English Version
আপডেট : ১৮ আগস্ট, ২০১৮ ১৩:৫৬

এক পা নিয়েও এশিয়া কাপ খেলবেন কোহলি!

অনলাইন ডেস্ক
এক পা নিয়েও এশিয়া কাপ খেলবেন কোহলি!

ইংল্যান্ডের বিপক্ষে লর্ডস টেস্ট চলাকালীন সময়ে ভারতীয় অধিনায়ক ভিরাট কোহলির পিঠের পুরনো ইনজুরি মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। টানা ক্রিকেটের ধকল সহ্য করে পারফর্ম করে যাওয়া কোহলি লর্ডসের পর নটিংহ্যাম টেস্টের জন্য নিজেকে তৈরি করেছেন।

পিঠের ইনজুরির সাথে যুদ্ধ করে খেলবেন সিরিজ বাঁচানোর ম্যাচে। কিন্তু টানা ক্রিকেটের ধকল সহ্য করে ইংল্যান্ডে চলমান পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলতে পারবেন তো কোহলি? নটিংহ্যামে সিরিজের তৃতীয় টেস্টের আগে নিজের ফিটনেস নিয়ে কোহলি বলেছেন,

‘এখন ভালো অনুভব করছি। এই সমস্যাটি আসা যাওয়ার মধ্যে আছে। ২০১১ সালে প্রথম এই ইনজুরি দেখা দেয়। কর্মভারের সাথে এমন সমস্যা জড়িত। আর পিঠের ইনজুরিতে নিয়ে কিছুই নিশ্চিত করে বলা যায়, কখন কি হয় কিছুই অনুমান করা সম্ভব না। আপনি শুধু আশেপাশের পেশির শক্তি বাড়িয়ে নিতে পারেন। বিশ্রাম ও পুনর্বাসনের মধ্য দিয়ে আমাকে আগের জায়গায় নিয়ে যায়। আর আমার এই নিয়ে দুইবার এমন হলো। এখন আমি জানি কিভাবে মানিয়ে নিতে হয়।’

চলমান ইংল্যান্ড সফর শেষ হবে সেপ্টেম্বরের ১১ তারিখ, ওভাল টেস্টের মধ্য দিয়ে। তার চার দিন পরেই আরব আমিরাতে এশিয়া কাপের আসর শুরু। চলতি বছরের শেষে আবার অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে গুরুত্বপূর্ণ সিরিজ রয়েছে ভারতের। এমন অবস্থায় এশিয়া কাপে ভিরাট কোহলিকে বিশ্রাম দেয়া নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। স্টার স্পোর্টস ধারাভাষ্যকার ও সাবেক অস্ট্রেলিয়ান কিংবদন্তী ডিন জোন্স অবশ্য ভিন্ন চিন্তা করছেন। তার ভাষায়,

‘প্লেয়ারদের কর্মভারের বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ। ভিরাটকে যতটুক চিনি, সে এক পা নিয়েও এশিয়া কাপ খেলতে চাইবে। এশিয়া কাপ একটি মর্যাদাপূর্ণ টুর্নামেন্ট। সে চাইবে এই টুর্নামেন্টে থাকতে। এছাড়া কোহলি না থাকলেও সেটা ভারতের জন্য মঙ্গল বয়ে আনবে। এর ফলে আরেকজনের সুযোগ মিলবে নজরে আসার।’

ডিন জোন্স আরও বলেন, ‘এরপর আবার অস্ট্রেলিয়া সিরিজ আছে। কিন্তু ক্রিকেটার হিসেবে তাকে ইংল্যান্ডের চলমান সিরিজ পার করে আসতে হবে, এরপর এশিয়া কাপ ও অস্ট্রেলিয়া সিরিজ। আপনাকে বুঝতে হবে কোনটাকে প্রাধান্য দেয়া উচিত। ভিরাটের হয়ে যদি চিন্তা করি, তাহলে তিনটি বড় সিরিজ সে জিততে চাইবে। বিশ্বকাপ জয়, অস্ট্রেলিয়ায় সিরিজ জয় ও এশিয়া কাপ।’

জানিয়ে রাখা ভালো, ২০১৭ সাল থেকে এখন পর্যন্ত সর্বমোট ১৩৮ দিন খেলার মধ্যে ছিলেন ভারতীয় অধিনায়ক, যা বিশ্বের যে কোন ক্রিকেটারের চেয়ে অনেকাংশে বেশি।