গ্রাহকদের সঙ্গে সেবার নামে প্রতারণা

বাংলাদেশ মোবাইলফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দীন আহমেদ বলেছেন, দেশের ৬টি মোবাইল অপারেটরদের সেবার নামে প্রতারণার করছে। এই মোবাইল অপরেটরদের অযথা প্রতিযোগিতায় সমাজে নৈরাজ্য নেমেছে। তারা যখন তখন অযথা ম্যাসেস দিয়ে গ্রাহকদের টাকা কেটে নিচ্ছে। তাদের দেওয়া ম্যাসেজের ৯০ ভাগই ভুয়া।
শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধনের সর্বশেষ অবস্থা, গ্রাহকদের ভোগান্তি, প্রতারণার শিকার ও হয়রানির চরমসীমায় পতিত’ শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন ও ভোক্তা অভিযোগ নিষ্পত্তি উপ-কমিটি (ক্যাব) নামের দুটি সংগঠন এ সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করে।
লিখিত বক্তব্যে মহিউদ্দীন আহমেদ বলেন, বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধনে কোনো টাকা নেওয়ার নিয়ম না থাকলেও সংগঠনের পর্যবেক্ষণে দেখা যায় যে, কোনো কোনো ক্ষেত্রে ২০ তেকে ৫০ টাকা গ্রাহকদের কাছ থেকে নেওয়া হয়েছে।
এভাবে প্রায় ৩৬৫ কোটি টাকা গ্রাহকদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছে রিটেইলাররা।
তিনি বলেন, অনেক ক্ষেত্রে একজনের আঙ্গুলের ছাপ দিয়ে অন্য সিমের নিবন্ধন করা হয়েছে। যা অত্যন্ত অন্যায়। ফলে এই বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধন করে খুব একটা লাভ হবে বলে মনে হয় না।
মহিউদ্দীন আহমেদ বলেন, মুঠোফোনের গ্রাহক সংখ্যা ৮ কোটি হলেও দেশে সিম ও রিমের গ্রাহক রয়েছে ১৩ কোটি ৮৫ লাখ। গত ১৬ ডিসেম্বর ২০১৫ থেকে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধন শুরু হয়ে ৩০ এপ্রিল ২০১৬তে শেষ হচ্ছে।
এ পর্যন্ত এ পদ্ধতিতে ৬০ ভাগ গ্রাহক নিবন্ধন নিয়েছেন। বাকি ৪০ ভাগ এখনও বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে তাদের সিম নিবন্ধন করাতে পারেননি। তাই বাস্তবতা বিবেচনায় নিবন্ধনের সময় বাড়ানোর কোনো বিকল্প নেই।
সংবাদ সম্মেলনে অনেকের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী, বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবু বকর, দপ্তর সম্পাদক কাজী আমন উল্লাহ মাহফুজ প্রমুখ।