামী। মৃত্যের মাথা কেটে সেটি নিয়ে বল খেলেন এডমুন্ড। তারপর দেহাংশ লুকিয়ে রাখে আলমারিতে।

এখানেই শেষ নয়। এবার এডমুন্ড বাড়িতে ডাকেন মায়ের বান্ধবী সারাকে। ডিনার এবং সিনেমা দেখার জন্য। কিছু না বুঝে ফাঁদে পা দেওয়ার ফলে ৫৯ বছর বয়সী সারার পরিণতিও হয় বান্ধবীর মতোই। দুটি দেহ আলমারিতে রেখে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যান এডমুন্ড। পরে নিজেই পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেন। শাস্তি হয় আজীবন কারাদণ্ড। এখন তিনি জেলবন্দি। শোনা যায়‚ আর প্যারলে বাইরে আসতেও চান না তিনি। এই বিকৃত নারী ঘাতক জানিয়েছেন‚ তার জেলে থাকতেই ভালো লাগে।