এমএনপি সেবা: অপারেটর নিয়োগে নীতিমালায় সংশোধন

মোবাইল ফোন নম্বর অপরিবর্তিত রেখে অপারেটর বদলের (এমএনপি) জন্য প্রতিষ্ঠান নিয়োগে নীতিমালা সংশোধন করেছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। সংশোধিত নীতিমালা অনুযায়ী, বিশেষজ্ঞ কমিটির কাছে আগ্রহী অপারেটরদের মানদণ্ডের মূল্যায়ন হওয়ার পর নিলাম অনুষ্ঠিত হবে। অর্থাৎ নিলাম প্রক্রিয়ায় দুই ধাপ অতিক্রম করতে হবে। আগামী মার্চের মধ্যে এমএনপি সেবা দিতে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি এমএনপি নীতিমালায় সম্প্রতি এ সংশোধনী এনেছে। এমএনপি নীতিমালার এ সংশোধনী চূড়ান্ত করতে অনুমোদনের জন্য ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগে পাঠানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিটিআরসি সচিব মো. সরওয়ার আলম। তিনি বলেন, টেলিযোগাযোগ বিভাগের অনুমোদনের পরই এ বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে। বিটিআরসির কর্মকর্তারা জানান, এমএনপি প্রতিষ্ঠান নিয়োগে সম্প্রতি নীতিমালায় সংশোধন করে কয়েকটি বিষয় অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে। আগের নীতিমালায় নিলাম প্রক্রিয়ায় আগ্রহী প্রতিষ্ঠান মূল্যায়ন করতে সুনির্দিষ্ট কোনো মানদণ্ড অন্তর্ভূক্ত ছিল না। কিন্তু সংশোধনীতে মূল্যায়নে মানদণ্ড অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে। আবেদন বিজ্ঞপ্তি হওয়ার পর মূল্যায়ন কমিটি আগ্রহী প্রতিষ্ঠানগুলোকে মানদণ্ডের যোগ্যতার ভিত্তিতে নম্বর প্রদান করবে। এরপর একটি সুনির্দিষ্ট নম্বরের ভিত্তিতে যোগ্য প্রার্থীদের একটি তালিকা প্রকাশ করবে বিটিআরসি। যোগ্য প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিয়ে নিলামের আয়োজন করবে বিটিআরসি। সংশোধনীতে এমএনপি সংশ্লিষ্ট ভিএএস (ভ্যালু অ্যাডেডেড সার্ভিস) সেবার সুযোগ, এক শতাংশ ক্যাপাসিটি নিয়ে অপারেটর কার্যক্রম (রোলআউট অবলিগেশন) শুরুর বিধানও রাখা হয়েছে। নীতিমালা অনুযায়ী, দেশি প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি বিদেশি প্রতিষ্ঠানও নিলাম প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবে। তবে বিদেশি প্রতিষ্ঠানকে বাংলাদেশের কোনো প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যৌথভাবে নিলামে অংশ নিতে হবে। এক্ষেত্রে বিদেশি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার হবে ৫১ শতাংশ এবং দেশি প্রতিষ্ঠানের ৪৯ শতাংশ। নির্বাচিত প্রতিষ্ঠান ১৫ বছরের জন্য লাইসেন্স পাবে এবং এই প্রতিষ্ঠানকে সেবা প্রদান শুরুর দ্বিতীয় বছর থেকে সাড়ে ৫ শতাংশ হারে সরকারকে রাজস্ব দিতে হবে। ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ জানিয়েছে, একটিমাত্র প্রতিষ্ঠান এমএনপির জন্য লাইসেন্স পাবে। এই কাজের লাইসেন্স প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা আনতে নীতিমালা সংশোধন উদ্যোগ নেওয়া হয়। উন্মুক্ত নিলাম প্রক্রিয়ায় যোগ্যতম প্রতিষ্ঠানের বাদ পড়ার পাশাপাশি কোনো প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে মোবাইল অপারেটরদের কারও যোগসাজশের শঙ্কা ওটে। তবে প্রতিমন্ত্রী তরানা হালিম বলে আসছেন, এমএনপিতে অপারেটরেরা অংশ নিতে পারবে না। ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ জানায়, গত ২ ডিসেম্বর অর্থ মন্ত্রণালয় এমএনপি নীতিমালায় অনুমোদন দেয়। প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম জানিয়েছিলেন, ৩০ টাকা দিয়ে অপারেটর বদলের সুযোগ পাবেন গ্রাহকেরা, তবে এমএনপি সুবিধা নেওয়ার পর গ্রাহককে অপারেটর বদলে ৪৫ দিন অপেক্ষা করতে হবে।