English Version
আপডেট : ২৮ আগস্ট, ২০১৭ ০৬:৫০

বাংলাদেশকেই ড্রাইভিং সিটে দেখছেন সাকিব

অনলাইন ডেস্ক
বাংলাদেশকেই ড্রাইভিং সিটে দেখছেন সাকিব

দিনের শুরুটা হয়েছিল ভয়ংকর রকমের বাজে। চার ওভারেই নেই টপ অর্ডারের ৩ উইকেট। রুদ্রমূর্তি ধারণ করা প্যাট কামিন্সকে তখন শিকারের নেশায় পেয়ে বসেছিল। আর তখনই নিজেদের পঞ্চাশতম টেস্ট খেলতে নামা সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবালের প্রতিরোধের দেয়াল তুলে দেওয়া। আর এটাই প্রথম দিনশেষে এগিয়ে রেখেছে বাংলাদেশকে। দলের সেরা ক্রিকেটার সাকিবও বললেন একই কথা। প্রথম দিনশেষে নিজেদের কিছুটা ড্রাইভিং সিটেই দেখছেন বিশ্বসেরা অল রাউন্ডার।

প্রথম দিনে সাকিব ও তামিমের হাফ সেঞ্চুরিতে ভর করে ২৬০ রান করে বাংলাদেশ। এরপর শেষ বিকেলের ৯ ওভারে ১৮ রানে অস্ট্রেলিয়ার ৩টি উইকেট তুলে নিয়েছে টাইগাররা। ক্যারিয়ারে একই সঙ্গে পঞ্চাশতম ম্যাচের মাইলফলক স্পর্শ এই ম্যাচ দিয়ে করেছেন সাকিব ও তামিম। তাই দুজনই নিশ্চয় চেয়েছিলেন দলের জন্য বাড়তি কিছু করে স্মরণীয় করে রাখতে। পরিস্থিতিও তখন খুব কঠিন। দিনের শেষে সাকিবের কথাতেও সেই কঠিন পরিস্থিতি ও প্রতিরোধের কথাটা উঠে আসে, ‘অনেকটা চ্যালেঞ্জিং ছিলো। আমার কাছে মনে হয় আমরা দুজন খুব ভালো অ্যাপ্লাই করতে পেরেছি। আমাদের জুটিটা ম্যাচের জন্য জরুরি ছিলো। কন্ডিশনের দিক থেকে বিবেচনা করলে খুব ভালো ছিলো। আমরাই একটু ভালো অবস্থায় আছি... আমরা হয়তো এখন ড্রাইভিং সিটেই...।’ নিজেদের ড্রাইভিং সিটে দেখলেও সেটাকে ধরে রাখাকেই গুরুত্ব দিচ্ছেন সাকিব। এখনও উইকেটে বহাল তবিয়তেই আছেন অধিনায়ক স্টিভ স্মিথ। আছেন ম্যাট রেনশ, পিটার হ্যান্ডসকম্ব, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ও ম্যাথু ওয়েডের মতো ব্যাটসম্যান। তাই আত্মতুষ্টিতে না ভুগে ফোকাস রাখতে চান প্রতিপক্ষের দিকেই। প্রতিটি সেশনেই নিজেদের এগিয়ে রাখতে চান বলে জানান সাকিব। বল হাতেও এক উইকেট নেওয়া সাকিব বলেন,‘কালকে একটা নতুন দিন এবং আমাদের আরো সাতটা উইকেট নিতে হবে। সুতরাং সেটাও আমাদের মাথায় আছে। এছাড়া ওদের ভালো কয়েকজন ব্যাটসম্যান আছে। আমাদের ফোকাস ঠিক রাখতে হবে। যেহেতু টেস্ট ম্যাচ। প্রতিটি দিনেই নতুন নতুন পরিস্থিতি আসে। সেগুলো ঠিকভাবে হ্যান্ডল করাটাই জরুরি। প্রতিটা দিন নতুন।’