English Version
আপডেট : ২০ জানুয়ারি, ২০১৬ ১৩:৪০

ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে পৃথিবী: হকিং

অনলাইন ডেস্ক
ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে পৃথিবী: হকিং

 

দ্রুতই বসবাসের অযোগ্য হয়ে উঠেছে পৃথিবী । যার জন্য দায়ী মানুষ। খেতে ফসল নেই। শ্বাস-প্রশ্বাস নেওয়ার উপযুক্ত পরিবেশ নেই। তাই ভিন্‌ গ্রহে উপনিবেশ গড়ার জন্য মানুষ ছুটে চলছে পৃথিবীর বাইরে। পৃথিবীর বাইরে ঘর বাধার স্বপ্ন মানুষের অনেক দিনের। সেই স্বপ্নকে সত্যি করে তুলতে মহাকাশে ফোটাচ্ছে শষ্য, ফুল। কিন্তু একই সঙ্গে মানুষের কিছু খামখেয়ালী কিছু ধ্বংসত্বক কর্মকান্ডের ফলে পৃথিবীর অস্তিত্ব আজ হুমকির মুখে ।

অন্য কোন গ্রহে বসবাস শুরু করতে আরও এক শতাব্দী লেগে যাবে। ততদিন কি টিকে থাকবে পৃথিবী? এভাবেই হুঁশিয়ার করলেন বিশ্বখ্যাত পদার্থবিজ্ঞানী স্টিফেন হকিং। বিবিসির একটি অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, অন্য কোনও গ্রহে উপনিবেশ গড়ে তুলতে অন্তত একশো বছর লেগে যাবে। তত দিন অন্তত পৃথিবীটাকে বাসযোগ্য করে রাখি আমরা। পৃথিবীর বিপদগুলিকে চিহ্নিত করে তাতে লাগাম দিতে হবে।

হকিং বলেছেন মানবসৃষ্ট সেই বিপদগুলি নিয়ে। পরমাণু যুদ্ধ, পরিবেশ দূষণ, উষ্ণায়ন, জিন বদলানো ভাইরাস ইত্যাদির এক দীর্ঘ তালিকা। তিনি বলেন,  একের পর এক দেশ তাদের অস্ত্রভাণ্ডারে মজুত করছে পরমাণু বোমা। বেহিসেবি জীবনযাপনের জন্য বেড়ে চলেছে জ্বালানি খরচ। গাড়ির কালো ধোঁয়া বিষাক্ত করছে পরিবেশ।  উন্নত দেশগুলির গবেষণাগারে গোপনে চলেছে একের পর এক রাসায়নিক পরীক্ষা।  যা জন্ম দিচ্ছে ভয়ানক ভাইরাসের। আর এই সবই হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে মানবসভ্যতার জন্য।

এর থেকে বাঁচার উপায়ও বিজ্ঞানী স্টিফেন হকিং বাতলে দিয়েছেন। তিনি বলেছেন বি়জ্ঞান গবেষণাকে মুক্ত করতে হবে। সবার অগোচরে আর গবেষণা আর নয়। পরীক্ষা-নিরীক্ষা বা গবেষণা যা চলছে, তা জানাতে হবে সকলকে। বোঝাতে হবে মানুষকে। কৃত্রিম ভাইরাস, বুদ্ধিমান কম্পিউটার কিংবা বিশ্ব উষ্ণায়ন যে সেই সব বিপদের নমুনা, তা তিনি বলে আসছেন দীর্ঘদিন ধরেই। আজও তিনি বলেন, এক বছরের মাপকাঠিতে হয়তো এই বিপদের মাত্রা হিসেব করা যাবে না। কিন্তু একসঙ্গে অনেকগুলো বছর-হাজার কিংবা দশ হাজার বছরে- বিপদ প্রায় নিশ্চিত। তার আগে যদি মানুষ অন্য কোনও গ্রহে উপনিবেশ গড়ে তুলতে পারে, চলে যেতে পারে অন্য কোনও নক্ষত্রের আশপাশে, তা হলে হয়তো পৃথিবীতে সর্বনাশ ঘনিয়ে এলেও মহাবিশ্ব থেকে মানুষ নিশ্চিহ্ন হবে না।

তবে এই আশংকার পাশাপাশি মানুষের প্রতি রয়েছে তার অগাধ বিশ্বাস। তিনি বিশ্বাস করেন মানুষই পারবে এই বিপদ নিয়ন্ত্রণ করতে। যারা বি়জ্ঞানী হতে চান, তাদের জন্য হকিংয়ের পরামর্শ হলো, আগে পৃথিবীকে রক্ষা করার ব্যাবস্থা নিন।