English Version
আপডেট : ৭ জানুয়ারি, ২০১৭ ১১:০৭

‘‌আব্বে সালে’র মানেই জানতে না সুন্দর পিচাই

অনলাইন ডেস্ক
‘‌আব্বে সালে’র মানেই জানতে না সুন্দর পিচাই

নিউজ ডেস্ক :‌ বৃহস্পতিবার ভারতের খড়গপুর আইআইটি–তে ছাত্রদের সঙ্গে আড্ডা দেয়ার সময় তিনি তার আইআইটির ছাত্র জীবন নিয়ে খোলামেলা কথা বলেন। পিচাই বলেন, যখন এখানে যখন পড়তে এসেছিলাম আইআইটিতে, তখন ‘‌আব্বে সালে’ শব্দটির মানে জানতাম না। আমার মনে হয়েছিল, কাউকে ভালবেসে ডাকতে গেলে এই শব্দবন্ধ ব্যবহার করা হয়। সেই জন্যই প্রথম প্রথম বন্ধুদের ডেকে আমি এই কথা বলতাম। পরে বুঝলাম, এটা আসলে গালাগালি। 

‌কলেজ জীবনে আড্ডার কথা মনে করে পিচাই বলেন, কলেজ জীবনে মাঝে মাঝেই রাতে জেগে আড্ডা মারতাম। সকালে উঠতে অনেকটা দেরি হয়ে যেত। মাঝে মাঝেই তাই সকালের প্রথম ক্লাসটা মিস করতাম। যদিও, কলেজ জীবনে এমন হয়েই থাকে। পড়াশোনাকে গুরুত্ব দিতে হবে ঠিকই, কিন্তু সঙ্গে গুরুত্ব পাবে ছাত্র জীবনের অন্য দিকগুলোও‌।  ‌

প্রেমিকার কথা স্বারণ করে তিনি বলেন, প্রেমিকা অঞ্জলির সঙ্গে দেখা হয়েছিল খড়গপুর ক্যম্পাসেই। কিন্তু ছেলেদের হস্টেলের থেকে মেয়েদের হস্টেল অনেক দূরে ছিল। দেখা করার সময় মেয়েদের হস্টেলের সামনে গিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতাম। অঞ্জলির হস্টেলেরই কোনও বন্ধু চেঁচিয়ে বলত ‘‌অঞ্জলি, সুন্দর তোমার জন্য দাঁড়িয়ে আছে’‌। তারপরে দেখা হত আমাদের। 

খড়গপুর আইআইটির এক ছাত্র প্রশ্ন করেছিলেন, ‘‌আচ্ছা গুগ্‌লে কীভাবে চাকরি পাওয়া যায়?‌’‌ উত্তরে পিচাই বললেন, আমার চাকরির প্রথম ইন্টারভিউ হয়েছিল ২০১৪ সালের ১ এপ্রিল। হ্যাঁ, ‘‌এপ্রিল ফুল’‌ হওয়ার দিন। সেদিনই চালু হয়েছিল জি–মেল। সারাদিন ধরে চলা ইন্টারভিউয়ে আমায় প্রশ্ন করা হয়েছিল, ‘‌জি–মেল সম্পর্কে আপনার কী মনে হয়?‌’‌ আমি উত্তর দিতে পারিনি, কারণ জি–মেল ঠিক কী, সেটা দেখাই হয়নি আমার। ইন্টারভিউয়ের চারদিনের মাথায় একজন আমাকে জি–মেল দেখান। যদিও, গুগ্‌লে চাকরি পেতে ভাল পড়াশোনা আর কাজের প্রতি আগ্রহ থাকলেই চলে। বিশেষ ক্ষমতা কিছু দরকার হয় না।

পরে সুন্দর পিচাই নোট বাতিল নিয়েও মুখ খুলেন বললেন, ভারতের লোক সংখ্যা ১৩০ কোটি। কিন্তু এখন ভারতে মাত্র ৩০ কোটি লোকের হাতে রয়েছে মোবাইল। এত কম সংখ্যক মানুষের হাতে মোবাইল থাকলে দেশের অর্থব্যবস্থা ক্যাশলেস হবে কী করে?‌’‌ 

যদিও গতকালই একটি সাক্ষাৎকারে পিচাই জানিয়েছিলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত খুবই সাহসী।