বন্ধ হতে পারে আড়াই কোটিরও বেশি সিম

শেষ পর্যন্ত সাড়ে ১০ কোটিরও বেশি সিমকার্ড বায়োমেট্রিক (আঙুলের ছাপ) পদ্ধতিতে পুনঃনিবন্ধিত হয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত অনিবন্ধিত রয়েছে আরও দুই কোটি ৮৪ লাখ সিম।
সরকারনির্ধারিত নীতিমালা অনুসরণ করে ওই সিমগুলো পুনঃনিবন্ধন করা না হলে একটি নির্দিষ্ট সময়ে তা বন্ধ হয়ে যাবে। আগামী দেড় বছরের মধ্যে এ প্রক্রিয়ায় না গেলে সিমকার্ডের মালিকানাও হারাবেন সংশ্লিষ্ট গ্রাহক।
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) সূত্রে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
এদিকে, একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগ দিতে এ মুহূর্তে থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংকক সফরে রয়েছেন টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম। সন্ধ্যায় সেখান থেকে তিনি সমকালকে জানান, সিমকার্ড নিবন্ধন সফলভাবে শেষ হয়েছে। পূর্বঘোষণা অনুযায়ী, অনিবন্ধিত সিমকার্ড মঙ্গলবার রাত ১২টা থেকেই বন্ধ হয়ে যাবে।
বিটিআরসির সচিব সারওয়ার আলম সমকালকে বলেন, ‘পুনঃনিবন্ধনের জন্য আর সময় বাড়ানো হচ্ছে না। এরপর অনিবন্ধিত সিমকার্ডের গ্রাহক তা চালু করতে চাইলে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নিবন্ধনের সময় সিমকার্ডের আগের মূল্য পরিশোধ ও সরকার নির্ধারিত কর প্রদান করতে হবে। বন্ধ হওয়ার পর দেড় বছর পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট গ্রাহকের মালিকানা সংরক্ষিত থাকবে। এ সময়ের মধ্যে সিমকার্ডটি পুনঃনিবন্ধনের মাধ্যমে চালুর সুযোগ পাবেন তারা। তা না হলে গ্রাহক তার মালিকানা হারাবেন ও সংশ্লিষ্ট অপারেটর সিমকার্ডটি অন্য গ্রাহকের কাছে বিক্রি করতে পারবে।’
অন্যদিকে, মোবাইল অপারেটরদের সংগঠন অ্যামটব জানিয়েছে, মডেম কিংবা ট্যাবে শুধু ইন্টারনেটের জন্য ব্যবহৃত সিমকার্ডের বেশিরভাগই অনিবন্ধিত থেকে গেছে। এ কারণে একাধিক অপারেটর এসব সিমকার্ড নিবন্ধনের সময়সীমা বাড়াতে বিটিআরসিতে আবেদন করেছে। অবশ্য বিটিআরসি এ আবেদনের ব্যাপারে এখন পর্যন্ত কোনো সাড়া দেয়নি।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছে, ৩০ মে (সোমবার) পর্যন্ত ১০ কোটি ৪৮ লাখ ৬৫ হাজার সিমকার্ড নিবন্ধিত হয়। মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত আরও প্রায় ১৫ লাখ সিমকার্ডের নিবন্ধন হয়েছে। বিটিআরসির হিসাব অনুযায়ী, গত ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত দেশে মোবাইল ফোন গ্রাহক সংখ্যা ছিল ১৩ কোটি ১৯ লাখ ৪৯ হাজার। এ হিসাবে ২ কোটি ৫৭ লাখ ৮৪ হাজার সিমকার্ড অনিবন্ধিত থাকছে।
তারা আরও জানায়, সক্রিয় গ্রাহকদের ৯৫ শতাংশের নিবন্ধন শেষ হয়েছে। যেসব সিমকার্ড অনিবন্ধিত রয়েছে, সেগুলোর ব্যবহার অনিয়মিত ও এর একটা বড় অংশ অবৈধ আন্তর্জাতিক কল টার্মিনেশনের সঙ্গে যুক্ত। বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিমকার্ড নিবন্ধনের কারণে সক্রিয় গ্রাহকের সংখ্যা প্রায় দেড় কোটি বেড়েছে। এর আগে সাড়ে আট থেকে ৯ কোটি গ্রাহক সক্রিয় বলে বিবেচনা করা হতো।