আজ জয় ছাড়া অন্য কিছু ভাবছেনা টাইগাররা

আফগানিস্তানের বিপক্ষে জয় ছাড়া অন্য কিছুই ভাবছে না বাংলাদেশ। জয়ের লক্ষ্যে এশিয়া কাপ ক্রিকেটের ১৪তম আসরের ষষ্ঠ ও `বি` গ্রুপের শেষ ম্যাচে আফগানদের মুখোমুখি হচ্ছে টাইগাররা। এ ম্যাচের বিজয়ী দল গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে সেমিফাইনাল খেলবে।
আজ বৃহসাপতিবার আবুধাবিতে বাংলাদেশ সময় বিকেল সাড়ে ৫টায় শুরু হবে ম্যাচটি।
কিছুদিন আগে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান। সেই স্মৃতি বাংলাদেশের কাছে খুবই বেদনাদায়ক। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ আফগানিস্তানের কাছে হোয়াইওয়াশ হয় সাকিব আল হাসানের নেতৃত্বাধীন দলটি। তাই স্বাভাবিকভাবে প্রতিশোধের আগুন জ্বলে উঠারই কথা বাংলাদেশের।
ম্যাচ নিয়ে মিরাজ বলেন, ‘প্রতিশোধ নিতে আফগানিস্তানকে হারাতেই হবে এমন কোন পরিকল্পনা নেই, নিজেদের সেরাটা দিয়ে ভালো ফল অর্জন করতে মাঠে নামবো আমরা। হারাতেই হবে পরিকল্পনা করে নামলে আসলে হয় না। একটা প্রক্রিয়ার মধ্যে সব কিছু হয়। আফগানিস্তাকে ছোট করে দেখার কিছু নেই বা বড় করেও দেখার কিছু নেই। আমাদের যা আছে, তা দিয়ে নিজেদের সাধ্যমতো চেষ্টা করবো। আমরা সবাই মানসিকভাবে শক্ত আছি। ইনশাআল্লাহ ভালো কিছু হবে।’
বাংলাদেশের চিন্তার কারণ হতে পারে আফগানিস্তানের দুই স্পিনার রশিদ খান ও মুজিব-উর-রহমান। কিন্তু তাদেরকে খেলা যাবে না, এমনটা মনে করেন না বাংলাদেশের মিডল-অর্ডার ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ মিঠুন। তিনি বলেন, ‘নিঃসন্দেহে রশিদ ও মুজিব বিশ্বমানের বোলার। কিন্তু তার মানে এই নয় যে, তাদের খেলা যাবে না। আমরা যদি পরিকল্পনা মোতাবেক খেলতে পারি তবে সমস্যা হবার কথা নয়।’
তবে বাংলাদেশ দলের সবচেয়ে বড় দুশ্চিন্তার নাম ইনজুরি সমস্যা। কিন্তু টাইগার দলের বড় দুশ্চিন্তার বিষয় হতে পারে তামিম ইকবালের অনুপস্থিতি। কিন্তু আঙ্গুলে চিড় ধরায় এশিয়া কাপ শেষ হয়ে গেছে তামিমের। ফলে তামিমের জায়গায় দলের হয়ে ইনিংস উদ্বোধন করতে পারেন নাজমুল হোসেন শান্ত। দেশের হয়ে মাত্র এক টেস্ট খেলেছেন শান্ত। ওয়ানডেতে নিজেকে উজার করে দেয়ার পণ করেছেন শান্ত। তিনি বলেন, ‘একটি টেস্ট খেলার পর এইচপি ক্যাম্প, ‘এ’ দল মোটামুটি সব জায়গায় খেলেছি। ব্যাট হাতে ভালো রানও করেছি। তো সব মিলিয়ে প্রস্তুতি খুবই ভালো। এখন যদি সুযোগ পাই চেষ্টা করবো যে প্রস্তুতিটা এতদিন নিয়েছি, যে রকম আত্মবিশ্বাসী আছি সেভাবে ম্যাচেই কাজে লাগানো।’
ইনজুরি নিয়ে শ্রীলংকার বিপক্ষে ১৪৪ রানের মহাকাব্যিক এক ইনিংস খেলেছেন মুশফিক। ১১টি চার ও ৪টি ছক্কায় ১৫০ বলে নিজের ইনিংস সাজান তিনি। শেষ চারের কথা মাথায় রেখে আফগানিস্তানের বিপক্ষে মুশফিককে বিশ্রামে রাখতে পারে বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্ট।
ওয়ানডেতে বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান সর্বশেষ মুখোমুখি হয়েছিলো ২০১৬ সালে। বাংলাদেশের মাটিতে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ অনুষ্ঠিত হয়েছিলো। ২-১ ব্যবধানে সিরিজটি জিতেছিলো মাশরাফির নেতৃত্বাধীন দলটি। এছাড়া ওয়ানডে ক্রিকেটে খুব বেশি মুখোমুখিও হয়নি বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান। এখন পর্যন্ত ৫বার মুখোমুখি হয়েছে দু’দল। ৩বার জয় পেয়েছে টাইগাররা। ২বার জিতেছে আফগানরা।
বাংলাদেশ দল: মাশরাফি বিন মর্তুজা (অধিনায়ক),সাকিব আল হাসান, মোহাম্মদ মিথুন, লিটন দাস, মুশফিকুর রহিম, আরিফুল হক, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, মোসাদ্দেক হোসেন, মেহেদি হাসান মিরাজ, নাজমুল ইসলাম অপু, রুবেল হোসেন, মুস্তাফিজুর রহমান, আবু হায়দার রনি, নাজমুল হোসেন শান্ত ও মোমিনুল হক।
আফগানিস্তান দল: আসগর আফগান (অধিনায়ক), মোহাম্মদ শাহজাদ, ইহসানুল্লাহ জানাত, জাবেদ আহমাদি, রহমত শাহ, হাশমত শহিদি, মোহাম্মদ নবী, রাশিদ খান, নজিবুল্লাহ জাদরান, মুজিব উর রহমান, আফতাব আলম, সামিউল্লাহ সিনওয়ারি, মুনির আহমেদ কাকার, সৈয়দ আহমদ শেরজাদ, শরাফুদিন আশরাফ ও ওয়াফাদার।