‘২০২১ সালের মধ্যে দেশ ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের আওতায় আসবে’

দেশের প্রতিটি স্থানে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট পৌঁছে দিতে বিভিন্ন প্রকল্প চলমান রয়েছে বলে উল্লেখ করে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ইতোমধ্যে বিটিসিএলের মাধ্যমে ১২০০ ইউনিয়ন পর্যন্ত ইন্টারনেট কানেকশন পৌঁছেছে। আমরা ইনফো সরকার-৩ নামের আরেকটি প্রকল্পের আওতায় ২৬০০ ইউনিয়নে কানেকটিভিটি পৌঁছাচ্ছি। কয়েকশ ইউনিয়ন শুধুমাত্র বাকি রয়েছে।
মোস্তাফা জব্বার বলেন, আমাদের আরেকটি প্রকল্পের আওতায় ৭৭২টি ইউনিয়নে কানেকটিভিটি পৌঁছানোর জন্য এখন কার্যক্রম চলছে। এই প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নের পরে কোনো ইউনিয়নে কানেকটিভিটির অভাব থাকবে না। এমনকি আমরা এরই মধ্যে প্রকল্প গ্রহণ করেছি, যার ফলে চর-দ্বীপ, দুর্গম এলাকাগুলোতেও যাতে কানেক্টিভিটি পৌঁছানো যায়, একই সঙ্গে স্যাটেলাইট ব্যবহার করেও যাতে ইন্টারনেট দেওয়া যেতে পারে, এটিরও ব্যবস্থা করা হয়েছে। আমরা প্রত্যাশা করি, ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশের এমন কোনো জায়গা থাকবে না, যে জায়গা থেকে সরাসরি দ্রুত গতির ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটে প্রবেশ করা যাবে না।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের স্যাটেলাইট বঙ্গবন্ধু-১ কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে, এমনভাবে কোনো চুক্তির মধ্যে নেওয়া হয়নি যে তারাই কেবলমাত্র ফ্রিকোয়েন্সি বরাদ্দ করতে পারবে। এটি বাংলাদেশের জনগণের সম্পদ, বাংলাদেশ সরকার এর যাবতীয় দায়-দায়িত্ব পালন করে। সুতরাং পত্রপত্রিকায় বা গণমাধ্যমে এ ধরনের যদি কোনো কিছু প্রকাশ হয়ে থাকে, সেটি সঠিক নয়।
আরেক সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক খন্দকার প্রিন্সের এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে মোস্তাফা জব্বার বলেন, আগামী এক থেকে দুই মাসের মধ্যে বাংলাদেশ কম্পিউটার, ট্যাব এবং মোবাইল ফোনের মাদারবোর্ড তৈরি করবে।
মন্ত্রী আরও বলেন, ইতোমধ্যে কমপক্ষে ছয়টি মোবাইল কারখানা চালু হয়েছে, আরও ছয়টি মোবাইল ফোন কারখানা চালু হবে। পৃথিবীর বিখ্যাত দেশগুলো এখন বাংলাদেশকে ঠিকানা হিসেবে নিচ্ছে। এ দেশ থেকে যন্ত্রাংশ তৈরি করে তারা বিদেশে নিয়ে যাবে।