English Version
আপডেট : ২৬ ডিসেম্বর, ২০১৬ ২২:৫৯

মাশরাফির দৃষ্টিতে প্রথম ওয়ানডে হারের কারণ

অনলাইন ডেস্ক
মাশরাফির দৃষ্টিতে প্রথম ওয়ানডে হারের কারণ

স্বাগতিকদের করা ৩৪২ রানের বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৮১ রানেই নেই প্রথম সারির চার ব্যাটসম্যান। এমন পরিস্থিতিতে দলের হাল ধরেন দলের সহ-অধিনায়ক সাকিব আল হাসান ও টেস্ট দলের অধিনায়ক মুশফিকুর রহীম। দারুণ সব শট খেলে দলের চাপ কমিয়ে আনছিলেন তারা। দলীয় ১৪৪ রানে সাকিবের বিদায়ের বদলে যায় পরিস্থিতি। 

এরপর মোসাদ্দেককে নিয়েও চেষ্টা করেছিলেন মুশফিক। তবে অনাকাঙ্ক্ষিত ইনজুরির কারণে বড় পরাজয়ের স্বাদ নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় তাদের।

তাই দিনশেষে টাইগারদের আক্ষেপ, ইশ! যদি তখন সাকিব আউট না হতো! ইশ যদি মুশফিক ইনজুরিতে না পড়তেন! আক্ষেপটা ঝরেছে বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজার কণ্ঠেও, ‘সাকিব শেষ পর্যন্ত থাকলে..., উইকেট ব্যাটিংয়ের জন্য যতটা সহজ ছিল, অন্যরকম কিছু হতে পারত। ওই সময় সাব্বিরও আউট হয়ে গেছে। দুই বিগ হিটার আউট হয়ে যাওয়ায় কাজটা কঠিন হয়ে যায়।’

সোমবার ক্রাইস্টচার্চে সাদামাটা বোলিং-ফিল্ডিংয়ের কারণে ৩৪২ রানের পাহাড়সম লক্ষ্যই পেয়েছিল বাংলাদেশ। শুরুতেই গুরুত্বপূর্ণ উইকেট হারিয়ে কোণঠাসা হয়ে সাকিব-মুশফিকের জুটিই স্বপ্ন দেখাচ্ছিল বাংলাদেশকে। ২৮তম ওভারের তৃতীয় বলে টপ এজ হয়ে সজঘরে ফেরেন সাকিব। অফস্ট্যাম্পের বাইরের বুকসমান উচ্চতার বলটি পুল করা খুবই কঠিন ছিল। আর এ কঠিন কাজটি করতে গিয়েই সর্বনাশ ডেকে আনেন সাকিব।

তবে সাকিবের বিদায়ের পর মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতকে নিয়ে আরও একবার স্বপ্ন দেখছিল বাংলাদেশ; কিন্তু এবার দুর্ভাগ্য বয়ে আনে মুশফিকের ইনজুরি। হ্যামস্ট্রিংয়ে টান লাগায় পরে আর ব্যাটিংই করতে পারেনি এ উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান। এ কারণেই ম্যাচে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেননি বলে মনে করেন মাশরাফি, ‘মুশফিক ও সৈকত (মোসাদ্দেক) যখন ছিল, এক পর্যায়ে ৮৪ বলে ১৪০ লাগত। টি-টোয়েন্টি ম্যাচের মত। তখন মুশফিকের চোট সমস্যা করল। না হলে হয়ত আমরা ৩০০-৩১০ পর্যন্ত গিয়ে তার পর কিছু করার চেষ্টা করতাম।’

তবে ব্যাটিং ব্যর্থতা আর দুর্ভাগ্যকে মেনে নিয়ে মাশরাফি দুষছেন নিজেদের বাজে ফিল্ডিং-বোলিংকে। বাড়তি কিছু রান দেওয়ার ফলেই ব্যাটসম্যানদের কাজটা কঠিন হয়ে যায় বলে মনে করেন মাশরাফি, ‘আমরা ওদের ৩০০-৩১০ রানে আটকে রাখতে পারলে ম্যাচটি অন্যরকম হতে পারত। ৮১ রানে ৪ উইকেট হারানোর পরও আমরা ২৬০ ছাড়াতে পেরেছি। সাকিব ও মুশি দারুণ ব্যাট করছিল, শেষে সৈকতও ভালো করেছে। ৩০০ রানে আটকে রাখতে পারলে একটা সম্ভাবনা ছিল।’