English Version
আপডেট : ৩০ জুলাই, ২০১৬ ১৪:০৩

‘মাইক্রোসফট-গুগলের মতো প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে হবে’

অনলাইন ডেস্ক
‘মাইক্রোসফট-গুগলের মতো প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে হবে’

মাইক্রোসফট, অ্যাপল, গুগলের মতো তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে তৈরি হবে বলে জানান  অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত।

রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁয়ে শুক্রবার (২৯ জুলাই) সন্ধ্যায় দুই দিনের  ‘বিপিও সামিট বাংলাদেশ ২০১৬’ আয়োজনের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে তিনি এ কথা বলেন।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তর এবং বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অফ কলসেন্টার এন্ড আউটসোর্সিং (বাক্য) এর যৌথ উদ্যোগে ‘বিপিও সামিট বাংলাদেশ ২০১৬’ অায়োজিত হয়।

তিনি বলেন, আমাদের তরুণদের স্বপ্ন দেখতে হবে। স্বপ্নহীন বা গন্তব্যহীন জাতি কোনও দিন ভালো করতে পারে না। বর্তমান সরকার আইসিটি খাতে বিভিন্ন পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। পরিকল্পনাগুলো বাস্তবে রূপ দেওয়াই সরকারের লক্ষ্য। সরকার আইসিটি খাতে তরুণদের প্রশিক্ষণ দিয়ে যোগ্য হিসেবে গড়ে তুলছে। 

অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, আমি স্বপ্ন দেখি অল্প দিনের মধ্যে আমরা বাংলাদেশ থেকে মাইক্রোসফট, অ্যাপল, গুগলের মতো তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান তৈরি করতে পারবে।

তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, ২০২১ সালের মধ্যে বিপিও খাত থেকে আমরা ১ বিলিয়ন ডলার আয়ের আশা করছি। ২০২১ সালের মধ্যে আমরা এই খাতে ১ লাখ তরুণের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করব।

অর্থমন্ত্রী বলেন, সম্মেলনে বিদেশিরা এসে আমাদের বলেছেন বাংলাদেশের সবকিছু ঠিক আছে। এ দেশের তরুণরা রেডি। এটাই আমাদের জন্য বড় স্বীকৃতি। আমরা যখন ডিজিটাল বাংলাদেশের ঘোষণা দেই তখন আমরা কোনও রূপরেখা ঠিক করে দিইনি। আমরা জানতাম তরুণরাই এসব ঠিক করে নেবে। আমাদের ভাবনা সত্যি হয়েছে, তরুণরাই তাদের গন্তব্য ঠিক করে নিয়েছে। 

সমাপনী অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে আইসিটির বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, তরুণদের প্রযুক্তিক্ষেত্রে আগ্রহী করে গড়ে তুলতে হবে। তরুণরাই আগামীর ভবিষ্যৎ। তরুণরা এগিয়ে না এলে দেশ এগিয়ে যাবে না।

পলক বলেন, আইসিটি বিভাগের বাজেট শতকরা ৫০ ভাগ বেড়েছে। আমাদের দেশের বাজারও বড় হয়েছে।

তিনি বলেন, বিশ্বের যে সকল দেশ বিপিও খাতে ভাল করেছে তারা সবাই নিজেদের অভ্যন্তরীণ খাতের বিপিও শিল্পকে শক্তিশালী করেছে। যেমন ভারতের এবছরের লক্ষ্যমাত্রা ১২০ বিলিয়ন ডলারের মধ্যে ২০ বিলিয়ন ডলারই আসবে অভ্যন্তরীণ বাজার থেকে। তাই, আমাদের বিপিও খাতকে অভ্যন্তরীণ মার্কেটেও শক্তিশালী করতে হবে।

এ লক্ষ্যে আমরা নিয়মিতভাবে বিপিও সামিট আয়োজন করছি।

সমাপনী অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন, বেসিস সভাপতি মোস্তাফা জব্বার, আইসিটি বিভাগের সচিব শ্যাম সুন্দর সিকদার, আইসিটি অধিদফতরের মহাপরিচালক বনমালী ভৌমিক ও বাক্যের সভাপতি আহমাদুল হক।

সমাপনী অনুষ্ঠানের শেষে ছিল সিএক্সও নাইট। এছাড়া অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের বিপিও খাতে বিশেষ অবদান রাখায় একটি বিদেশি ও ৭টি দেশি প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কৃত করা হয়।

এবারের সম্মেলনে প্রায় ২৫ হাজার দর্শনার্থী অংশগ্রহন করেছে। বিদেশী ২৩ জন বক্তাসহ সম্মেলনের মোট বক্তা ছিলো ৭৭ জন। সামিট উপলক্ষ্যে বিপিও খাতে চাকরী প্রত্যাশীদের প্রায় ২১ হাজার বায়োডাটা জমা পড়েছে।