English Version
আপডেট : ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ ১৯:২৫

২০১৬ সালের মধ্যেই ফোর-জি নেটওয়ার্ক চালু হবে: তারানা

২০১৬ সালের মধ্যেই ফোর-জি নেটওয়ার্ক চালু হবে: তারানা

 

সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী বেগম তারানা হালিম বলেছেন, ২০১৬ সালের মধ্যেই ৪-জি নেটওয়ার্ক চালু করা সম্ভব হবে। উন্নত বিশ্বের দেশগুলো ২০২০ সাল নাগাদ ৫-জি নেটওয়ার্ক চালুর প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। তিনি আরও বলেন, মোবাইল অপারেটরসমূহ তাদের থ্রিজি নেটওয়ার্ক দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে বিস্তার করতে সক্ষম হয়েছে।

সরকারি দলের বেগম মাহজাবিন খালেদের এক প্রশ্নের জবাবে আরো বলেন, প্রতিমন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্যেই বাংলাদেশের জনগণকে আধুনিক টেলিকম সেবা প্রদানের লক্ষ্যে ৩য় প্রজন্মের টেলিযোগাযোগ প্রযুক্তির সেবা চালুকরণের জন্য সরকারি প্রতিষ্ঠান টেলিটকের পাশাপাশি ৪টি বেসরকারি মোবাইল অপারেটরকে (গ্রামীণফোন বাংলাদেশ লিমিটেড, রবি আজিয়াটা লিমিটেড, বাংলালিংক ডিজিটাল কমিউনিকেশন লিমিটেড, এয়ারটেল বাংলাদেশ লিমিটেড) অনুমতি প্রদান করা হয়েছে।

জাতীয় পার্টির সদস্য একেএম মাঈদুল ইসলামের এক প্রশ্নের জবাবে ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকারি টেলিফোন কোম্পানি (বিটিসিএল)-এ বর্তমানে তিনটি প্রকল্প চলমান রয়েছে। এর মধ্যে ‘১ হাজারটি ইউনিয়ন পরিষদে অপটিক্যাল ফাইবার উন্নয়ন প্রকল্প’ এবং ‘উপজেলা পর্যায়ে অপটিক্যাল ফাইবার নেটওয়ার্ক উন্নয়ন প্রকল্পে’র মাধ্যমে দেশব্যাপী ১ হাজারেরও বেশি ইউনিয়ন এবং ২৯০টি উপজেলায় অপটিক্যাল ফাইবার নেটওয়ার্ক স্থাপনের কাজ চলমান, যা সামগ্রিকভাবে বাংলাদেশের শক্তিশালী টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক স্থাপনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

তিনি বলেন, ইতোমধ্যে ১ হাজারটি ইউনিয়নের মধ্যে ৪৫২টি ইউনিয়নে যন্ত্রপাতি স্থাপন সম্পন্ন করাসহ ৫ হাজার ৫৬৩ কিলোমিটার ডাক্ট স্থাপন করা হয়েছে। ২৯০টি উপজেলায় অপটিক্যাল ফাইবার নেটওয়ার্ক স্থাপন প্রকল্পের আওতায় ১৬০টি উপজেলায় অপটিক্যাল ফাইবার স্থাপনের কাজ ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। মোট অপটিক্যাল ফাইবার স্থাপনের পরিমাণ ৩ হাজার ৬৬৮ দশমিক ২১ কিলোমিটার।

তারানা হালিম বলেন, বর্তমান প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন হলে প্রত্যন্ত অঞ্চলে উন্নত প্রযুক্তির টেলিযোগাযোগ সেবা সম্প্রসারণের মাধ্যমে শক্তিশালী নেটওয়ার্ক প্রতিষ্ঠা এবং উন্নত মানের গ্রাহক সেবা প্রদান করা সম্ভব হবে।