English Version
আপডেট : ২২ জুলাই, ২০১৮ ১৮:৩১

কঠিন সংকটে বাংলাদেশের ক্রিকেট!

অনলাইন ডেস্ক
কঠিন সংকটে বাংলাদেশের ক্রিকেট!

সাবেক প্রধান কোচ চন্দিকা হাথুরুসিংহে চলে যাওয়ার পর থেকেই বাংলাদেশের ক্রিকেটে যেন শনির দশা চলছে। তিন ফরম্যাটেই একের পর এক পরাজয়; টেস্টের অবস্থা তো সবচেয়ে খারাপ।

সম্প্রতি ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে হোয়াইটওয়াশ হওয়াসহ বেশ কিছু লজ্জার রেকর্ড হয়েছে। এর মধ্যেই জানা গেছে, কয়েকজন তারকা টেস্ট খেলতে চান না! সব মিলিয়ে তীব্র সংকটের মুখে দেশের টেস্ট ক্রিকেট।

টেস্ট ক্রিকেটে সর্বশেষ ৬ ইনিংসে বাংলাদেশের স্কোর ২০০ অতিক্রম করতে পারেনি! এর মাঝে পাঁচ ইনিংসেই দেড়শর নিচে। যা গত ৬০ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম! নিজেদের সর্বনিম্ন ৪৩ রানে অল-আউট হওয়ার লজ্জা পেতে হয়েছে অ্যান্টিগা টেস্টে। ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে আজ থেকে শুরু হতে চলা ওয়ানডে সিরিজের দুদিন আগে নতুন করে বোমা ফাটিয়েছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।

পাপনের ভাষ্যমতে, অধিনায়ক সাকিব আল হাসান, মুস্তাফিজুর রহমান এবং রুবেল হোসেনরা টেস্টে খেলতে চান না! আরও কয়েকজন এমন গাইগুঁই করছেন। টি-টোয়েন্টির এই যুগে টেস্ট ক্রিকেট খেলে কেউ খেলাটা শিখতে চায় না। এদিকে মুস্তাফিজকে বিদেশি লিগে খেলতে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। সবচেয়ে বড় কথা হলো, এই প্রতিটি ক্ষেত্রে নতুন কোচ স্টিভ রোডসের কোনো ভূমিকাই চোখে পড়ছে না!

বিসিবির মিডিয়া কমিটির ম্যানেজার জালাল ইউনুস বলেছেন, ‘আমরা সবসময়ই চাই, ঘরোয়া প্রথম শ্রেণির লিগ খেলে ক্রিকেটাররা জাতীয় দলে উঠে আসুক। আন্তর্জাতিক বিরতির মাঝে জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলার ব্যাপারেও আমরা কথা বলি। কিন্তু বেশিরভাগই তখন পারিবারিক সমস্যা কিংবা অন্যান্য কোনো কারণ দেখিয়ে নিজেদের সরিয়ে নেয়।’

বোমা ফাটানোর পর নাজমুল হাসান পাপন বলেছিলেন, চার বছর ধরে বিসিবির পরিকল্পনা আছে একটি আলাদা টেস্ট স্কোয়াড গঠনের। যেখান দু-তিনজন ক্রিকেটার কমন থাকবে। সেটি এখনও বাস্তবায়িত হয়নি। আসলে টেস্ট ক্রিকেট খেলার মানসিকতা হারিয়ে গেছে এ যুগের তরুণদের মাঝ থেকে। সবাই নাকি টি-টোয়েন্টি খেলতে চায়।

এদিকে জালাল ইউনুস আরও বলেছেন, ‘আমরা এতদিন অনেক নমনীয় মনোভাব দেখিয়েছি। কিন্তু আর নয়। এখন থেকে ক্রিকেটারদের নিয়মকানুনের প্রতি কঠোর হবে বিসিবি। কারণ আমরা জানতে পেরেছি, বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার টেস্ট খেলতে চায় না।’

দেশের ক্রিকেটের হর্তাকর্তারা যখন এ ধরণের কথা বলে অসহায়ত্ব প্রকাশ করেন, তখন টেস্ট ক্রিকেটের ভবিষ্যত নিয়ে সংশয় জাগাই স্বাভাবিক। টেস্ট ক্রিকেটের প্রতি এখনকার প্রজন্ম আগ্রহ হারাচ্ছে এটা অনেকটাই সত্যি; কিন্তু ক্রিকেটের বনেদি এই ভার্সনের প্রতি তরুণদের আকর্ষিত করতে কী উদ্যোগ নিয়েছে বিসিবি?