English Version
আপডেট : ১৪ এপ্রিল, ২০২১ ১২:৪৫

জয়ের তীরে গিয়ে তরী ডোবালেন সাকিবরা

অনলাইন ডেস্ক
জয়ের তীরে গিয়ে তরী ডোবালেন সাকিবরা
১৮ বলে ২২ রান দরকার ছিল তখন। উইকেটে সেট হয়ে যাওয়া দিনেশ কার্তিক ও মারকুটে ব্যাটসম্যান আন্দ্রে রাসেল। হেসে-খেলেই জিতে যাওয়ার কথা কলকাতা নাইট রাইডার্সের। এই অবস্থা থেকে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের কাছে ১১ রানে ম্যাচ হেরে বসে মরগান-সাকিবের দল। শেষ তিন ওভারে সাকিবরা তুলতে পেরেছেন মাত্র ১১ রান! ক্রনাল পান্ডে, জাসপ্রিত বুমরাহ ও শেষ ওভারে ট্রেন্ট বোল্টের অনবদ্য বোলিংয়ে দারুণ কামব্যাক করে জয় তুলে নেয় রোহিত শর্মার দল। আইপিএলের এই আসরে প্রথম ম্যাচে জয়ের আত্মবিশ্বাস মাঠে নামে কলকাতা। টস জিতে মুম্বাইয়ে ব্যাটিংয়ে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেন কলকাতার অধিনায়ক উইন মরগান। চেন্নাইয়ের চিদাম্বারাম স্টেডিয়ামে ক্রিজে নেমে খুব একটা জ্বলে উঠতে পারেনি প্রথম ম্যাচে হারের স্বাদ পাওয়া মুম্বাই। ব্যাট হাতে ১৫২ রান সংগ্রহ করে তারা। ব্যাট হাতে অধিনায়ক রোহিতের ৪৩ আর সুরিয়াকুমার ইয়াদবের ৫৬ রান ছাড়া দলের কেউই সেভাবে বড় কোনো ইনিংস ‍উপহার দিতে পারেনি। মুম্বাইয়ের ইনিংসের সর্বোচ্চ রান করে পিচে সেট হয়ে যাওয়া সুরিয়াকুমারকে আউট করে সাজঘরে পাঠান সাকিব আল হাসান। আন্দ্রে রাসেল তুলে নেন পাঁচ পাঁচটি উইকেট। আর কামিন্সের দুই ও চক্রবর্তীর একটি উইকেটের বদান্যতায় মুম্বাইয়ে তুলনামূলক কম দলীয় স্কোরে বেঁধে রাখে কলকাতা। টার্গেটে নেমে দুই ওপেনার নিতিশ রানার ৫৭ ও শুভমান গিলের ৩৩ রান ভিত্তি গড়ে দেয় কলকাতাকে। তাদের বিদায়ের পর হঠাতই ১২২ রানের মধ্যে পাঁচটি উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে মরগানের দল। এই জায়গা থেকে ১৮ বলে ২২ রানের যখন টার্গেট তখন ক্রিজে ছিলেন আন্দ্রে রাসেল ও দিনেশ কার্তিক। দুর্দান্ত বোলিংয়ে মুম্বাইকে জয় উপহার দেয়ার পেছনে বড় অবদান রাখেন রাহুল চাহার। কলকাতার ব্যাটিং অর্ডারের উপরে থাকা চার ব্যাটসম্যানকে ফেরান চাহার, শেষ ওভারে পরপর দুই বলে উইকেট নিয়ে জয় নিশ্চিত করেন বোল্ট। দুই জাত ব্যাটসম্যানের ব্যর্থতায় প্রথম হারের স্বাদ পেয়েছে কলকাতা। ১৮ এপ্রিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচটি খেলতে নামবে কলকাতা।