English Version
আপডেট : ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ ১৮:৫১

লড়াই করছে মুশফিক-মিরাজ

অনলাইন ডেস্ক
লড়াই করছে মুশফিক-মিরাজ

সারাটা দিন লড়ে গেলেন মুশফিকুর রহীম-বিকালে যুক্ত হলেন মেহেদি মিরাজ। তবে বাংলাদেশের দলের অধিনায়ক পুরস্কারটা পেলেন দিনের শেষে এসে। মুশফিকের লড়াইয়েই হায়দ্রাবাদ টেস্টের তৃতীয় দিন শেষে প্রথম ইনিংসে প্রতিরোধটা টিকে আছে বাংলাদেশের। ভারতের ৬৮৭ রানের পাহাড়ের জবাবে শনিবারের শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ৩২২। ফলো-এন এড়ানো এখনো কঠিন, আরো কঠিন ভারতের ইনিংস ছাড়িয়ে যাওয়া। কিন্তু ভারতীয় বোলারদের সামনে দেয়াল হয়ে ওঠা মুশফিক এদিন ফিরেছেন দারুণ এক মাইলফলক নিয়ে। দেশের মাত্র চতুর্থ ব্যাটসম্যান হিসেবে টেস্টে ৩০০০ রান তো এদিন তার জন্য পুরস্কারের মতোই লাগার কথা।

দিনের প্রথম সেশনের শেষটায় মুশফিক এলেন উইকেটে। ১০৯ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে তখন বিপদে তার দল। এদিনই না আবার ব্যাট করতে নামতে হয়, সেই শঙ্কা মাথায় নিয়ে শুরু। এরপর অভিজ্ঞ সাকিব আল হাসান ও তরুণ মেহেদী হাসান মিরাজের সাথে দুটি লড়াকু জুটি গড়ে মুশফিক শেষ করেছেন দিনটা। ২০৬ বলের অসীম ধৈর্য্যের লড়াইটা এখনো শেষ হয়নি। ১২ চারে ৮১ রান নিয়ে ক্যাপ্টেন অপরাজিত। মেহেদী অপরাজিত ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটিটাকে ৫১ রানে নিয়ে।

বাংলাদেশের হয়ে যারা এখন পর্যন্ত ৩০০০ রান পেরিয়েছেন তাদের মধ্যে অবশ্য মুশফিক খেলেছেন সবচেয়ে বেশি ম্যাচ। এটি তার ৫২তম ম্যাচ। অসমাপ্ত ৯৫তম ইনিংস। রান ৩০০৩। সর্বোচ্চ ২০০। সেঞ্চুরি ৪টি। গড় ৩৪.৫১।

এই তালিকার শীর্ষ দুটি নাম মুশফিকের দলেরই দুই লড়াকু সেনার। সহ-অধিনায়ক তামিম ইকবাল ৪৭ টেস্টের ৮৯ ইনিংসে ৮ সেঞ্চুরিতে ৩৯.৩৯ গড়ে ৩৪৬৭ রান নিয়ে সবার আগে। সাকিব ঠিক পরের জায়গাটিতে ৪৭ টেস্টের ৮৭ ইনিংসে ৪ সেঞ্চুরিতে ৪১.১৮ গড়ে ৩২৯৫ রান নিয়ে। বাংলাদেশের ইতিহাসের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস ২১৭ সাকিবের। তৃতীয় স্থানে সাবেক অধিনায়ক হাবিবুল বাশার সুমন। ৫০ টেস্টের ৯৯ ইনিংসে ৩ সেঞ্চুরিতে ৩০.৮৭ গড়ে ৩০২৬ রান তার। রোববার রাজিব গান্ধী স্টেডিয়ামে হাবিবুলকে ছাড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ মুশফিকের সামনে।

এদিন দল যখন বিপদে তখন সাকিবের (৮২) সাথে পঞ্চম উইকেটে ১০৭ রানের জুটি গড়ে ইনিংস মেরামত করেছেন মুশফিক। মাঝে দ্রুত দুই উইকেটের পতন। আবার শঙ্কার ফিরে আসা। সেখান থেকে মেহেদীর সাথে সপ্তম উইকেটে ৮৭ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়ে মুশফিকই দলের দিনের শেষটা স্বস্তির করে রেখেছেন। আর সেই পথেই শেষ বিকেলে পেয়েছেন টেস্টে ৩০০০ রানের পুরস্কার। অথচ ভুল রিভিউ, স্টাম্পিং মিস, দল পরিচালনার দুর্বলতার মতো কতো চাপ নিয়েই না ব্যাট হাতে নেমেছিলেন মুশফিক। কিন্তু সত্যিকারের যোদ্ধার মতোই এদিন মাঠ ছেড়েছেন পকেট ডায়নামাইট।