ঘুড়ির সুতোতে প্রান হারালো শিশু সাঞ্চি

ঘুড়ির সুতোতে মাঞ্জা দেওয়া হয় অন্যর ঘুড়ি কাটার উদ্দেশ্যে। কিন্তু মাঞ্জা সুতোতে প্রান কেড়ে নেই সেই ধারণা ছিল না ভারতের দিল্লির অধিবাসীদের। ফলে মাঞ্জা লাগানো ঘুড়ির সুতা পেঁচিয়ে বেশ কিছু মানুষের আহত ও নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটে সেখানে।
সেই হতভাগ্যদের মধ্যে একজন ছোট্ট মেয়ে সাঞ্চি গোয়েল। বাবা-মায়ের চোখের সামনে সেই শিশুর অসহায় ও ভয়াবহ মৃত্যুর কথা সম্প্রতি সামনে এসেছে।
স্বাধীনতা দিবসে বাবা-মায়ের সঙ্গে গাড়ি চড়ে বেড়াতে বেরিয়েছিল ৫ বছর বয়সী সাঞ্চি। তার বাবা অলোক গাড়ি চালাচ্ছিলেন। আর পাশের সিটে মায়ের কোলে বসে ছিল সাঞ্চি। হঠাৎ সাঞ্চি বায়না ধরে যে, সে জানলা দিয়ে মুখ বার করবে।
অলোক বলেন, জানলা দিয়ে মুখ বার করাটা বিপদ্জনক। তার চেয়ে বরং গাড়ির ছাদের একটি অংশ তিনি খুলে দিচ্ছেন, সেখান দিয়ে মাথা তুলে দাঁড়াক সাঞ্চি। অলোকের কোনও ধারণাই ছিল না যে, গাড়ির উপরে মাথা বার করায় বিপদ আরো বেশি। মায়ের কোলে উঠে গাড়ির ছাদের উপরে সাঞ্চি মাথা তুল দাঁড়ানোর কিছুক্ষণের মধ্যেই একটি মাঞ্জা দেওয়া ঘুড়ির সুতো জড়িয়ে যায় সাঞ্চির গলায়। ধারালো সুতো মুহূর্তের মধ্যে কেটে দেয় সাঞ্চির শ্বাসনালী ও কন্ঠনালী।
তবে ভারতে এখন বিপদজনক মাঞ্জার ব্যবহার আইনত বন্ধ করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।