English Version
আপডেট : ২৭ আগস্ট, ২০১৭ ১১:৫৪

প্রতিরোধের চেষ্টায় তামিম-সাকিব

অনলাইন ডেস্ক
প্রতিরোধের চেষ্টায় তামিম-সাকিব

১০ রানেই তিন উইকেট হারায় বাংলাদেশ। এক এক করে বিদায় নেন সৌম্য সরকার, ইমরুল কায়েস এবং সাব্বির রহমান। তিন উইকেটই ঝুলিতে পুরেছেন ওজি পেসার প্যাট কামিন্স। আউট হওয়ার আগে সৌম্য করেন ৮ রান, বাকি দুজন সাব্বির ও ইমরুলকে খালি হাতেই ফিরতে হয়েছে। তবে চতুর্থ উইকেট জুটিতে শুরুর বড়সড় ধাক্কা সামাল দেয়ার চেষ্টা করছেন তামিম-সাকিব। তাদের ব্যাটে এসেছে অর্ধশত রান।

এরআগে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথমটিতে টস জিতে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেন টাইগার দলনেতা মুশফিকুর রহিম। দুই পেসার এবং তিন স্পিনার নিয়ে ওজিদের বিপক্ষে একাদশ সাজিয়েছে টিম বাংলাদেশ। পেস আক্রমণে কাটার মাস্টার মোস্তাফিজুর রহমানের সঙ্গী প্রস্তুতিতে সাফল্য পাওয়া শফিউল ইসলাম। আর স্পিনে তিন ত্রয়ী সাকিব আল হাসান, মেহেদী হাসান মিরাজ ও তাইজুল ইসলাম।

একাদশে নেই বাংলাদেশের মাটিতে সবচেয়ে সফল টেস্ট খেলোয়াড় মুমিনুল হক। বাদ পড়েছেন লিটন দাস এবং তাসকিন আহমেদ। তবে দুই বছর পর জাতীয় দলের ছেয়ার পেলেন নাসির হোসেন। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ঢাকা টেস্টের ১১ জনের একজন নাসির। সর্বশেষ ২০১৫ সালে সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে দেশের হয়ে টেস্ট খেলেছিলেন নাসির। এরপর আর সাদা জার্সি গায়ে উঠেনি তার।

আজ ৫০তম টেস্ট খেলতে নেমেছেন বাংলাদেশ দলের দুই নির্ভরযোগ্য তারকা সাকিব আল হাসান এবং তামিম ইকবাল। এছাড়া সাকিব আল হাসান অস্ট্রেলিয়া বাদে সবকটি টেস্ট দলের বিপক্ষে বোলিংয়ে পাঁচ উইকেট পেয়েছেন। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে পাঁচ উইকেট পেলে চতুর্থ বোলার হিসেবে এই কীর্তি গড়বেন সাকিব। মাইলফলকের সামনে ওজি স্পিনার নাথান লায়নও। তিন উইকেটের অপেক্ষায় আছেন তিনি। আর মাত্র তিন উইকেট শিকার করলেই অষ্টম অস্ট্রেলিয়ান বোলার হিসেবে ২৫০ উইকেটে পাবেন লায়ন।

২০০৬ সালে বাংলাদেশ সফরে এসেছিল অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দল। সেবার টাইগারদের বিপক্ষে তিনটি ওয়ানডে ও দুইটি টেস্ট ম্যাচ খেলেছিল অজিরা। তারপর বাংলাদেশের বিপক্ষে আর কোনো টেস্ট ম্যাচ খেলেনি অস্ট্রেলিয়া। দীর্ঘ ১১ বছর পর আবার অজিদের মুখোমুখি হচ্ছে বাংলাদেশ। শক্তিমত্তায় বাংলাদেশের চেয়ে অনেক এগিয়ে অস্ট্রেলিয়া। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে এরআগে চারটি টেস্ট খেলেছে বাংলাদেশ। চারটি ম্যাচই হেরেছে টাইগাররা।