English Version
আপডেট : ১ মার্চ, ২০১৬ ২০:৩৮

স্মার্টফোন রুট করা কতটুকু জরুরী?

অনলাইন ডেস্ক
স্মার্টফোন রুট করা কতটুকু জরুরী?

 

এন্ড্রয়েড ব্যাবহারকারীরা রুট শব্দটি শুনে থাকবেন। যদি কেউ না জেনে থাকেন তবে বলা যায়  এন্ড্রয়েড রুট  বলতে বোঝায় একটি পারমিশন বা অনুমতি। রুট হলো সেই অনুমতি, যা নির্মাতার নিরাপত্তা লক ভেঙ্গে এন্ড্রয়েড ব্যবহারকারীকে সর্বাধিক ক্ষমতার অধিকারী করে তোলে। রুট পারমিশন থাকলে ব্যবহারকারী সেই ডিভাইসে যা ইচ্ছে তাই করতে পারেন। উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমে ব্যবহারকারী অ্যাডমিনিস্ট্রেটর প্রিভিলেজ ছাড়া সিস্টেম ফাইলগুলো নিয়ে কাজ করতে পারেন না (যেগুলো সাধারণত সি ড্রাইভে থাকে)। আপনার ডিভাইস প্রস্তুতকারক কোম্পানি ইচ্ছে করেই তাদের ডিভাইসে রুট অ্যাক্সেস দেয়না। এ কথা শুনে কোম্পানির উপর কিছুটা রাগ হতেই পারে। তবে কোম্পানি তাদের ডিভাইসের সুরক্ষার জন্যই এই কাজটি করে।

এখন কথা হচ্ছে রুট কতটুকু জরুরী। তবে জানা দরকার রুট আপনি কেন করবেন?

১. ফোনের পারফরম্যান্স বাড়ানোর জন্য বা ইন্টারনাল মেমোরি ফাঁকা করার জন্য।

২. ওভারক্লকিং করার মাধ্যমে ডিভাইসের গতি বাড়ানোর জন্য।

৩. স্বাধীনভাবে কাজ করা ডেভেলপারদের তৈরি বিভিন্ন কাস্টম রম ব্যবহার করার জন্য।

৪. পারফরম্যান্স বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন সিস্টেম অ্যাপ্লিকেশনের ব্যবহার, যেগুলো রুট করা ডিভাইস ছাড়া কাজ করে না।

৫. যেসব এ্যাপ ব্যাবহারের অনুমতি প্রস্তুতকারক কোম্পানী দেয় না সেসব এ্যাপ ব্যাবহার করা।

এবার আসুন দেখে নেই রুট করলে আপনার কি ক্ষতি হতে পারে।

১. ওয়ারেন্টি হারানোঃ ডিভাইস রুট করার মাধ্যমে আপনার ওয়ারেন্টি বাতিল হয়ে যাবে। তাই রুট করার আগে সাবধান। অবশ্য অনেক সেট আবার আনরুট করা যায়। আর সেট আনরুট করা হলে তা সার্ভিস সেন্টারে থাকা টেকনিশিয়ানরা অনেক সময়ই ধরতে পারেন না যে সেটটি রুট করা হয়েছিল। তবে কাস্টম রম থাকলে ধরা খাওয়া এড়ানোর উপায় নেই।

২.ফোন ব্রিক করাঃ ব্রিক অর্থ ইট। আর ফোন ব্রিক মানে আপনার ডিভাইসকে ইটে রূপান্তরিত করা। অর্থাৎ, এর কাজ করার ক্ষমতা হারানো। রুট করা ও এর পরবর্তী বিভিন্ন কাজের সময় একটু এদিক-সেদিক হলেই ফোনে স্থায়ী বা অস্থায়ী সমস্যা হতে পারে। ফোনের প্রস্তুতকারক কোম্পানি ফোনটি আনরুট অবস্থায় বাজারজাত করে, যেন এর ক্ষতি না হয়। রুট করার মাধ্যমে আপনি সেই নিশ্চয়তা ভেঙ্গে ফেলছেন।

৩. নিরাপত্তা নষ্ট হওয়া: স্মার্টফোন প্রস্তুতকারক কোম্পানী আপনার ডিভাইসটির জন্য সুরক্ষার ব্যাবস্থা রাখে। ফোন রুট করলে আপনি সেই সুরক্ষা থেকে বঞ্চিত হবেন। এর ফলে আজেবাজে এ্যাপ ইনস্টল করতে গিয়ে আপনার ফোনের বারোটা বাজতে পারে।

তাই রুট করার আগে ভাল করে ভেবে নিন আসলেই এটা জরুরী কিনা? এখনকার এন্ড্রয়েড ৫.০ থেকে পরবর্তী ভার্সনগুলোতে প্রায় সব এ্যাপই ব্যাবহার করা যায়। আর বর্তমানের স্মার্টফোনগুলির র্যাম কমপক্ষে এক জিবি তো থাকেই তাই গতি কম হবারও তেমন কোন কারন নেই।