স্বেচ্ছায় সাপের ছোবল খাচ্ছেন বিজ্ঞানী! ভিডিও দেখলে আঁতকে উঠবেন!

তার সাপের প্রতি ভালবাসা দেখে ভয়ে বউ চলে গেছেন। কোমাতেও যেতে হয়েছে একবার। তাতেও কোন ভ্রুক্ষেপ নেই। অবলীলায় পৃথিবীর সবথেকে বিষধর সাপ এনে নিজের হাতে ছোবল খান। এভাবে চলেছে গত ১৬ বছর ধরে। নাম, টিম ফ্রেডি। কিন্তু কেন তিনি এমন আত্মঘাতী পথ নিয়েছেন?
গত ১৬ বছর ধরে ক্রমাগত সাপের বিষের প্রতিষেধক খুঁজে চলেছেন টিম ফ্রেডি। আর তা করতে গিয়েই একের পর এক ১৫০টিরও বেশি বিষধর সাপের ছোবল খেয়েছেন। কোন সাপ নেই সেই তালিকায়! ব্ল্যাক মাম্বা থেকে শুরু করে তাইপান— যে সব সাপ দেখলে সর্প-বিশেষজ্ঞরা পর্যন্ত দু’পা পিছিয়ে যান, সেই সব সাপের বিষদাঁত অনায়াসে নিজের চামড়ায় ফুটিয়ে নেন টিম।
হালফিলেই পরপর পৃথিবীর দু’টি অন্যতম বিষধর সাপের ছোবল খেয়েছেন তিনি। প্রথমে একটি ব্ল্যাক মাম্বা। তার পরেই একটি তাইপান। এই দু’টি সাপের বিষ কয়েক মিনিটে একটি পূর্ণবয়স্ক মানুষকে মেরে ফেলার ক্ষমতা রাখে।
টিম বলছেন, আমিই সম্ভবত পৃথিবীর একমাত্র মানুষ যে পরপর এই দু’টি সাপের ছোবল খেয়ে বেঁচে রয়েছি। এই সব সাপের বিষের প্রতিষেধক খুঁজে বের করতেই হবে। ততদিন পর্যন্ত নিজের উপরে এই পরীক্ষা চালিয়ে যাব। টিম ছাড়া অন্য কোনও বিজ্ঞানী বিষধর সাপ নিয়ে এমন পরীক্ষা চালাচ্ছেন বলে জানা যায়নি।
প্রশ্ন হল, এত কিছুর পরেও কীভাবে টিম বেঁচে রয়েছেন? টিম বিষ নেন খুব হিসেব করে। কতটা সতর্ক থাকতে হয়, তা নীচের ভিডিও দেখলেই বুঝবেন। একটি সাপ এক ছোবলে যতটা বিষ ঢালতে পারে, ততটা ছোবল ইনি সাপেদের মারতেই দেন না। ঠিক যতটুকু বিষ পরীক্ষার জন্য নিজের শরীরে প্রয়োজন, ততটুকুই দেন। আর এই হিসেবে সামান্য এদিক-ওদিক হয়ে গেলে মৃত্যু অনিবার্য।
একবার সেরকম হয়েওছিল। পরপর দু’টি কোবরার ছোবল নিয়েছিলেন। প্রথমটির পরে ঠিকই ছিল। কিন্তু দ্বিতীয়টির ক্ষেত্রে হিসেবে গোলমাল হয়ে যায়। টিম বলছেন, কোমায় চলে গিয়েছিলাম। বলতে পারেন, মৃত্যুকে ছুঁয়ে ফিরে এসেছি।
এই পরীক্ষার চরম মূল্য দিতে হয়েছে ফ্রেডিকে। সন্তানদের নিয়ে চলে গিয়েছেন স্ত্রী বেথ। তিনি বলছেন, আমি বা সন্তান— কেউ ওর কাছে আগে নয়। সবার আগে ওর কাছে সাপ এবং পরীক্ষা।
ভিডিওটি দেখুন এখানে...