English Version
আপডেট : ২২ ডিসেম্বর, ২০১৮ ১২:৩৭
সূত্র:

ভারতে ব্যক্তিগত কম্পিউটারে নজরদারির নির্দেশ

ভারতে ব্যক্তিগত কম্পিউটারে নজরদারির নির্দেশ

ভারতে এবার ব্যক্তিগত কম্পিউটারে নজরদারির নির্দেশ দিয়েছে দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার। বৃহস্পতিবার (২০ ডিসেম্বর) এক নির্দেশিকায় নজরদারির ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে দেশটির ১০টি কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাকে।

এতদিন মোবাইল ফোন বা ই-মেইলের মাধ্যমে চালাচালি করা তথ্যের ওপর নজরদারি চালানো হলেও এখন থেকে ব্যক্তিগত কম্পিউটারকেও এর আওতায় আনলো দেশটির সরকার। খবর হিন্দুস্তান টাইমস ও জি নিউজের।

শুধু নজরদারি নয়, খতিয়ে দেখা ও প্রয়োজনে কম্পিউটার বাজেয়াপ্ত করারও ক্ষমতা দেয়া হয়েছে গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে। নজরদারির ক্ষমতা যেসব গোয়েন্দা সংস্থাকে দেয়া হয়েছে, সেগুলো হচ্ছে: ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো (আইবি), সেন্ট্রাল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (সিবিআই), ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এনআইএ), নারকোটিকস কন্ট্রোল বোর্ড, এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি), সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ডিরেক্ট ট্যাক্সেস, ডিরেক্টরেট অব রেভিনিউ ইনটেলিজেন্স,  দিল্লি কমিশনার অফ পুলিশ এবং ডিরেক্টরেট অব সিগন্যাল ইন্টেলিজেন্সি।

নির্দেশিকায় এও বলা হয়েছে, প্রতিটি নাগরিক এ কাজে সাহায্য করতে বাধ্য। অন্যথায় গ্রেফতারও করা হতে পারে। তদন্তকারী সংস্থার সঙ্গে কোনও ধরনের অসহযোগিত করলে যে কোনও ব্যক্তির জরিমানা বা ৭ বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে।

কেন্দ্রের এ সিদ্ধান্ত ঘোষণার পরই, গর্জে উঠেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও সিপিএম জেনারেল সেক্রেটারি সীতারাম ইয়েচুরি।

মমতা বলেন, কেন্দ্র সরকার যদি জাতীয় নিরাপত্তার জন্যই এ সিদ্ধান্ত নেয়, কেন তবে সাধারণ মানুষ এতে প্রভাবিত হবে। জাতীয় নিরাপত্তার জন্য কেন্দ্রের হাতে অনেক সংস্থা আছে। সেইসব প্রয়োগ না করে কেন সাধারণ মানুষের ভাড়ারের খবর জানতে চাইছে কেন্দ্র? এটি সাধারণ মানুষকে বিব্রত করা। এর বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তুলতে হবে।

এদিকে সিপিএম জেনারেল সেক্রেটারি সীতারাম ইয়েচুরি প্রশ্ন তুলেছেন, দেশের মানুষদের সঙ্গে কি সরকার অপরাধীর মতো আচরণ করবে?

ইয়েচুরি টুইট বার্তায় বলেছেন, দেশের প্রত্যেকটি মানুষের পেছনে গোয়েন্দাগিরি করার ব্যবস্থা একেবারেই অসাংবিধানিক।