English Version
আপডেট : ২৯ জুলাই, ২০১৭ ১৭:৩৪

শিরোপা ধরে রাখার মিশন শুরু আবাহনীর

শিরোপা ধরে রাখার মিশন শুরু আবাহনীর

 

 

 

পাঁচ গোলের থ্রিলার জিতে শিরোপা ধরে রাখার মিশন শুরু হলো ঢাকা আবাহনীর। প্রিমিয়ার লিগের উদ্বোধনী ম্যাচে নবাগত সাইফ স্পোর্টিং ক্লাবকে ৩-২ গোলে হারাল ধানমন্ডির ক্লাবটি।

 

আবাহনী পাঁচবারের প্রিমিয়ার লিগ চ্যাম্পিয়ন, সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব লিগে নবাগত। দলবদল ইস্যুতে দুই ক্লাবের সম্পর্কে উষ্ণতা ছড়ায়। সাইফ এসসি মৌসুমের প্রথম ম্যাচে আবাহনীকে রুখে দিলে বাইরের উষ্ণতা মাঠেও অনূদিত হয়। আবাহনীর পাঁচ ফুটবলার দলভুক্ত করা দলটি ফেডারেশন কাপ উদ্বোধনী ম্যাচের মতো লিগেও একই মঞ্চ প্রস্তুত করেছিল প্রায়। অভিজ্ঞ নাসিরউদ্দিন চৌধুরীর গোলে রক্ষা ঢাকা আবাহনীর; ৩-২ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে দলটি।

 

নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড এমেকা ডারলিংটনের জোড়া গোলে ২৮ মিনিটেই ম্যাচ একপেশে করে নিয়েছিল আবাহনী। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে স্কোরলাইন ২-১ করে সাইফ। বিরতির পর পঞ্চম মিনিটে ২-২ গোলের সমতায় ম্যাচ জমে ওঠে। সাইফের তরুণ ফুটবলারদের উজ্জীবিত নৈপুণ্যে জয়ে লিগ অভিষেকের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত শীর্ষ লিগে পথচলার শুরু হারের তিক্ত স্বাদে!

 

গত মৌসুমে আবাহনীর শিরোপা জয়ে ভূমিকা রাখা তপু বর্মণ ও জুয়েল রানার গোলে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ায় সাইফ। দুর্দান্ত হেডে দলের দ্বিতীয় গোল করার পর দু’হাত তুলে আবাহনী সমর্থকদের কাছে ক্ষমা চেয়ে ব্যতিক্রমী উদযাপন করেন গত মৌসুমে আকাশি-হলুদদের হয়ে খেলা উইঙ্গার জুয়েল।

 

এ ম্যাচ দিয়ে ঘরোয়া ফুটবলে না হারার রেকর্ড আরো বড় করল ঐতিহ্যবহুল আকাশি-হলুদ জার্সিধারীরা। টানা ৩২ ম্যাচ অপরাজিত রয়েছে দেশের অন্যতম জনপ্রিয় ক্লাবটি। গত মৌসুমে ফেডারেশন কাপের গ্রুপ ম্যাচে আরামবাগের কাছে সর্বশেষ হারের স্বাদ পায় আবাহনী।

 

৪ মিনিটেই সম্ভাবনা তৈরি করেছিল আবাহনী। বাম দিক থেকে ওয়ালী ফয়সালের সেটপিসে বক্সে জটলার মধ্যে থেকে এমেকা ডারলিংটনের টোকা পোস্টের নিশানায় থাকেনি। ১২ মিনিটে সম্ভাবনা জাগায় সাইফ এসসি। ডানদিক থেকে আসা ক্রসে রহিমুদ্দিনের হেড গোলরক্ষক সহিদুল আলম সেভ করেন। ২১ মিনিটে কাঙ্ক্ষিত গোল পায় আবাহনী। রুবেল মিয়ার শট কর্নার থেকে ওয়ালী ফয়সালের ক্রসে এমেকার মাপা হেড সরাসরি জালে জড়ায় (১-০)।

 

২৮ মিনিটে সাইফ এসসি ডিফেন্ডার রহমত মিয়া বক্সে সাদ উদ্দিনকে ট্যাকল করে পেনাল্টির বিপদ ডেকে আনেন। স্পট-কিক থেকে গোল করে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন সেই এমেকা (২-০)। ৪২ মিনিটে হ্যাটট্রিকের সুবর্ণ সুযোগ নষ্ট করেন এমেকা ডারলিংটন। বক্সের বাইরে পাওয়া ফ্রি-কিক পোস্টে শট না নিয়ে ওয়ালী ফয়সাল বল বাড়ান ডানদিকে, সোহেল রানার কাছে। এ মিডফিল্ডারের শট পোস্টের হাত দূরত্বে থেকেও বলে পা ছোঁয়াতে পারেননি দীর্ঘকায় নাইজেরিয়ান।

 

প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে ডানদিক থেকে রহিমুদ্দিনের চমত্কার ক্রস থেকে ওলায়া ভেলেন্সিয়ার জোরালো হেড বাইরে যায়। বিরতির আগেই অবশ্য ব্যবধান কমায় প্রিমিয়ার লিগের নবাগত ক্লাবটি। ডানদিক থেকে জামাল ভূঁইয়ার ফ্রি-কিক বক্সের মধ্যে থেকে হেডে ক্লিয়ার করতে ব্যর্থ হন রায়হান হাসান। পরবর্তীতে এক সতীর্থের মাথা ঘুরে আসা বল হেডে জালে পাঠান তপু বর্মণ (২-১)।

 

বিরতির পর চতুর্থ মিনিটেই দুর্দান্ত গোলে সমতায় ফেরে সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব। বামদিক থেকে রহিমুদ্দিনের ক্রসে জুয়েল রানার জোরালো হেড আবাহনী গোলরক্ষক সহিদুল আলমকে কোনো সুযোগই দেয়নি (২-২)। ৮৪ মিনিটে ডানদিক থেকে রায়হান হাসানের লম্বা থ্রো-ইন রহমত মিয়ার মাথা ঘুরে আসা বল পোস্টের সামনে থেকে হেডে জালে পাঠান নাসিরুদ্দিন (৩-২)।