English Version
আপডেট : ২৭ এপ্রিল, ২০১৬ ০১:২৮

মুখমণ্ডলসহ পুরো শরীর পশমে ঢাকা, স্তনের ভারে ওষ্ঠাগত জীবন

অনলাইন ডেস্ক
মুখমণ্ডলসহ পুরো শরীর পশমে ঢাকা, স্তনের ভারে ওষ্ঠাগত জীবন

পুরো শরীর পশমে আবৃত। স্তনের ভারে সোজা হয়ে হাঁটতে পারে না। অদ্ভুত এমন সমস্যায় কিশোরী বীথির স্বাভাবিক জীবন যাপনের সকল পথ যেন রুদ্ধ হয়ে পড়েছে।

বীথি বয়স ১২ বছর। টাঙ্গাইলের স্থানীয় জয়ভোগ উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী। শরীরে হরমোনের ভারসাম্যহীনতায় মুখমণ্ডলসহ বীথির পুরো শরীর বড় বড় পশমে ঢেকে যায়। স্তনের আকার বাড়তে বাড়তে এখন তা বহন অযোগ্য।

বীথির বাবা জানান, জন্মের পর থেকেই বীথির শরীরে বড় বড় পশম দেখা দেয়। সেই অবস্থায়ই লেখাপড়া চালিয়ে যায় মেয়েটি। গত এক বছরে বীথির শরীরে দেখা দেয় নতুন সমস্যা। তার স্তন অস্বাভাবিকভাবে বড় হতে থাকে। এখন তা নেমে গেছে পেটের নিচ পর্যন্ত। স্তনের ভারে সোজা হয়ে হাঁটতে পারে না। প্রচণ্ড যন্ত্রণায় চিৎকার করে সবসময় কান্নাকাটি করে।

দিনমজুর বাবা মেয়ের কষ্ট আর সহ্য করতে না পেরে ঋণ করে মেয়েকে নিয়ে আসেন ঢাকায়। কিন্তু, ডাক্তার জানালেন, টাকা দরকার আরও অনেক বেশি। অসহায় বাবা এখন টাকার জন্য হন্যে হয়ে দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে বীথি বর্তমানে হরমোন বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. ফরিদ উদ্দিনের অধীনে চিকিৎসাধীন। চিকিৎসকরা বলেছেন-হরমোনজনিত কারণে তার এ সমস্যা হচ্ছে। চিকিৎসায় এ সমস্যা কিছুটা দূর হবে। কিন্তু প্রচুর টাকার প্রয়োজন।

বীথির বাবা আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‌‌‘বীথিকে নিয়ে খুবই বিপদের মধ্যে দিনাতিপাত করছি। বীথি আমার বড় মেয়ে। জন্ম থেকে পশমের সমস্যা ছিল। অনেক ডাক্তার দেখিয়েছি। কিন্তু কাজ হয়নি। এ অবস্থায় সে পড়ালেখা চালিয়ে গেছে। কিন্তু গত বছর থেকে তার স্তন অস্বাভাবিকভাবে বড় হতে থাকে। এখন এর ব্যথায় সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারে না।’

তিনি বলেন, ‘টাঙ্গাইলে ভাড়ায় মোটরসাইকেল (অন্যের) চালিয়ে যা রোজগার হয় তা দিয়ে কোনোমতে সংসার চলে যায়। বীথির চিকিৎসার জন্য ব্যাংক থেকে ২০ হাজার ও মানুষের কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা ঋণ নিয়েছেন। সে টাকাও শেষ। সহায়-সম্বল বলতে আছে মাত্র বাড়ির জমিটুকু।’ আব্দুর রাজ্জাক তার মেয়ের চিকিৎসার জন্য সমাজের বিত্তবান ও বড় মনের মানুষদের সহায়তা কামনা করেছেন। বীথির জন্য সহায়তা পাঠানো যাবে এই বিকাশ নম্বরে: 01720366783