English Version
আপডেট : ২৩ জানুয়ারি, ২০২১ ০৯:৫২

ধারাবাহিক সাফল্যের রসদ দলীয় বন্ধন

অনলাইন ডেস্ক
ধারাবাহিক সাফল্যের রসদ দলীয় বন্ধন

ওয়েস্ট ইন্ডিজের যে দলটি বাংলাদেশ সফর করছে সে দলটি বাংলাদেশের তুলনায় অযুত-নিযুত ব্যবধানে পিছিয়ে। বাংলাদেশ কেন এগিয়ে তা বিচারের জন্য তিনটি মানদণ্ড বিবেচনায় আনা যায়।

প্রথম, র‌্যাংকিং। ওয়ানডে র‌্যাংকিংয়ে বাংলাদেশের অবস্থান সাতে, ওয়েস্ট ইন্ডিজ নবম। দুই দলের রেটিং পয়েন্টের ব্যবধান ১২।

দ্বিতীয়, সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে শেষ সাত ম্যাচে বাংলাদেশ হারেনি একটি ম্যাচেও। এর মধ্যে ২০১৯ বিশ্বকাপের ম্যাচটিও আছে। যেখানে ক্যারিবিয়ানদের স্রেফ উড়িয়ে দেয় বাংলাদেশ। এছাড়া আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনাল ম্যাচটিও উল্লেখযোগ্য।

তিন, শক্তিমত্তা। ওয়েস্ট ইন্ডিজের একাধিক সিনিয়র এবং অভিজ্ঞ ক্রিকেটার এ সফরে আসেনি। নতুন মোড়কে অনভিজ্ঞ দল নিয়ে বাংলাদেশের বিপক্ষে নামছে তারা। অন্য দিকে বাংলাদেশ তামিম ইকবালের নেতৃত্বে খেলবে। সাকিব আল হাসান দলে ফিরেছেন। মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহর ক্যারিয়ারের সূর্য এখন মধ্যগগনে। লিটন, সৌম্য ও মোস্তাফিজুর রহমানরা হয়ে উঠেছেন দলের ভরসার নাম। ফলে শক্তিমত্তায় বাংলাদেশ অনেক এগিয়ে।

প্রথম ওয়ানডেতে বাংলাদেশ জিতেছিল ৬ উইকেটে। শুক্রবার জিতল ৭ উইকেটে। দ্বিতীয় ওয়ানডে জয়ের নায়ক মেহেদী হাসান মিরাজও জানালেন, দলগত অভিজ্ঞতা ও শক্তির কারণেই বাংলাদেশ অপ্রতিরোধ্য। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে মিরাজ বলেন,‘দেখুন আমরা ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাথে অনেক ম্যাচই জিতেছি, টানা সাতটা ম্যাচ জিতেছি বিশ্বকাপসহ। অবশ্যই আমাদের আত্মবিশ্বাস অনেক ভালো ছিল এবং সবচেয়ে বড় কথা আমাদের দলের কমিউনিকেশনটা খুব ভালো।’

মিরাজ ধারাবাহিক সাফল্যের জন্য নিজেদের বন্ধন এবং প্রত্যেকের দায়িত্বশীলতার কথা বললেন জোর গলায়, ‘আমাদের দলের বন্ধন খুবই ভালো। যখন যার দরকার তখন সে-ই খেলছে। আমরা যখন ওয়েস্ট ইন্ডিজে গিয়েছিলাম তখন কিন্তু আমাদের দলের প্রত্যেকটা খেলোয়াড় ভালো করেছে। বিশেষ করে শুধু বোলাররা ভালো করেছে তা না, ব্যাটসম্যানরাও ভালো করেছে। এই কম্বিনেশনের জন্যই হয়ত আমরা ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে ভালো জিততে পেরেছি।’

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে পঞ্চম ওয়ানডে সিরিজ জয়। একই সঙ্গে টানা তৃতীয়। দলীয় বন্ধনের এ যেন অপরূপ নিদর্শন।