পৃথিবীর প্রাচীনতম ফুল ‘অ্যাস্টারিড’
পৃথিবীর আদিমতম ফুলের সন্ধান পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। ২০-৩০ মিলিয়ন বছর আগে সে বিকশিত হয়েছিল এই মরপৃথিবীতে। তার পরে চলে গিয়েছে কত শত অন্ধকার বিদিশার নিশা। কিন্তু সে পুষ্প অম্লান হয়ে থেকে গিয়েছে বনস্পতির একান্ত আদরে, রজনের পেলব যত্নে। ‘অ্যাস্টারিড’ প্রজাতির এক গাছেই এই ফুল জন্মাত বলে মনে করছেন উদ্ভিদ বিজ্ঞানীরা। বস্তুত, আজকের আলু, তামাক, টম্যাটো অথবা কফি এই প্রজাতির উদ্ভিদেরই বংশধর।
ডোমিনিক্যান রিপাবলিকের এক প্রাগৈতিহাসিক অরণ্যে গবেষকরা সন্ধান পেলেন বিশ্বের প্রাচীনতম ফুলটির। তবে সে এখন ফসিল। ‘অ্যাস্টারিড’ প্রজাতির এক গাছেই এই ফুল জন্মাত বলে মনে করছেন উদ্ভিদ বিজ্ঞানীরা। বস্তুত, আজকের আলু, তামাক, টম্যাটো অথবা কফি এই প্রজাতির উদ্ভিদেরই বংশধর।
তবে, এই ফুল যে গাছে ফুটেছিল আজ থেকে ২০ বা ৩০ মিলিয়ন বছর আগে, সে মোটেই তেমন নিরীহ ছিল না। তার পারিবারিক নাম ‘জেনাস স্ট্রিকনোস’, যা থেকেই পাওয়া যায় স্ট্রিকনিন বা কিউরারি-র মতো ভুবনখ্যাত বিষ। যাকে বার বার দেখা গিয়েছে বিভিন্ন উপজাতির ব্লো-গান থেকে ছোড়া তিরের ডগায়, শার্লক হোমসের গল্পে, ‘সাইকো’র মতো ছবিতে, শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়ের ব্যোমকেশ কাহিনি ‘বহ্নি-পতঙ্গ’-এর পাতায়।
সেই গরল-পুষ্পের সৌন্দর্য্য আজও বিস্ময়-উদ্রেককারী। তাকে প্রায় অবিকৃত অবস্থাতেই পাওয়া গিয়েছে অ্যাম্বার জাতীয় রজনের মধ্যে। আমেরিকার অরিগন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জর্জ পয়েনার, জুনিয়র জানিয়েছেন, এই প্রাপ্তি উদ্ভিদ বিজ্ঞানের গবেষণাকে সমৃদ্ধ করল। এ থেকে প্রাগৈতিহাসিক কালের বাস্তুতন্ত্র সম্পর্কে জানা যাবে। তা ছাড়া, আজকের মানুষের বেশির ভাগ খাদ্যের জোগান আসে যে ‘অ্যাস্টারিড’ প্রজাতির গাছ থেকে, তার বিবর্তনের কাহিনিও জানায় এই ফসিল।