English Version
আপডেট : ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ ২১:৫৬

কোকেনের চেয়েও ভয়ংকর ফেসবুক

অনলাইন ডেস্ক
কোকেনের চেয়েও ভয়ংকর ফেসবুক
তরুণ প্রজন্মের মাঝে ফেসবুক আসক্তি এখন খুবই প্রকট। এ আসক্তিই কোকেনের চেয়েও ভয়ংকর হয়ে উঠতে পারে বলে দাবি করেছেন গবেষকরা। 
 
সম্প্রতি  'সাইকোলজিক্যাল রিপোর্টস: ডিসঅ্যাবিলিটি অ্যান্ড ট্রমা' জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণাপত্রে এই দাবি করা হয়।
 
এ গবেষণায় বলা হয়, ফেসবুক ফিড নিয়ে ব্যস্ত থাকার ফলে মস্তিষ্কে যে অনুভূতি হয়, কোকেন ঠিক একই ধরনের প্রভাব সৃষ্টি করে।
 
ক্যালিফোর্নিয়া স্টেট ইউনিভার্সিটির গবেষক প্রফেসর অফটির টুরেল বলেন, যারা ফেসবুকে না প্রবেশ করে থাকতে পারেন না তাদের মস্তিষ্কের গ্রে ম্যাটার অংশে ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া চলতে থাকে। কোকেন নিলে মস্তিষ্কের ঠিক একই অংশে প্রায় একই ধরনের কর্মকাণ্ড চলে।
 
তিনি বলেন, এই নেশা গাড়ির এক্সেলেরাটোরের মতো কাজ করে। অর্থাৎ গতি বাড়তেই থাকে। আর এ থেকে মুক্তির চেষ্টা অনেকটা ব্রেকের মতো। নেশার ক্ষেত্রে মস্তিষ্কের আবেগের অংশে মাঝে মাঝে যোগ দেয় অসংগঠিত দমনমূলক নীতি।
 
গবেষণায় শিক্ষার্থীদের একটি প্রশ্নের তালিকা দেওয়া হয়। সেখানেই তারা  ফেসবুকের প্রতি আসক্তির কথা স্বীকার করেন। এ সময় তাদের বিভিন্ন ছবি দেখানো হয়। বলা হয়, তাদের পছন্দের ছবি প্রদর্শনমাত্র একটি বাটনে চাপ দিতে বলা হয়। দেখা গেছে ফেসবুকের ছবি দেখামাত্র কয়েকজন ওই বাটনে চাপ দিয়েছেন। এরা আগে থেকেই ফেসবুকে আসক্ত। 
 
গবেষকরা দেখেছেন, মস্তিষ্কের অ্যামিগডালা অংশকে উত্তেজিত করে ফেসবুক। এই অংশ ঘটনা, আবেগ ইত্যাদির গুরুত্ব তুলে ধরে। কয়েকজন অংশগ্রহণকারী ফেসবুকে ছবি দেখে এত দ্রুত ক্রিয়াশীল হয়েছেন যা রাস্তায় চলাচলের সময় নির্দেশক চিহ্ন দেখেও হন না। এজন্য বিষয়টিকে ভয়ঙ্কর বলে অভিহিত করেছেন গবেষকরা।  কারণ রাস্তায় চলাচলের সময় নির্দেশক চিহ্ন না দেখে মোবাইলে ফেসবুকের নোটিফিকেশন দেখতে থাকলে তা দুর্ঘটনা বয়ে আনতে পারে।
 
এদিকে লাইভ সায়েন্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ফেসবুকে আসক্তরা যেন মাদকাসক্ত। ফেসবুকে অবস্থানের সময় এমনভাবেই কাজ করেন তারা।  তবে গবেষকদের দাবি এ ধরনের আচরণ চিকিৎসার মাধ্যমে দূর করা সম্ভব। ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ এবং উদ্দীপনা সৃষ্টির মাধ্যমে ফেসবুকে আসক্তি তাড়ানো সম্ভব। ফেসবুকের মতো টুইটার ব্যবহারকারীরাও একই ধরনের আসক্তিতে শিকার।
 
খবর ইত্তেফাক