English Version
আপডেট : ১০ নভেম্বর, ২০১৬ ১০:৩৬

আপনার ঘুমের ধরনই বলে দেবে নানা তথ্য

অনলাইন ডেস্ক
আপনার ঘুমের ধরনই বলে দেবে নানা তথ্য

আপনি কি জানেন, রাতে কিভাবে ঘুমান তার ওপর নির্ভর করে আপনার দিনের মুড পরিবর্তিত হয়? আর এ কারণেই এখন ঘুমানোর ধরন নিয়ে সতর্ক হওয়ার কথা বলছেন গবেষকরা। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে এএফপি।

বহু বছর ধরেই কিভাবে ঘুমালে কেমন প্রতিক্রিয়া হয় তার ওপর গবেষণা করছেন গবেষকরা। আর এসব গবেষণার ভিত্তিতে জানা গেছে, ডান পাশে কিংবা বাম পাশে ফিরে ঘুমানোরও প্রভাব রয়েছে কার্যকলাপের ওপর। এসব বিষয় নিয়ে এখনো গবেষণা চলছে বলে জানাচ্ছেন গবেষকরা।

দিনের শুরুটি ভালোভাবে করতে চাইলে রাতে বাম পাশে ফিরে ঘুমানোই সবচেয়ে ভালো। এ বিষয়ে কিছু তথ্য সংগ্রহ করেছে যুক্তরাজ্যের বিছানা প্রস্তুতকারক সংস্থা সিলি ইউকে। প্রতিষ্ঠানটি এক হাজার মানুষকে এ বিষয়ে নানা প্রশ্ন করেছে এবং তার ফলাফল লিপিবদ্ধ করেছে। এর ফলাফলের ভিত্তিতে তারা জানিয়েছে, সাধারণত আপনি যদি বাম পাশে কাত হয়ে ঘুমান তাহলে অনেক বন্ধু থাকার সম্ভাবনা আট শতাংশ বেশি হয়। এছাড়া নিজের কাজকেও আপনার পছন্দ করার সম্ভাবনা বেশি থাকে। এছাড়া এ ধরনের মানুষদের চার শতাংশ ভালো মুড নিয়ে ঘুম থেকে জেগে ওঠে এবং তাদের সাড়ে নয় শতাংশ জীবনের নানা ক্ষেত্রে আরো ইতিবাচক হয়।

অন্যদিকে যারা ডান পাশে কাত হয়ে ঘুমায় তাদের নয় শতাংশ নিজের সঙ্গই পছন্দ করে। এছাড়া তাদের সাত শতাংশ ঘুম থেকে জেগে ওঠে বাজে মুড নিয়ে এবং পাঁচ শতাংশ হতাশাপূর্ণ হয় এবং তিন শতাংশ নিজের কাজকে ঘৃণা করে।

গবেষণাটিতে আরো দেখা গেছে, ব্রিটিশরা মূলত একা ঘুমাতেই পছন্দ করে। তাদের মাঝে ৩৬ শতাংশ জানিয়েছে এর পেছনের কারণ সঙ্গীর নাক ডাকা কিংবা অনুরূপ কোনো সমস্যা।

এছাড়া ঘুমের ধরনের ওপর নির্ভর করে আপনার সঙ্গে সঙ্গীর সম্পর্ক কেমন। যেমন মনোবিদ রিচার্ড ওয়াইজম্যান এক হাজার মানুষের ঘুমের ওপর গবেষণায় দেখেন যারা সঙ্গীর সঙ্গে সর্বোচ্চ আড়াই সেন্টিমিটার দূরত্ব রেখে ঘুমান তারা সম্পর্কের ক্ষেত্রে সুখী।

এছাড়া জানা গেছে, যারা সোজা হয়ে দুপাশে হাত রেখে অনেকটা পুতুলের মতো করে ঘুমান তারা সাধারণ অনুগত ও সৎ হন। এ ধরনের মানুষ প্রায় আট শতাংশ। এছাড়া দেখা গেছে, প্রায় সাত শতাংশ মানুষ উপুর হয়ে ঘুমায়। তাদের মাথা অবশ্য এক পাশে কাত করাই থাকে। এ ধরনের মানুষ স্বপ্নবিলাসী ও সংবেদনশীল হয়। কখনো কখনো এদেরকে বেপরোয়া হতেও দেখা যায়। আরেক ধরনের মানুষের কথা জানা যায় যারা অনেকটা ভ্রুণের মতো করে ঘুমান। এ স্টাইলকে চিংড়ি মাছের মতো স্টাইলও বলা হয়। এ ধরনের মানুষেরা আবেগপ্রবণ, সংবেদনশীল ও সর্বদা আঘাত পাওয়ার আশঙ্কায় থাকেন।