যে ৫টি কারণে বিবাহিত মহিলারা পরকীয়ায় জড়ান

পরকীয়া নিয়ে এখনও আমাদের দেশে রাখঢাক থাকলেও গোপনে সবই চলছে। এবং বেড়ে চলছে এর মাত্রা। পুরুষের সাথে পাল্লা দিয়ে বিবাহিত নারীরাও জড়াচ্ছেন পরকীয়ায়। শুনতে ভাল না লাগলেও এটাই বাস্তব। কিন্তু পরকীয়া মানেই খারাপ, এই ধারণার বাইরে গিয়ে বিবাহিত মহিলাদের পরকীয়ায় জড়ানোর কারণের খোঁজ করেছেন একদল গবেষক। তাদের গবেষণা থেক পাওয়া গিয়েছে মূলত ৫টি কারণ। সবথেকে বড় কারণ কিন্তু একাকীত্ব।
• একাকীত্ব: বলা হচ্ছে, ভারতীয় বিবাহিতাদের মধ্যে অনেকেই গৃহবধূ। চাকরি করলেও, বেশিরভাগ মহিলাই সন্ধের মধ্যে ঘরে ফেরেন। কিন্তু তাঁদের স্বামীদের ফিরতে দেরি হয়। অনেকের স্বামী আবার অন্য শহরে বা দেশে কাজ করেন। এর ফলে বিবাহিতাদের মধ্যে একাকীত্ব বাড়ে। এবং তা থেকেই পরকীয়ায় জড়ানোর সম্ভাবনা বাড়ে।
• যৌন অতৃপ্তি: বিবাহিত জীবনে যৌনমিলনে অতৃপ্তি পরকীয়ার কারন। উপমহাদেশে এখনও এরেঞ্জ ম্যারেজ প্রচলিত আছে। এ ধরনের বিয়েতে বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই স্বামীর সাথে স্ত্রীর বয়সের ব্যাবধান বেশী হয়। এর ফলে পুরুষের যৌন ক্ষমতা হ্রাস পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। বিভিন্ন যৌনরোগের কারনেও এমন হয়।
• স্বামীর মনোযোগের অভাব: বিভিন্ন কারণে অনেক ক্ষেত্রেই স্বামী যথাযথ মনোযোগ দেন না। চাকরির ব্যাস্ততা বেশী থাকলে কিংবা স্বামী অন্য নারীর সাথে পরকীয়ায় জড়ালে এমনটা হতে পারে। এটা থেকে আসে হতাশা। পরিণতিতে বউ জড়ায় পরকীয়ায়।
• বৌদ্ধিক তারতম্য: স্বামী এবং স্ত্রীর মধ্যে বৌদ্ধিক তারতম্য, বা ইন্টেলেকচুয়াল ডিফারেন্সও পরকীয়ার আর এক কারণ। স্ত্রীকে সবসময় খাটো করে প্রমাণ করতে গেলে সে আপনাকে ছেড়ে সুখের আশায় অন্য পুরুষের কাছে যাবেই। তাছাড়া স্ত্রীকে শারিরীক-মানসিক নির্যাতন করলে সে অন্যের প্রতি আকৃষ্ট হয়।
• অর্থ এবং ক্ষমতা : দেখা গেছে, পরপুরুষের অর্থ এবং ক্ষমতার মোহে অনেকে ঘর ছেড়ে থাকেন। যদিও আমাদের দেশে উপরের গুলির তুলনায় এই প্রবণতা কম।