English Version
আপডেট : ২ জুলাই, ২০১৭ ১৮:২২

আর বিসিবির প্রেসিডেন্ট থাকতে চান না পাপন!

অনলাইন ডেস্ক
আর বিসিবির প্রেসিডেন্ট থাকতে চান না পাপন!

২০১২ সালে অক্টোবরে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) দায়িত্ব নেন নাজমুল হাসান পাপন। পরের বছর হলেন নির্বাচিত। এরপর গত চার বছর সাফল্যের সাথেই দায়িত্বটা পালন করেছেন। এ সময় আমূল পরিবর্তন হয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেটের । বিশ্ব ক্রিকেটে বাংলাদেশ এখন জায়ান্ট একটি দল। তার অনেকটা তো বোর্ডের শীর্ষ কর্তার কৃতিত্বের খাতাতেও যায়। তবে এমন সাফল্যের পরও প্রেসিডেন্ট পদ নিয়ে আর আগ্রহ নেই পাপনের! আইসিসি সভা থেকে ফিরে রোববার দুপুরে এমনটাই জানালেন তিনি। তবে ক্রিকেটের প্রতি ভালবাসার কারণেই বোর্ড ডিরেক্টর হিসেবে থাকতে চান বলেও জানান বিসিবি প্রধান। বিসিবির পরবর্তী নির্বাচন এই বছরেরই সেপ্টেম্বরে। সেখানে নিজের ভূমিকা কি হতে পারে তা নিয়ে পাপন জানালেন, ‘আসলে একদম মনের কথা বলছি। ক্রিকেট বা খেলাধুলা এমন একটা জিনিস যেটা থেকে আমার দূরে থাকা খুব কঠিন। আজকেও আমার স্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়েছে যে ক্রিকেট বোর্ডে যদি থাকতেই হয় ডিরেক্টর হিসেবে থাকাই ভালো। এই প্রেসিডেন্ট পদটা আমার জন্য কঠিন হয়ে যাচ্ছে। এটাই আমার মনের কথা।’ বিসিবি প্রধানের দায়িত্ব ছাড়াও বাংলাদেশের শীর্ষ বেসরকারী প্রতিষ্ঠান বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। এছাড়া রাজনীতিতেও সক্রিয়। তাই পাশাপাশি তিনটি গুরুদায়িত্ব পালন করতে সবসময় হিমশিম খেতে হয়। এর মধ্যে প্রায় সর্বক্ষণই ক্রিকেটকে দিতে হয় বলে জানান তিনি। তাই প্রেসিডেন্ট পদে না থেকে সাধারণ ডিরেক্টর পদকেই প্রাধান্য দিচ্ছেন পাপন। ‘আমার মনে হয় এটা অতিরিক্ত। যে পরিমাণ সময় আমাকে ক্রিকেটে দিতে হচ্ছে এটা প্রায় সর্বক্ষণ। চাপটা অনেক বেশি। ভ্রমণটাও অনেক বেশি হয়ে যাচ্ছে। আইসিসি, এসিসি, তারপর আবার বিসিবি ক্রিকেট এগুলোতো আছেই। চাকরি, রাজনীতিতো আছেই। আর খেলোয়াড় প্রত্যেকের সঙ্গে আমি যেহেতু সরাসরি জড়িত। ওরা সরসারি আমার সঙ্গে যোগাযোগ করে। সব মিলিয়ে চাপটা অনেক-’ বলেছেন বিসিবি কর্তা। গত চার বছরে শুধু মাঠের সাফল্য পেয়েছেন পাপন এমন নয়। ভবিষ্যতে উন্নয়নের ধারা বজায় রাখাতে কাঠামোগতভাবেও অনেক পরিবর্তন এনেছেন তিনি। তাই তার জায়গায় যিনি আসবেন তিনিও ভালো করবেন বলে বিশ্বাস করেন পাপন, ‘আমি জানি যেই আসুক খারাপ হবে না। এখন ক্রিকেটের অনেক সমস্যা সমাধান করা হয়েছে। সব হয়তো সম্ভব হয়নি। বাংলাদেশ দলের যে ধারা আছে আগামী আট বছর কোনো সমস্যা হওয়ার কথা না। উন্নতির ধারা থাকবে বলে আমার ধারণা। কেউ এসে চাইবে না তার সময়ে খারাপ কিছু হোক।’