English Version
আপডেট : ৪ নভেম্বর, ২০১৭ ১২:০৫

পরিসংখ্যানে বিপিএলের পূর্বের চার আসর

অনলাইন ডেস্ক
পরিসংখ্যানে বিপিএলের পূর্বের চার আসর

অাজ থেকেই শুরু যাচ্ছে বাংলাদেশের ঘড়োয়া লিগের সবচেয়ে বড় আসর বিপিএল। সব দলই প্রস্তুত তাঁদের সেরাটা দিয়ে লড়াই করতে। আর এবার এই প্রথম সিলেট থেকে শুরু হচ্ছে বিপিএলের যাত্রা।

ছয়টি দল নিয়ে প্রথম বারের মত ২০১২ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি শুরু হয় বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ (বিপিএল)। ২০১২ সাল থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত মোট ৪ বার এই টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হয়েছে। যেখানে ৩ বার ঢাকা এবং ১ বার কুমিল্লা চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। ৪ নভেম্বর থেকে শুরু বিপিএলের পঞ্চম আসর। যেখানে এবার মোট ৭ টি দল অংশ গ্রহন করবে। তবে এবার অংশগ্রহণ করছে না বরিশাল ফ্রাঞ্চাইজি। শক্তি এবং নামের বিচারে এখন পর্যন্ত শক্তিশালী দল গড়েছে রংপুর ও ঢাকা। তবে মাঠের খেলায় পাল্টে যেতে পারে অনেক কিছু।

এর আগে প্রকাশিত হয়েছিল ব্যাটিং রেকর্ড ও বোলিং-ফিল্ডিং রেকর্ড। আজ জেনে নেই বিগত চার মৌসুমে বিপিএলের দলগত কিছু রেকর্ড।

বিপিএলের ব্যাটিং রেকর্ডের দিকে সবচেয়ে বেশি অবাক হতে হয় একটি নাম শুনে, মুশফিকুর রহিম। কারণ তিনিই বিপিএলের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক! বরাবরের মতই সবচেয়ে বেশি ওভার বাউন্ডারি হাঁকানোতে সবার ওপরে আছেন ক্রিস গেইল। সেই সঙ্গে সর্বোচ্চ এক ম্যাচে সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ ২১৭, আর সর্বনিম্ন ৪৪।

বিপিএলের ব্যাটিং রেকর্ডে টাইগারদের আধিপাত্য থাকলেও, বোলিং রেকর্ডে বিদেশিদেরই নাম বেশি। বিপিএলের চার আসর মিলিয়ে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারীদের তালিকায় সবার ওপরে আছেন সাকিব আল হাসান। আর এক আসরে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারের তালিকায় উপরে আছেন ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান কেভিন কুপার। ইনিংস সেরা বোলিং পাকিস্তানি ফাস্ট বোলার মোহাম্মাদ সামির দখলে। আর উইকেটের পেছনে সবার উপরে আছেন দেশসেরা কিপার মুশফিকুর রহিম। আর এক আসরে সর্বোচ্চ ডিসমিসালের মালিক শ্রীলঙ্কান লেজেন্ড কুমার সাঙ্গাকারা। সর্বোচ্চ ক্যাচ শিকার করে সেরা ফিল্ডারের তকমাটা মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের দখলে।

কিছু রেকর্ড ১.সবচেয়ে বেশী জয় – ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটরস্ / ডাইনামাইট ৩২ ম্যাচ ২.সবচেয়ে বেশী পরাজয় – চিটাগাং কিংস্ / ভাইকিংস – ২৭ ম্যাচ ৩.সবচেয়ে বেশী জয়ের হার – ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটরস্ / ডাইনাসাইট – ৬২.৬২% ৪.সর্বোচ্চ শতক – ক্রিস গেইল ৩টি ৫.সর্বোচ্চ ফিফটি – তামিম ইকবাল, ১২ টি ৬.সর্বোচ্চ জুটি – শাহরিয়ার নাফিজ / লু ভিনসেন (খুলনা রয়েল বেঙ্গল) ৭.সর্বোচ্চ শূণ্যরান – ইমরুল কায়েস, ৬ বার ৮.সবচেয়ে বেশীবার ৪ উইকেট শিকার – কেভিন কুপার, ৩ বার ৯.সবচেয়ে বেশী ম্যাচ – মাহমুদুল্লাহ ও সাব্বির, ৫১ ম্যাচ ১০.অধিনায়ক হিসেবে সর্বোচ্চ ম্যাচ – রিয়াদ ও মাশরাফি, ৪৫ টি।

বিপিএল গত চার আসর বিপিএল ১, ২০১২  ম্যান অব দ্যা টুনামেন্ট – সাকিব আল হাসান ( খুলনা রয়েল বেঙ্গল) সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক – আহমেদ শেহজাদ (বরিশাল বুলস্) -১২ ম্যাচে ৪৮৬। সর্বোচ্চ উইকেটশিকারী – ইলিয়াস সানি – ১২ ম্যাচে ১৭ উইকেট, মোঃ সামি – ১১ ম্যাচে ১৭ উইকেট। চ্যাম্পিয়ন – ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটরস্ রার্নাসআপ – বরিশাল বার্নাস সেমি ফাইনালিস্ট – দুরন্ত রাজশাহী ও খুলনা রয়েল বেঙ্গল। সর্বোচ্চ স্কোর – ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটরস্ ২০৮/৫ বনাম বরিশাল বুলস্।

বিপিএল সিজন ২, ২০১৩ ম্যান অব দ্যা টুনামেন্ট – সাকিব আল হাসান (ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটরস্) সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক :- মুশফিকুর রাহিম (সিলেট রয়েলস্) -৪৪০ রান। সর্বোচ্চ উইকেট – আলফেন্স্ থমাস (ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটরস্) – ২০ উইকেট। চ্যাম্পিয়ন – ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটরস্ রানার্সআপ – চিটাগাং কিংস্ ৩য় – সিলেট রয়েলস্ ৪র্থ – দুরন্ত রাজশাহী সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ – ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটরস্ ২১৭/৪ বনাম রংপুর রাইডার্স ।

বিপিএল সিজন ৩, ২০১৫ ম্যান অব দ্যা টুনামেন্ট – আসার জাইদি (কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস ) সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক – কুমার সাঙ্গাকারা (ঢাকা ডাইনামাইট) – ৩৪৯ রান। সর্বোচ্চ উইকেট সংগ্রাহক – কেভিন কুপার (বরিশাল বুলস্) -২২ টি। চ্যাম্পিয়ন – কুমিল্লা ভিক্টেরিয়ান্স্ রানার্স আপ – বরিশাল বুলস্ ৩য় – রংপুর রাইডার্স  ৪র্থ – ঢাকা ডাইনামাইটস্ সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রাহক – বরিশাল বুলস্ ২১১/৩ বনাম চিটাগাং ভাইকিংস।

বিপিএল সিজন ৪, ২০১৬ ম্যান অব দ্যা টুনামেন্ট – মাহামুদুল্লাহ রিয়াদ (খুলনা টাইটানস্) সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহক – তামিম ইকবাল (চিটাগাং ভাইকিংস)- ৪৭৬ রান। সর্বোচ্চ উইকেট সংগ্রাহক – ডিজে ব্যাভো (ঢাকা ডাইনামাইট) – ২১ উইকেট। চ্যাম্পিয়ন – ঢাকা ডাইনামাইট রানার্স আপ – রাজশাহী কিংস্ ৩য় – খুলনা টাইটানস্ ৪র্থ – চিটাগাং ভাইকিংস্ সর্বোচ্চ স্কোর – ১৯৪/৫ বনাম কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস ।

দলগত রেকর্ড ঢাকা ডাইনামাইটস্ /গ্ল্যাডিয়েটরস্ ম্যাচ – ৫১, জয় -৩২, পরাজয় – ১৯, জয়ের হার – ৬২.৭৫% ২০১২- চ্যাম্পিয়নস, ২০১৩ – চ্যাস্পিয়নস্, ২০১৫ – ৪র্থ, ২০১৬ – চ্যাম্পিয়নস

খুলনা টাইটানস্ / রয়েল বেঙ্গল ম্যাচ – ৩৭, জয় – ১৬, পরাজয় – ২১, জয়ের হার – ৪২.২৪% ২০১২ – ৪র্থ, ২০১৩ – ৭ম, ২০১৫ – নাই, ২০১৬ – ৩য়।

রাজশাহী কিংস্ /দুরন্ত ম্যাচ – ৩৯, জয় -২০ ; হার -১৯; জয়ের হার -৫১.২৮% ২০১২ – ৩য়, ২০১৩ -৪র্থ, ২০১৫ – নাই ; ২০১৬ – ২য়।

বরিশাল বুলস্ / বানার্স ম্যাচ – ৪৮, জয় -২৪, পরাজয় -২৫, জয়ের হার – ৪৮.৯৮% ২০১২ -২য়, ২০১৩ -৫ম, ২০১৫- ২য়, ২০১৬ – ৭ম।

সিলেট রয়েল/ সুপার স্টারস্ ম্যাচ -৩৪, জয় – ১৪; পরাজয় – ২০, জয়ের হার – ৪১.১৭% ২০১২ -৬, ২০১৩ -৩য়, ২০১৫ – ৫ম, ২০১৬ – নাই।

চিটাগাং ভাইকিংস / কিংস্ ম্যাচ – ৪৮, জয় – ২১, পরাজয় – ২৭, জয়ের হার – ৪৩.৭৫% ২০১২ – ৫ম, ২০১৩ – ২য়, ২০১৫ -৬, ২০১৬ – ৪র্থ।

রংপুর রাইডার্স ম্যাচ -৩৬, জয় – ১৮, পরাজয় – ১৭, জয়ের হার – ৫০%। ২০১২ – নাই, ২০১৩ – ৫ম, ২০১৫ – ৩য়, ২০১৬ – ৫ম।

কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস  ম্যাচ – ২৪, জয় – ১৪, হার – ১০, জয়ের হার – ৫৮.৩৩ % ২০১২ – নাই; ২০১৩ – নাই; ২০১৫ – চ্যাম্পিয়ন, ২০১৬ – ৬।