English Version
আপডেট : ১৭ এপ্রিল, ২০১৮ ১১:২৭

বেতন বাড়ছে মাশরাফি-সাকিবদের

অনলাইন ডেস্ক
বেতন বাড়ছে মাশরাফি-সাকিবদের

গত বছর এপ্রিলে ক্রিকেটারদের বেতন ও ম্যাচ ফি প্রায় দ্বিগুণ বাড়িয়েছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। ক্রিকেট পরিচালনা কমিটির প্রধান আকরাম খান আজ জানালেন, এই এপ্রিলেও বেতন বাড়ছে মাশরাফি-সাকিবদের।

পরশু বিসিবির পরিচালনা পরিষদের সভা। এ সভায় খেলোয়াড়দের বেতন বাড়ানোর প্রস্তাব করবে ক্রিকেট পরিচালনা কমিটি। মাশরাফিদের বেতন কত শতাংশ বাড়বে, সেটি অবশ্য বলতে পারলেন না আকরাম, তিনি বলেন, গতবার আমরা প্রায় ১০০ শতাংশ বাড়িয়েছিলাম। ধীরে ধীরে আরও বাড়াব।

খেলোয়াড়দের বেতন প্রায় প্রতিবছরই কিছু কিছু করে বাড়িয়ে আসছে বিসিবি। তবে গতবার ক্রিকেটারদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বেতনের অঙ্কে বড় পরিবর্তন আনে বিসিবি। মাশরাফি-সাকিবদের মতো ‘এ প্লাস’ শ্রেণিতে থাকা খেলোয়াড়দের বেতন আড়াই লাখ থেকে বাড়িয়ে করা হয় ৪ লাখ টাকা। ‘এ’ শ্রেণিতে থাকা মাহমুদউল্লাহর ২ লাখ থেকে বাড়িয়ে ৩ লাখ; ‘বি’ শ্রেণিতে ইমরুল কায়েস, মুমিনুল হক, সাব্বির রহমান ও সৌম্য সরকারের দেড় লাখ থেকে বাড়িয়ে ২ লাখ; ‘সি’ শ্রেণিতে রুবেল হোসেন, তাসকিন আহমেদ, মোস্তাফিজুর রহমান ও মোসাদ্দেক হোসেনদের ১ লাখ থেকে বাড়িয়ে দেড় লাখ এবং ‘ডি’ শ্রেণিতে নতুন অন্তর্ভুক্ত হওয়া ক্রিকেটারদের বেতন ৭৫ হাজার থেকে বাড়িয়ে করা হয় ১ লাখ টাকা।

এবার অবশ্য গতবারের মতো বেতন একলাফে দ্বিগুণ বাড়ার সম্ভাবনা কম। বাংলাদেশের আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপটে খেলোয়াড়দের বেতনের অঙ্কটা বিশাল। তবে অন্যান্য দেশের ক্রিকেটারদের তুলনায় যথেষ্ট কম কি না, এমন একটা আলোচনা রয়েছে। বেতন প্রসঙ্গে আকরাম খান যদিও অন্য দেশের সঙ্গে তুলনায় যেতে চান না, ‘বেতনকাঠামো নিয়ে অন্য দেশের সঙ্গে তুলনা করা ঠিক নয়। আমরা প্রতিবছর সাধারণত বাড়াই। এবারও বাড়াব।’

বেতন বাড়ানোর সংবাদে খেলোয়াড়েরা খুশি হলেও কারও কারও জন্য দুঃসংবাদও আছে। কেন্দ্রীয় চুক্তিতে খেলোয়াড়ের সংখ্যা কমাতে চাইছে বিসিবি। গত চুক্তিতে ছিলেন ১৬ ক্রিকেটার। এবার সংখ্যাটা কমবে। কজন বাদ পড়তে যাচ্ছেন, সেটি অবশ্য এখনই বলতে পারলেন না আকরাম, তিনি বলেন, আমরা প্রস্তাব এখনো চূড়ান্ত করতে পারিনি। কাল ঠিক করে ফেলব। তবে এটা ঠিক, চুক্তিতে খেলোয়াড় কমবে। অনেক কিছু বিবেচনা করতে হচ্ছে। খেলোয়াড়ের সংখ্যা কম থাকলে ভালো হয়। পরিচালনা পর্ষদের সভা এপ্রিলে হলেও নতুন বেতনকাঠামো কার্যকর হবে ২০১৮ সালের জানুয়ারি থেকে।