English Version
আপডেট : ৩ মে, ২০১৬ ১৯:৪৬

গণমাধ্যমেকে তথ্য দিচ্ছে ফেসবুক

অনলাইন ডেস্ক
গণমাধ্যমেকে তথ্য দিচ্ছে ফেসবুক

গণমাধ্যমকে বদলে দিচ্ছে ফেসবুক। অনেক সময় সংবাদ এড়িয়ে যায় গণমাধ্যম। কিন্তু ফেসবুকে আলোচনার কারণে সেটিও গণমাধ্যমে স্থান পায়। গণমাধ্যমে যারা কাজ করেন তারা সরকারের নানা চাপের কারণে সব খবর প্রকাশ করতে পারেন না। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে শক্তিশালী হয়ে উঠেছে ফেসবুক। তাই দিনদিন ফেসবুক হয়ে উঠছে খবর প্রচার ও প্রকাশের উৎস বলে জানান সংশ্লিষ্টরা। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে মঙ্গলবার যখন ‘বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম’ দিবস পালিত হচ্ছে তখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম নিয়ে আলোচনাও প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে। সরকারি কিংবা বিভিন্ন পক্ষের চাপের কারণে মূলধারার গণমাধ্যম যখন কোনো সংবাদ পরিবেশন করতে পারে না তখন ফেসবুক হয়ে উঠে প্রধান বাহন। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, সম্প্রতি কুমিল্লা কলেজ শিক্ষার্থী তনু হত্যাকাণ্ড দেশজুড়ে ব্যাপক আলোচনা তৈরি করেছে। কিন্তু এই ঘটনাটি প্রথমে গণমাধ্যমে আগে প্রকাশিত হয়নি। ফেসবুকে ব্যাপক লেখালেখির কারণে শেষ পর্যন্ত গণমাধ্যম সেটিকে তাদের এজেন্ডায় নিয়ে আসতে বাধ্য হয়েছে। ঠিক একই ভাবে সিলেটে শিশু সামিউল আলম রাজন হত্যাকাণ্ড। এই ভিডিওটি প্রথমে সবার নজরে এসেছিল ফেসবুকের মাধ্যমে। তারপর এটি নিয়ে সংবাদপত্র এবং টেলিভিশন চ্যানেলে খবর প্রচারিত হয়। সংবাদপত্র কিংবা টেলিভিশনের খবর নিয়ে পাঠক কী ধরনের মনোভাব পোষণ করছেন সেটি তাৎক্ষনিকভাবে যাচাই করা সম্ভব হয় না। কিন্তু অনলাইন এবং ফেসবুক পাঠকদের মনোভাব তাৎক্ষনিকভাবে পরিমাপ কারা যায়। সাম্প্রতিক সময়ে দেখা গেছে বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তি কিংবা অন্য যেকোনো পেশাজীবী যদি তাদের ফেসবুকে কোনো বক্তব্য তুলে ধরেন সেটি বিভিন্ন সংবাদপত্রে শিরোনাম হচ্ছে।

ফেসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা দিনে দিনে বৃদ্ধি পাওয়ায় এ পরিবর্তন আসছে।