English Version
আপডেট : ২৩ আগস্ট, ২০১৭ ১৭:৫৬

৪২ বলে সেঞ্চুরি আফ্রিদির

অনলাইন ডেস্ক
৪২ বলে সেঞ্চুরি আফ্রিদির
ছবিঃ ইন্টারনেট থেকে

 

ন্যাটওয়েস্ট টি-টোয়েন্টি ব্লাস্টে ৪২ বলে সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন প্রাক্তন পাকিস্তানি অধিনায়ক শহীদ আফ্রিদি। হ্যাম্পশায়ারের হয়ে ডার্বিশায়ারের বিপক্ষে ৪৩ বলে ১০ চার ও ৭ ছক্কায় খেলেছেন ১০১ রানের টর্নেডো ইনিংস।

 

আন্তর্জাতিক কিংবা ঘরোয়া ক্রিকেটে একমাত্র টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটেই এতদিন কোনো সেঞ্চুরি ছিল না শহীদ আফ্রিদির। অবশেষে সেই আক্ষেপ দূর করলেন তিনি। মঙ্গলবার রাতে প্রথম কোয়ার্টার ফাইনালের টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমেছিল হ্যাম্পশায়ার।

 

হ্যাম্পশায়ারের হয়ে ওপেনিংয়ে নামেন আফ্রিদি। বল করতে আসা ওয়েইন ম্যাডসেনের প্রথম ওভারেই ৪টি চার হাঁকান তিনি। এরপর ১৮ বলেই করে ফেলেন ৪৫ রান। ম্যাট হেনরিকে টানা দুই ছক্কা হাঁকিয়ে ফিফটি পূর্ণ করেন ২০ বলে। দ্বিতীয় ছক্কাটি ছিল বিশাল, সিটি প্রান্তের ওপর দিয়ে উড়ে গিয়ে পড়ে রাস্তায়।

 

অবশ্য ৬৫ রানে একবার জীবন পেয়েছিলেন আফ্রিদি। উড়িয়ে দেয়া বল হাত থেকে ফেলে দেন ম্যাডসেন। জীবন পেয়ে আরও বেশি মারকুটে হয়ে যান আফ্রিদি। শেষমেশ সাউথ আফ্রিকান স্পিনার ইমরান তাহিরকে চার মেরে ৪২ বলে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন।

 

টি-টোয়েন্টিতে যৌথভাবে দ্বাদশ দ্রুততম সেঞ্চুরি। ২০১৩ সালে ক্রিস গেইলের ৩০ বলে সেঞ্চুরি সবচেয়ে দ্রুততম। সেঞ্চুরির পর মুখোমুখি পরের বলেই আউট  হয়ে সাজঘরে ফিরেন আফ্রিদি।

 

আফ্রিদির ১০১ ও অধিনায়ক ভিন্সের ৩৬ বলে ৫৫ রানের সুবাদে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ২৪৯ রান তোলে হ্যাম্পশায়ার। যেটি দলটির সর্বোচ্চ টি-টোয়েন্টি সংগ্রহ। টি-টোয়েন্টির ইতিহাসে যৌথভাবে অষ্টম সর্বোচ্চ। 

 

হ্যাম্পশায়ারের আগের সর্বোচ্চ ছিল ২২৫, ২০০৬ সালে মিডলসেক্সের বিপক্ষে। কালকের ২৪৯ ডার্বিশায়ারের বিপক্ষেও কোনো দলের সর্বোচ্চ। হ্যাম্পশায়ার ছাড়িয়ে গেছে ২০১৫ সালে এজবাস্টনে ওয়ারউইকশায়ারের ২৪২ রানকে। এই মাঠেও এটি সর্বোচ্চ। ২০০৯ সালে ল্যাঙ্কশায়ারের ২২০ ছিল আগের সর্বোচ্চ।

 

হ্যাম্পশায়ারের রানের পাহাড়ে চাপা পড়ে ১৪৮ রানেই অলআউট হয়ে যায় ডার্বিশায়ার। কাকতালীয়ভাবে হ্যাম্পশায়ারের জয়টাও আফ্রিদির রানের সমান ঠিক ১০১ রানে!