English Version
আপডেট : ১১ এপ্রিল, ২০১৬ ১১:৩১

লেজার সান্ডার কমোডো ড্রাগন আধুনিক দৈত্য

অনলাইন ডেস্ক
লেজার সান্ডার কমোডো ড্রাগন আধুনিক দৈত্য
কমোডো ড্রাগন

ইন্দোনেশিয়ার লেজার সান্ডা দ্বীপপুঞ্জ। এখানকার কিছু দ্বীপে দেখা যাবে সত্যিকারের ড্রাগনের। কমোডো ড্রাগন নামের এই প্রাণীগুলো অগ্নিশ্বাস নেয় না কিংবা উড়ালও দেয় না। কিন্তু রূপকথার গল্পের কাল্পনিক জীব ড্রাগনের চেয়ে এরা কোনো অংশেই কম আতঙ্কজনক নয়। তিন মিটার পর্যন্ত লম্বা এই প্রাণীটির ওজন ৭০ কেজি পর্যন্ত হয়ে থাকে। শিকারকে বশে আনতে এরা ঘণ্টায় ২৯ কিলোমিটার বেগে দৌড়াতে পারে।

কমোডো ড্রাগনের দৃষ্টিশক্তি বেশ প্রখর। জলহস্তী কিংবা হরিণকে বাগে ফেলেই একবারে নাস্তানাবুদ করে দেয় এই ড্রাগনের দল। বিষাক্ত ছোবলে রক্তাক্ত করে দেয় তাদের। কাল্পনিক অগ্নিশ্বাস নেয়া ড্রাগনের চাইতেও নির্দয় প্রাণীর হাতে নিজেকে সঁপে দেয়ার কোনো বিকল্প থাকে অসহায় প্রাণীটির। পরিণামে নিষ্ঠুর রক্তপাতে শিকারের যন্ত্রণাদায়ক মৃত্যু হয়।

অস্ট্রেলিয়ার ব্রিসবেনের ইউনিভার্সিটি অব কুইন্সল্যান্ডের ব্রায়ান ফ্রাই বলেন, এটা হচ্ছে একটা সমন্বিত অস্ত্রাগার ব্যবস্থা। এখানে দাঁতগুলো হচ্ছে প্রাথমিক অস্ত্র। ধমনি বা শিরা কাটা পড়ে যদি শিকারের মৃত্যু না হয় তাহলে শরীরের সব রক্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত রক্তপাত চলতে থাকবে এবং এতেই তার মৃত্যু হবে। এই কমোডো ড্রাগনকে বলা হয় আধুনিক মালয়েশিয়ার দৈত্য। রিনকা, গিলি মনটাং, নুসা কোড, ফ্লোরেস ও কমোডো এই পাঁচটি দ্বীপেই এ প্রাণীটিকে খুঁজে পাওয়া যায়।

ফ্লোরেস দ্বীপে এই প্রাণীগুলো স্বাধীনভাবে ঘুরে বেড়ায়। আর অন্য বাকি চার দ্বীপে এরা কমোডো জাতীয় পার্কের তত্ত্বাবধানে আছে। কয়েক লাখ বছর আগে অস্ট্রেলিয়ায় দানবীয় টিকটিকির অস্তিত্ব ছিল। বিজ্ঞানীদের মতে, প্রায় ৯ লাখ বছর আগে তারা ইন্দোনেশিয়ার দ্বীপে পৌঁছায়।

ধারণা করা হয়, কমোডো ড্রাগন নামে পরিচিত পৃথিবীর বৃহত্তম এ টিকটিকি এ সম্প্রদায়ের সর্বশেষ বিশালদেহী সদস্য হিসেবে এখনো টিকে আছে।