English Version
আপডেট : ২০ অক্টোবর, ২০১৯ ১২:০০
সূত্র:

বাংলাদেশে নতুন ভীতি ই-মেইল

বাংলাদেশে নতুন ভীতি ই-মেইল

বাংলাদেশে নতুন ভীতি ই-মেইল। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অধীনে হঠাৎ করেই আলোচনায় ই-মেইল। এতদিন জল্পনা-কল্পনা ছিল টেলিফোনে আড়িপাতা নিয়ে। এবার যুক্ত হয়েছে ই-মেইল। ২০১৮ সালের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে বিএনপি নেতা মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিনের বিরুদ্ধে মামলা হওয়ায় ই-মেইল আলোচনায় এসেছে। পুলিশ মেজর হাফিজের রিমান্ড চেয়েছিল। আদালত তাতে সায় দেননি।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বিশ্লেষকরা বলছেন, বিরোধী দলের নেতাদের বিরুদ্ধে এই আইনের প্রয়োগ কিংবা কথিত মতে অপপ্রয়োগের ঘটনা নতুন নয়। টেলিফোনের টেপ সময়ে সময়ে প্রকাশ করার ঘটনাও একেবারে কম নয়। কিন্তু সম্ভবত এই প্রথম ই-মেইল রাষ্ট্রদোহিতা ধরনের অভিযোগ আনা হলো। শুনানির সময় আদালত ষড়যন্ত্র করে আসামিরা যে ই-মেইলটি পাঠিয়েছিলেন সেই ই-মেইলের একটি কপি দেখতে চান। কিন্তু আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা তা উপস্থাপনে ব্যর্থ হলে ম্যাজিস্ট্রেট জামিন দেন হাফিজকে। ২০১৮ সালের ডিজিটাল আইনে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার স্বার্থে নাগরিকের ই-মেইল বা টেলিফোনে আড়িপাতার বিধান নেই।

এর আগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মধ্যেকার টেলিফোন আলাপসহ বেশ কিছু টেপ অজ্ঞাতসূত্রে সংবাদ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। কিন্তু কোনটিই এ পর্যন্ত আদালতে মামলার জন্য বিচার্য হয়নি। কোন মহল থেকেই এর তদন্ত বা দায়িত্ব স্বীকার করা হয়নি। এই প্রথম সরকারিভাবে ই-মেইলের মাধ্যমে দেশের অনিষ্ঠ করার নির্দিষ্ট অভিযোগ আনুষ্ঠানিকভাবে দায়ের করা হলো।