কুমিল্লায় বিরল প্রজাতির পাখি উদ্ধার

কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার গুনাইঘর দক্ষিণ ইউনিয়নের কাসারীখলা এলাকার সবজিক্ষেত থেকে একটি বিরল প্রজাতির সিনোরাস ভালচাড় (শুকুন) উদ্ধার করা হয়েছে। পরে এটি দেবিদ্বার উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার তত্ত্বাবধানে ও উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের সহযোগিতায় রোববার ঢাকা মিরপুর জাতীয় চিড়িয়াখানায় হস্তান্তর করা হয়।
জানা যায়, উপজেলার গুনাইঘর দক্ষিণ ইউনিয়নের কাসারীখলা এলাকার মো: আবুল কাশেমের ছেলে নজরুল ইসলাম গত বুধবার সবজিক্ষেতে কাজ করতে গেলে সেখানে একটি বিরল প্রজাতির পাখি দেখতে পান। পাখিটি উড়াল দিয়ে কয়েক হাত দূরে গিয়ে মাটিয়ে পড়লে তিনি ওই পাখিটিকে ধরে বাড়িতে নিয়ে আসেন। তার বাড়িতে দুই দিন রাখেন।
পরে পাখিটিকে দেবিদ্বার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: সাইফুল ইসলামের নির্দেশনায় গুনাইঘর দক্ষিণ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এম এ হাকিম খান বিরল প্রজাতির শুকুনটিকে তার নিজ বাড়ি মাসিকাড়া নিয়ে আসেন।
ওই বিরল প্রজাতির মূল্যবান পাখির সংবাদ গ্রামে ছড়িয়ে পড়লে আশপাশের শত শত উৎসুক জনতা একনজর দেখার জন্য ছুটে আসেন। গত বৃহস্পতিবার সকালে পাখিটি অসুস্থ হয়ে পড়লে দেবিদ্বার উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা পাখিটিকে উদ্ধার করে দেবিদ্বার প্রণিসম্পদ হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন।
গত শুক্রবার দেবিদ্বার উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা এ এফ এ এম ডা: মো: রকিবুল হাসান ভূঁইয়ার সার্বিক তত্ত্বাবধায়নে নজরুলকে নিয়ে গতকাল ঢাকা মিরপুরের জাতীয় চিড়িয়াখানার পাখি শাখার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ডা: আনোয়ার শাহদাতের কাছে হস্তান্তর করেন।
দেবিদ্বার উপজেলার ১০ নম্বর দক্ষিণ গুনাইঘর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এম এ হাকিম খান বলেন, বিরল প্রজাতির পাখি আমাদের জাতীয় সম্পদ। তাই ওই বিশাল শকুন পাখিটি উদ্ধার করে ইউএনওর নির্দেশনায় উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার মাধ্যমে চিকিৎসা দিয়ে গতকাল চিড়িয়াখানায় প্রেরণ করা হয়েছে।
দেবিদ্বার উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা এ এফ এ এম ডা: মো: রকিবুল হাসান ভূঁইয়া জানান, শকুনটিকে হাকিম চেয়ারম্যানের গ্রামের বাড়ি থেকে উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে আমি ও কৃষক নজরুলসহ গতকাল ঢাকা মিরপুর বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ডা: আনোয়ার শাহদাতের কাছে হস্তান্তর করেছি।