২০২০ সালের মধ্যে সিমকার্ড ছাড়াই কল

বিশ্বের নামি তথ্যপ্রযুক্তি গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলোর মতে, দ্রুত ২০১৬ সাল থেকে ২০২০-এর মধ্যেই সিমকার্ড ছাড়াই কল করা সম্ভব হবে। এর জন্য শুধু স্মার্টফোনে ইন্টারনেট সংযোগ থাকতে হবে। অবশ্য কল করার জন্য অপর ব্যক্তির আইডি লাগবে। বর্তমানে প্রচলিত টাইম ডিভিশন মাল্টিপ্লেক্সিং বা টিডিএম প্রযুক্তির কলড্রপের বিরক্তি পোহাতে হবে না গ্রাহকদের।প্রতিদিন মোবাইল অ্যাকাউন্ট রিচার্জ করার ঝামেলা থাকবে না ।
টাইম ডিভিশন মাল্টিপ্লেক্সিং, সংক্ষেপে টিডিএম প্রযুক্তিতে মোবাইল নাম্বারে ফোন করে কথা বলার পদ্ধতি আবিষ্কার হয় ১৯৫৩ সালে। শুরুতে টিডিএম প্রযুক্তিতে শুধু একটি সার্কিটের মাধ্যমে সীমিত সংখ্যক কল আদান-প্রদান করা যেত। কিন্তু বর্তমানের টিডিএম প্রযুক্তি একসঙ্গে যুক্ত করেছে লাখের বেশি সার্কিটকে। এমনকি ডাটা প্যাকেট অ্যাকসেস যুক্ত করে এই নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ইন্টারনেট সেবা দিচ্ছে।
তবে বিজ্ঞানের ক্রম অগ্রসরমানতায় অচিরেই বিলুপ্ত যাচ্ছে টিডিএম। প্রচলন ঘটতে চলেছে ইন্টারনেট প্রটোকল বা আইপি প্রযুক্তির। বিশেষ করে আর্ন্তজাতিক কলের ক্ষেত্রে ভয়েস ওভার ইন্টারনেট প্রটোকল প্রযুক্তির সঙ্গে সবাই ইতিমধ্যে পরিচিত হয়ে উঠেছেন। ইন্টার ব্যান্ডউইথ ব্যবহারের ওপর নির্ভরশীল এই প্রযুক্তিই ক্রমে ক্রমে ভয়েস কলের মূল প্রযুক্তি হয়ে উঠছে। এ ক্ষেত্রে কোনো নাম্বারের প্রয়োজন হবে না। ওয়াইফাই হোক, আর বিশেষ কোডের মাধ্যমে ইন্টারনেট সেবাই হোক, গ্রাহকের হ্যান্ডসেটে ইন্টারনেট সংযোগ থাকলেই চলবে। প্রয়োজন হবে স্কাইপি, ভাইবারের মতো অ্যাপ্লিকেশনের আইডি। মোবাইল ফোন অপারেটররা তখন নিজেদের গ্রাহকের জন্য পৃথক অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করে গ্রাহক আইডি দেবে। একাধিক অপারেটর এর মধ্যেই বিষয়টি নিয়ে কাজ শুরু করেছে।
এ প্রযুক্তিতে অচল হয়ে পড়বে পুরনো ফিচার ফোন। অপরিহার্য হয়ে উঠবে আধুনিক স্মার্টফোন। হ্যান্ডসেট নির্মাতারা এ কারণেই কম দামের স্মার্টফোন বাজারজাত করার ব্যাপারে মনোযোগী হয়ে উঠেছেন। স্যাম্ফনি, মাইক্রোম্যাক্স, ওয়ালটনের মতো প্রতিষ্ঠানগুলি স্বল্পমূল্যে স্মার্টফোন বাজারজাত করছে। চলতি বছরে বাজারে আসবে নামি কোম্পানিগুলোর আরও কমদামি স্মার্টফোন। টেলিজিওগ্রাফিসহ একাধিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান জানাচ্ছে, আগামীতে ৩০০ ডলারের বেশি দামের স্মার্টফোন বাজারে বিক্রিই হবে না। হাজার ডলারের ফোন বাজারে এরই মধ্যে গ্রহণযোগ্যতা হারাতে শুরু করেছে। প্রযুক্তি সেবাদান-সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ২০১৬ হবে আইপি প্রযুক্তির প্রস্তুতির বছর। ২০১৭ সালের মধ্যেই যার ব্যবহার শুরু হয়ে যাবে।
-ইন্টারনেট অবলম্বনে