English Version
আপডেট : ২৯ জুন, ২০১৮ ২২:৪৪

বিশ্বকাপে ফ্রান্সের মুখোমুখি মানেই ফাইনাল নিশ্চিত আর্জেন্টিনার!

অনলাইন ডেস্ক
বিশ্বকাপে ফ্রান্সের মুখোমুখি মানেই ফাইনাল নিশ্চিত আর্জেন্টিনার!

ফ্রান্স কি একটু কঠিন প্রতিপক্ষ হয়ে গেল মেসিদের জন্য? শুরুর ইঙ্গিত তাই দেয়। নিজেদের প্রথম ম্যাচে আইসল্যান্ডের সাথে ড্র এবং দ্বিতীয় ম্যাচে ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে লজ্জাজনক হার। এরপরই উল্টে যায় পাশার দান। নাইজেরিয়াকে কোনোমতে হারিয়ে বিশ্বকাপের স্বপ্ন টিকে থাকে সাদা-আকাশি শিবিরের। তবে শেষ ষোলোতেই ভেঙে যেতে পারে সেই স্বপ্ন। কারণ কোয়ার্টার ফাইনালে উঠতে হলে মেসিদের লড়তে হবে ফ্রান্সের বিপক্ষে। অনেকের চোখে এবারের বিশ্বকাপে অন্যতম সেরা দল এই ফ্রান্স। দলটিতে এমবাপ্পে, জিরুদ, গ্রিজম্যান, উসমান ডেম্বেলে, পল পগবা, স্যামুয়েল উমতিতির মতো তারকা রয়েছেন। হার্নান ক্রেসপোর মতো ফুটবলবোদ্ধা মনে করছেন, এই ফরাসি দলটির সঙ্গে পেরে উঠবে না আর্জেন্টিনা। এসব শুনে আর্জেন্টিনা–সমর্থকদের কারো যদি মন ভার হয়েও থাকে, এই তথ্য মুখে হাসির ঝলমলে রোদ এনে দেবে। বিশ্বকাপে ফ্রান্সের মুখোমুখি হওয়া মানেই যে ফাইনাল নিশ্চিত আর্জেন্টিনার। এমনকি শিরোপাও আসতে পারে ঘরে!

কে কি বললো, সেই হিসাব পরে করা যাবে। পরিসংখ্যান বলছে, ফ্রান্সকে হারাতে বেগ পেতে হবে না আর্জেন্টিনার। কারণ এর আগে বিশ্বকাপে দুই দলের দেখা হয়েছিল দুবার। ১৯৩০ ও ১৯৭৮ বিশ্বকাপে। দুটি বিশ্বকাপেই আর্জেন্টিনা ফাইনালে গিয়েছিল। এর মধ্যে ১৯৭৮ বিশ্বকাপে তো ঘরে এসেছিল শিরোপা। আর্জেন্টিনার প্রথম শিরোপা। অবশ্য ফ্রান্সের সঙ্গে বিশ্বকাপে আগের দুবারই গ্রুপ পর্বে মুখোমুখি হয়েছে আর্জেন্টিনা। এবারই প্রথম দেখা হয়ে যাচ্ছে নকআউট পর্বে।

শুধু বিশ্বকাপের মঞ্চেই নয়; প্রীতি ম্যাচের মুখোমুখি পরিসংখ্যানে আর্জেন্টিনা ঢের এগিয়ে আছে ফ্রান্সের চেয়ে। নয়টি প্রীতি ম্যাচে আর্জেন্টিনা হেরেছে মাত্র দুবার। চারটিতে জিতেছে। বাকি তিন ম্যাচ ড্র।

আর্জেন্টিনা আরেকটি তথ্যে আত্মবিশ্বাস খুঁজে পেতে পারে। ১৯৮৬ সালের পর কখনো ফ্রান্সের কাছে তারা হারেইনি। অবশ্য এরপর দুই দলের দেখাই হয়েছে দুবার। সর্বশেষ দেখা ২০০৯ সালে। গত ৯ বছরে দুই দলের কোনো ম্যাচ হয়নি।

এই ফ্রান্সও এখন অন্য এক দল। তারকা আর প্রতিভার কমতি নেই। আর আর্জেন্টিনা উঠেছে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে। তবে এ-ও সত্যি, গত ম্যাচটাই হয়তো মানসিকভাবে বেশি এগিয়ে রাখবে আর্জেন্টিনাকে। যদিও শক্তি ও সাম্প্রতিক ফর্মের বিবেচনায় সবাই ফ্রান্সকেই মানছে ফেবারিট।