English Version
আপডেট : ২০ আগস্ট, ২০১৬ ১২:০৯

চীনে কুকুরের মাংস জনপ্রিয় খাবার

অনলাইন ডেস্ক
চীনে কুকুরের মাংস জনপ্রিয় খাবার

পৃথিবীর বিচিত্র সব সংস্কৃতি কৃষ্টি কালচার, বিচিত্র মানুষের খাদ্যভ্যাস। আমাদের দেশের একজন মানুষ কুকুর খাবার কথা স্বপ্নেও ভাবতে না পারলেও চীনে কুকুরের মাংস তুমুল জনপ্রিয় খাবার। চীনের অধিবাসীরা গ্রীষ্মের সবচেয়ে বড় দিন উদযাপনের লক্ষ্যে কুকুর জবাই ও খাওয়া শুরু করেছে। দক্ষিণ চীনের ইউলিন শহরে প্রতিবছরই এই কুকুর খাওয়ার উৎসব চলে।

জনপ্রিয়তার তোড়ে পরিবেশবাদী আন্দোলনকর্মীদের নিষেধাজ্ঞা এবং অনুরোধ উপেক্ষা করেও মহাসমারোহে চলে ‘কুকুর খাওয়া উৎসব’ বরাবরই দেশটির প্রাণী অধিকার বিষয়ক সংস্থা একসাথে এতগুলো কুকুর জবাইয়ের তীব্র নিন্দা জানিয়ে থাকলেও সেদিকে থাকেনা কারোই ভ্রুক্ষেপ। প্রতিবছর ২১ জুন বিশ্বের সবচেয়ে বড় দিনকে সামনে রেখে তারা এই উৎসবের আয়োজন করে। গ্রীস্ম উদযাপনের এই উৎসবকে কেন্দ্র করে চীনের অনেক অঞ্চলের বাসিন্দারা দেদারছে কুকুর নিধন শুরু করে।  ইয়ুলিনের ঐতিহ্য অনুযায়ী লিচু দিয়ে কুকুরের মাংসের সঙ্গে মদ হলো গ্রীস্মকালীন উৎসবের মূল আকর্ষণ। শীতের সময় সুস্থ থাকার জন্য প্রতিবছর গ্রীষ্মের সবচেয়ে বড় দিনকে সামনে রেখে কুকুর খাওয়ার উৎসবের আয়োজন করে। তাদের ধারণা কুকুর খেলে শীতের সময় বিভিন্ন রোগ-ব্যাধি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। তবে তাদের এই ধারণার কোনো বাস্তব ভিত্তি নেই। তবে এই কুকুর খাওয়া নিয়ে  চীনের স্থানীয় মানুষদের  পরিবেশবাদীদের উপর রয়েছে বিস্তর রাগ।  কারণ পরিবেশবাদীরা কুকুর বিক্রির স্থান, কসাইখানা এবং দোকানে গিয়ে প্রচারাভিযান চালায়। দীর্ঘদিন ধরে চালানো এই প্রচারাভিযানের কারণে অবশ্য চীনের অনেক স্থানেই নির্বিচারে কুকুর খাওয়ার প্রতিযোগিতা অনেকটা কমেছে। যে কারণে দেশটির অনেকেই এখন কুকুর পোষার দিকে বাড়তি নজর দিচ্ছে। 

এদিকে পশু সংরক্ষণ সংস্থাগুলোর মতে, এই উৎসবের কারণে মানুষের শরীরে নানান রোগের জীবানু প্রবেশ করে। এছাড়াও অনেকের বাড়ির গৃহপালিত কুকুর চুরি হয়ে যায় কুকুর খাওয়ার হিরিকের কারণে। বাড়িতে পোষা কুকুরের শরীরে অনেক সময়ই বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থ পাওয়া যায় যা মানুষের শরীরের জন্য খারাপ। অন্যদিকে চীনা স্বাস্থ্য সংস্থা জানায়, কুকুর খেলে রোগ মুক্তি নয় বরং রোগাক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। কেননা এই কুকুরগুলো রোগমুক্ত কিনা তা পরীক্ষা না করেই জবাই করা হচ্ছে।

ভিডিও