‘দেশে অ্যাপস-গেমের বড় বাজার হবে’
অনলাইন ডেস্ক

দেশের মোট জনসংখ্যার ৪০ শতাংশ এখন ইন্টারনেটের আওতায়। ফলে দেশের বাজারে মোবাইল অ্যাপস ও গেমের বড় বাজার তৈরি করা হবে।
রোববার (৭ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর আগারস্থ আইসিটি বিভাগের মিলনায়তনে সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগ কর্তৃক আয়োজিত ‘মোবাইল গেমের বিশ্ববাজার বাংলাদেশের প্রস্তুতি’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এসব কথা বলেন তিনি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, চলতি বছর শেষ নাগাদ বিশ্বে গেম ইন্ড্রাস্ট্রির বাজার ৯৯.৬ বিলয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হবে, যার ৩৭ শতাংশই (৩৬.৯ বিলিয়ন ডলার) মোবাইল গেমের দখলে থাকবে। ২০১৮ সাল নাগাদ বিশ্বে গেম ইন্ড্রাস্ট্রির বাজার ১১৩.৩ বিলয়ন ডলার অতিক্রম করবে, যার মধ্যে মোবাইল গেমের বাজার ৩৯ শতাংশ (৪৪.২ বিলিয়ন)।
তিনি বলেন, মোবাইল গেমে বর্তমানে চীন ২৩.৭ বিলিয়ন ও যুক্তরাষ্ট্র ১৮.২ বিলিয়ন ডলারের বাজার ধরে রেখে শীর্ষে অবস্থান করছে। ধীরে ধীরে মোবাইল গেমের বাজার বড় হচ্ছে। তাই মোবাইল গেমের বৈশ্বিক মার্কেটকে যথাযথ গুরুত্ব দিয়ে বাংলাদেশের অবস্থানকে গড়ে নিতে কাজ করা হচ্ছে।
প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, বর্তমানে সারাদেশে প্রায় ১৩ কোটি ১৪ লাখ মোবাইল ফোন গ্রাহক রয়েছে। যার মধ্যে প্রায় ২০ শতাংশই স্মার্টফোন ব্যবহারকারী। এ বছর স্মার্টফোনের প্রবৃদ্ধি ২০ শতাংশ হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। অন্যদিকে দেশে বর্তমানে প্রায় ৬ কোটি ৩৩ লাখ ইন্টারনেট ব্যবহারকারী রয়েছে। যার মধ্যে প্রায় ৫ কোটি ৯৭ লাখই মোবাইলে ইন্টারনেট ব্যবহার করছে। দেশের মোট জনসংখ্যার ৪০ শতাংশ এখন ইন্টারনেটের আওতায়। এর ফলে দেশের বাজারেও মোবাইল অ্যাপস ও গেমের বড় বাজার তৈরি হবে।
বিশ্ববাজারে ব্যবহারকারীদের মোবাইল গেমের জনপ্রিয়তার কথা উল্লেখ করে পলক বলেন, প্রতিদিনই গুগল প্লে-স্টোরে প্রায় ১৩শ’ অ্যাপ জমা পড়ছে, আর আইটিউনসে জমা পড়ছে প্রায় ১ হাজারের মতো অ্যাপস। এসব অ্যাপসের মধ্যে প্রায় ৪০ শতাংশই হলো গেমিং অ্যাপস।
তিনি বলেন, সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী; অ্যাপল স্টোরে ২ মিলিয়ন এবং গুগল প্লেস্টোরে ২.২ মিলিয়ন অ্যাপস রয়েছে। গত দুই বছর ৮ মাসে গুগল প্লে-স্টোরে অ্যাপসের সংখ্যা বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে। ২০১৬ জুলাইয়ের তথ্য মতে অ্যাপল অ্যাপ স্টোর থেকে অ্যাপ ডাউনলোড হয়েছে ১৩০ বিলিয়ন এবং গুগল প্লে-স্টোর থেকে ৬৫ বিলিয়ন।
সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আইসিটি বিভাগের সচিব শ্যাম সুন্দর সিকদার, অতিরিক্ত সচিব সুশান্ত কুমার সাহা, মহাপরিচালক, বনমালী ভৌমিক, বেসিস সভাপতি মোস্তাফা জব্বার, বেসিস সহ-সভাপতি রাসেল টি আহমেদ, বেসিস প্রাক্তন সভাপতি শামীম আহসান, বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্কের সাধারণ সম্পাদক মুনির হাসান, পোর্টব্লিস গেমের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মাসা মুস্তাকিমসহ আইসিটির ইন্ড্রাস্ট্রির কর্মকর্তাবৃন্দ।