English Version
আপডেট : ৩০ ডিসেম্বর, ২০১৬ ১৫:২২

নিউজিল্যান্ডে জুমার খতিব মাহমুদউল্লাহ

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিউজিল্যান্ডে জুমার খতিব মাহমুদউল্লাহ

এবার শুধু বাংলাদেশ দল নয়; পুরো মসজিদের মুসল্লিদের ইমামতি করালেন মাহমুদউল্লাহ। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় এবং তৃতীয় ওয়ানডের আগে মাত্র একদিন বিরতি। তাও দিনটি শুক্রবার। বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটারদের অনেকেই নামাজ খুব কমই মিস করেন। জুমার নামজ তো মিস করার প্রশ্নই ওঠে না। সুতরাং, বাংলাদেশ দলের অধিকাংশ ক্রিকেটারই গেলেন স্থানীয় এক মসজিতে জুমার নামাজ পড়তে।

আশ্চার্যজনক ব্যাপার হলো ওই মসজিদে জুমার নামাজের ইমাম কাকতালীয়ভাবে অনুপস্থিত। পুরো মসজিদ জুড়ে গুঞ্জন শুরু হলো, তাহলে কে করবেন ইমামতি? পরে মসজিদ কমিটির সেক্রেটারি, বললেন, ‘আপনাদের মধ্য থেকে কী কেউ ইমামতি করতে পারবেন?’

এ কথা শুনে মাহমুদউল্লাহ বললেন, জুমার নামাজ পরিচালনার নিয়মকানুন আমার জানা আছে; তবে খুতবা কোথায় পাবো? তখন সমস্যার সমাধানে এগিয়ে এলেন তামিম ইকবাল। মাহমুদউল্লাহ এবং তামিম ইকবাল মিলে বসে গেলেন গুগলে খোঁজাখুঁজি করতে। মোবাইলে বসেই গুগল খুঁজে তারা দু’জন বের করে ফেললেন জুমার নামাজের দুই খুতবা এবং সেটা ডাউনলোডও করে ফেললেন।

এরপর মোবাইল হাতেই মেহরাবে দাঁড়িয়ে গেলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। মোবাইলে রেখেই আরবিতে দুই খুতবা পাঠ করলেন তিনি। 

সবশেষে নেলসনের স্থানীয় সময় দুপুর দেড়টায় জুমার নামাজের ইমামতি করলেন মাহমুদউল্লাহ। দারুণ দক্ষতায় খুতবাসহ পুরো জুমার নামাজ আদায় হলো বাংলাদেশ দলের অভিজ্ঞ এই অলরাউন্ডারের ইমামতিতে। 

বাংলাদেশ দলের টিম হোটেল ট্রেইলওয়েজের খুব কাছেই স্থানীয় মুসলিমদের জন্য নির্মিত মসজিদটিতে অবশ্য খুব বেশি মুসল্লি ছিলও না। বাংলাদেশ দলের ১৫ থেকে ১৬জন ক্রিকেটার, স্থানীয় প্রায় ১৮ থেকে ২০জন মুসল্লি উপস্থিত ছিলেন। 

ওই মসজিদে মহিলাদের জন্যও নামাজ আদায়ের ব্যবস্থা রয়েছে। জুমার নামাজের সময়ও উপস্থিত ছিলেন বেশ কয়েকজন নারী মুসল্লি। যখন নামাজের জন্য দাঁড়াচ্ছিল সবাই, তখন মাশরাফি বললেন, এই কেউ মোতাওয়াল্লির কাজটা করে দে। পাশের রুমে মহিলারা আছে। তখন এক প্রবাসী বাঙালি মোতাওয়াল্লির দায়িত্ব পালন করেন।

বাংলাদেশের ওয়ানডে দলের ইমরুল, সাব্বির, মোসাদ্দেক যাননি নামাজ পড়তে। আর ভিন্ন ধর্মের হওয়ার শুভাশিস রায় তো প্রশ্নই আসে না সেখানে যাওয়ার। বাকি সবাই ছিলেন জুমার নামাজে উপস্থিত।