“আসুন আমার বাড়িতে। আমার মেয়েকে ধর্ষণ করুন।” —সোজাসুজি পুরুষদের প্রলুব্ধ করে অনলাইনে এমনই বিজ্ঞাপন দিয়েছেন এক মহিলা। আর যার জন্যে এমন বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে তার বয়স মাত্র ছয় বছর! চাঞ্চল্যকর এই ঘটনার কথা সামনে আসতেই তোলপাড় শুরু হয় সারা আমেরিকায়। অসংখ্য মানুষ ঘৃণা প্রকাশ করেন সেই মহিলার বিরুদ্ধে। কঠোর শাস্তি দাবী করা হয়। অবশ্য শাস্তি হিসেবে এখন তারা জেলের ঘানি টানছেন।

সংবাদমাধ্যমসূত্রে জানা যায়, ওয়াশিংটনের বাসিন্দা বছর পঁয়ত্রিশের ওই মহিলা নিজের মেয়েকে ধর্ষণ করার জন্য অনলাইনে বিজ্ঞাপন দেন। ক্রেতাদের যেন কোনও অসুবিধে না হয় তার জন্য মেরিসভিল অঞ্চলে নিজেদের বাড়িতেই আসতে বলেন তাদের। নির্ধারিত দিনে কয়েক জন খদ্দের হাজিরও হন মেরিসভিলের ওই বাড়িতে। মেয়ের কান্না, অনুরোধ কোনও কিছুই টলাতে পারেনি মায়ের মন। বিভিন্ন বয়সের অচেনা পুরুষের সঙ্গে বছর ছয়েকের ওই মেয়েটিকে রীতিমত বাধ্য করা হত সঙ্গম করতে। শারীরিক অত্যাচারে যখন বিধ্বস্ত তখনও রেহাই মিলত না শিশুটির। কেন না তার মা তখন ব্যস্ত থাকতেন মেয়ের ধর্ষণের দৃশ্য ক্যামেরাবন্দি করতে। অনেক দিন ধরেই চলছিল এমন নারকীয় ঘটনা।

তারপর একদিন অন্য সব অন্যায়কারীর মতই শেষ দিনটি আসে তাদের।গোপন সূত্রে খবর পেয়ে মেরিসভিলের সেই বাড়িতে হানা দেয় পুলিশ। বাড়িটিতে তল্লাশি চালিয়ে প্রচুর পর্নগ্রাফির সিডি উদ্ধার করে পুলিশ।সিডি চালাতেই চক্ষু চড়কগাছ দুঁদে পুলিশকর্তাদের। অন্য কেউ নয় সঙ্গমের দৃশ্যগুলি ক্যামেরাবন্দি করেছেন নাবালিকা কন্যাটির মা-ই! জঘন্য এই দুষ্কর্মের জন্য ওই মহিলার ২৬ বছরের জেল হয়েছে। বাদ যাননি মহিলার স্বামীও। তার ২৭ বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে মার্কিন আদালত। নাবালিকা ধর্ষণ, শ্লীলতাহানি প্ররোচনা দেওয়া এবং নাবালিকার উপর যৌন নিগ্রহের ঘটনাকে ব্যবসায়িক স্বার্থে ব্যবহার করার অপরাধে ওই মহিলাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে।

এমন বিজ্ঞাপনের দৌলতেই অবশ্য আপাতত জেলের ঘানি টানছেন ওই মহিলা। দোষী ওই মহিলাকে সম্প্রতি ২৬ বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে মার্কিন আদালত। দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন মহিলার স্বামীও। বাবা-মা দু’জনেই জেলে তাই আপাতত একটি সেফহোমে রাখা হয়েছে সেই শিশুকন্যা এবং তার ভাইকে।