বিশ্বরেকর্ড গড়া ৯১৮ কেজির খিচুরি, অজানা যত তথ্য!

ভারতের দিল্লিতে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক খাদ্য উৎসবে ৯১৮ কেজি খিচুড়ি রান্না করে বিশ্বরেকর্ড গড়া হয়েছে। এর ফলে মিলেছে গিনেস বুকে স্বীকৃতি। তবে প্রাথমিকভাবে লক্ষ্য ছিলো ৮০০ কেজি খিচুড়ি রান্নার। পরবর্তী ধাপে নরেন্দ্র মোদি সরকার ভারতের এই 'সুপার ফুড'কে পুরো পৃথিবীতে জনপ্রিয় করার পরিকল্পনা নিয়েছে।
ইন্ডিয়া গেট প্রাঙ্গনে রান্না করা হয়েছে এই খিচুড়ি। চাল-ডাল বাছা, মশলা-তেলের জোগাড়, সবই সেরে রাখা হয়েছিল রাতের মধ্যেই। সকালে রান্না শুরু করেন বিখ্যাত রাঁধুনি সঞ্জীব কাপুর। তাঁকে সাহায্য করার জন্য ছিলেন ৫০ জন স্বেচ্ছাসেবী। মাঝে রান্নায় ফোড়ন দিয়ে খুন্তি নেড়ে যান যোগগুরু রামদেব এবং কেন্দ্রীয় খাদ্য প্রক্রিয়াকরণমন্ত্রী হরসিমরত কৌর।
রান্না শেষে ক্রেন দিয়ে বিশাল হাঁড়িটিকে ওজন করালে দেখা যায়, মোট ৯১৮ কেজি খিচুড়ি রান্না হয়েছে। আয়োজকেরা দাবি করেন, এটি বিশ্বরেকর্ড। এ দিন রান্না ও ওজন করার সময়ে হাজির ছিলেন গিনেস বুকের প্রতিনিধিরাও।
সেই রেকর্ডের পেছনের ৮ চমকপ্রদ তথ্য-
১। বিখ্যাত শেফ সঞ্জীব কাপুরের নেতৃত্বে রান্না করা হয় ৯১৮ কেজি খিচুড়ি।
২। রান্নায় হাত লাগান যোগগুরু রামদেব, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ দফতরের মন্ত্রী হরসিমরত কউর বাদল ও সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতি। রামদেব তড়কা দেন খিচুড়িতে।
৩। ১২০০ কেজি ওজনের একটি কড়াইতে রান্না করা হয় এতটা খিচুড়ি। চাল, ডাল, জোয়ার, বাজরা ও সব্জি দিয়ে রান্না করা হয়।
৪। চাল ও ডাল সরবরাহ করে খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ দফতর। এছাড়া টাটা বিভিন্ন মশলা দেয় ও পতঞ্জলী ঘি দেয়।
৫। ৫০০ কেজি চাল, ৩০০ কেজি ডাল ও ১০০ কেজি ঘি ব্যবহার করা হয়েছে খিচুড়ি বানাতে।
৬। এই রান্না করা খিচুড়ি বিতরণ করা হয় অক্ষয়পত্র ফাউন্ডেশনের অনাথ শিশু ও গুরুদ্বারে ৬০ হাজার মানুষের মধ্যে।
৭। খিচুড়ির অনেক খাদ্যগুণ রয়েছে বলে দাবি করেন রামদেব। তার মতে খিচুড়িকে ‘ব্র্যান্ড ইন্ডিয়া’ খাবার হিসেবে তুলে ধরার উদ্যোগ প্রশংসনীয়।
৮। গ্রেট ইন্ডিয়ান ফুড স্ট্রিট-এর অঙ্গ হিসেবেই এই খিচুড়ি রান্না করা হয়। এখানে ২০টি রাজ্যের ঐতিহ্যবাহী খাবারও পরিবেশন করা হয়।