English Version
আপডেট : ১৭ জুন, ২০২১ ১১:২২

সাব্বিরের বিরুদ্ধে বর্ণবাদী আচরণের অভিযোগ

অনলাইন ডেস্ক
সাব্বিরের বিরুদ্ধে বর্ণবাদী আচরণের অভিযোগ

মাঠের পারফরম্যান্সে আলোচনায় নেই। লাইমলাইটে না থাকায় তাকে খুঁজেও পাওয়া যাচ্ছিল না। ঘরোয়া ক্রিকেটে তার ছন্নছাড়া পারফর্মেন্স দেখে তাকে কেউ মনে রাখতেও চাইবে না। দু’দিন পর পর একেকটি কেলেঙ্কারির সাথে যুক্ত হয়ে আসেন আলোচনা-সমালোচনায়। তারপর নিজের ভুলের জন্য সবার কাছে ক্ষমা চাওয়া। কিছুদিন পর তার চেয়েও বড় কোনো অপরাধ করে আবার আসেন আলোচনায়। এটাই সাব্বিরের ক্রিকেট ক্যারিয়ার।

আবারও লাইমলাইটে এসেছে সাব্বির। তবে এবার যা করেছেন, তা সবকিছুকে হার মানিয়েছে। মাঠের বাইরে থেকে মাঠে ইলিয়াস সানিকে ঢিল ছোঁড়া ও বর্ণবাদী গালি দেয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে সাব্বিরের বিরুদ্ধে। মাঠেই সানি এই অভিযোগ তোলার পর খেলা বন্ধ থাকে কিছুক্ষণ। পরে সানির ক্লাব শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাব সাব্বিরের শাস্তি দাবি করে লিখিত অভিযোগ করে ক্রিকেট কমিটি অব ঢাকা মেট্রোপলিসের (সিসিডিএম) কাছে। সাব্বির অবশ্য অস্বীকার করছেন অভিযোগ।

শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাবের সচিব মো. ফয়েজুর রহমানের স্বাক্ষরিত চিঠি গতকাল বুধবার (১৬ জুন) পাঠানো হয় লিগ সিসিডিএম চেয়ারম্যান বরাবর। সেই চিঠিতে তুলে ধরা হয় ঘটনার বিবরণ।

‘অন্তত দুঃখের সহিত জানাইতেছি যে, অদ্য ১৬ জুন, ২০২১ তারিখে, বিকেএসপি ৩ নম্বর মাঠে লেঃ শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাব লিমিটেড বনাম ওল্ড ডিওএইচএস স্পোর্টস ক্লাব-এর মধ্যকার খেলা চলাকালীন লেঃ শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাব লিমিটেড-এর খেলোয়াড় জনাব মোহাম্মদ ইলিয়াসকে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের খেলোয়াড় জনাব সাব্বির রহমান রুম্মন মাঠের বাইরে হতে বিনা কারণে উপুর্যপুরি ইট ছুঁড়ে মারেন, অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও উচ্চস্বরে বর্ণ বৈষম্যমূলক আচরণ করে বলেন যে ‘ওই কাইল্যা, কাইল্যা, কাইল্যা ইলিয়াস।’

এই ঘটনা বুধবারের হলেও গণমাধ্যমকে ইলিয়াস সানি জানান, ঘটনার শেকড় আরেকটু পেছনে। তিনি বলেন, ‘গত রোববার রূপগঞ্জের সঙ্গে আমাদের ম্যাচ ছিল। সেদিন আমি ব্যাটিংয়ে নামার পরই সাব্বির হুট করে আমাকে খুব বাজে গালি দেয়। আমি অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করি, ‘তুই কি এটার মানে জানিস?’ তখন সে আবার একই গালি দেয়। তিন দফায় গালি দেয়। তখন আমাদের কয়েকজনের সঙ্গে ওদের কথা কাটাকাটি, স্লেজিং, এসব হয় বেশ।’

তিনি আরও জানান, ‘গালিগালাজের পরেও আমি মাঠের ঘটনা মাঠেই রেখেছিলাম। আজকে আমাদের খেলা ছিল ওল্ড ডিওএইচএসের সঙ্গে। আমি বাউন্ডারিতে ফিল্ডিং করছিলাম। সাব্বিরদের খেলা ছিল দুপুরে। সে ম্যাচ খেলার জন্য মাঠে এসে বাস থেকে নেমেই আমাকে দেখে ‘কাইল্যা, কাইল্যা’, এই ধরনের কথা বলতে থাকে। আমি তবু পাত্তা দেইনি। এরপর সে ঢিল মারে। এক পর্যায়ে আমি আম্পায়ারদের জানাতে বাধ্য হই।’