English Version
আপডেট : ৩০ মে, ২০১৬ ১৪:৪১

আনন্দের জোয়ারে মুস্তাফিজ

অনলাইন ডেস্ক
আনন্দের জোয়ারে মুস্তাফিজ

মুস্তাফিজুর রহমানের জন্য জয় ছিল ঐতিহাসিক মুহূর্ত। ক্রিকেটের কোনো প্রতিযোগিতায় প্রথম ফাইনাল আর তাতেই শিরোপা জয়, যেন আনন্দের জোয়ার। যদিও উদযাপন হচ্ছে ভারতের মাটিতে। যে দেশের বিপক্ষে বল হাতে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ঝড় তুলেছেনর মুস্তাফিজ। সেই ভারতের মাটিতেই চ্যাম্পিয়ন হয়ে স্টাম্প তুলে উচ্ছ্বাস করেছেন কাটার-মাস্টার।

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লীগের ফাইনালে তার দল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ ৮ রানে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুুরুকে হারিয়ে প্রথম শিরোপা জিতেছে। আইপিএলের উদীয়মান ক্রিকেটার হয়েছেন মুস্তাফিজ। ১৬ ম্যাচে নেন ১৭ উইকেট। আর এ নিয়ে তৃতীয়বার আইপিএলের ফাইনালে উঠলেও শিরোপা জিততে ব্যর্থ বিরাট কোহলির ব্যাঙ্গালুরু।

এবারের আইপিএলে ডেথ ওভারে দুর্দান্ত বোলিং করে হায়দরাবাদকে এনে দিয়েছিলেন অনেকগুলো জয়। রোববার (২৯ মে) ফাইনালেও শেষ চার ওভারে সানরাইজার্সের সমর্থকরা তাকিয়ে ছিলেন তার দিকে। জিততে হলে ২৪ বলে ৪৭ রানের প্রয়োজন বিরাট কোহলির ব্যাঙ্গালুরুর। আগের দুই ওভারে ১৬ রান দেওয়া মুস্তাফিজ এদিন নিজের তৃতীয় ওভারেই হায়দরাবাদকে ব্রেক থ্রো এনে দেন। বিপজ্জনক ব্যাটসম্যান শেন ওয়াটসনকে কাটারে প্রলুব্ধ করেন তিনি। ছয় মারতে গিয়ে বল আকাশে উড়িয়ে দেন ওয়াটসন। আর বলটি তালুবন্দি করতে ভুল করেননি ময়েস হেনরিকস।

আইপিএলের নবম আসরে শিরোপা জয়ের মিশনে রয়েল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুকে (আরসিবি) ২০৯ রানের টার্গেট দিয়েছে মুস্তাফিজুর রহমানের সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২০৮ রান সংগ্রহ করেছে দলটি। রোববার আইপিএলের ফাইনালে চেন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন হায়দরাবাদ দলপতি ওয়ার্নার। ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই ঝড় তোলেন ওয়ার্নার এবং শিখর ধাওয়ান।

৬.৪ ওভারে এই জুটি স্কোরবোর্ডে জমা করে ৬৩ রান। বিপদজ্জনক হয়ে ওঠা এই জুটি ভাঙেন চাহাল। ধাওয়ান ২৮ রানে চাহালের বলে ক্রিস জর্ডানের হাতে ধরা পড়েন। ধাওয়ানের বিদায়ের পর দ্রুতই সাজঘরে ফেরেন অজি অলরাউন্ডার ময়েজেস হেনরিকস। তিনি ৪ রান করে জর্ডানের শিকারে পরিণত হন। এরপর ব্যাটিংয়ে আসেন মারকুটে ব্যাটসম্যান যুবরাজ সিং। যুবিকে সঙ্গে নিয়ে ২৮ রানের পার্টনারশিপ গড়েন ওয়ার্নার। ওয়ার্নার ৩৮ বল খেলে ৩টি ছয় এবং ৮টি চারের সাহায্যে ৬৩ রান করে আরাভিন্দের বলে ইকবাল আব্দুল্লাহর তালুবন্দি হন। বরাবরের মতো ব্যাট হাতে আজও ব্যর্থ দীপক হুদা। ৬ বল খেলে মাত্র ৩ রান করে আরাভিন্দের বলে কোহলির হাতে ধরা পড়েন তিনি। ক্রমেই বিপদজ্জনক হয়ে ওঠা যুবরাজ সিংকে পরের ওভারেই সাজঘরে ফেরান জর্ডান।

যুবরাজ ২২ বলে ৩৮ রান করে ওয়াটসনের হাতে ক্যাচ দেন।শেষ দিকে বেন কাটিংয়ের ১৫ বলে ৩৯ রানের ঝড়ো ইনিংসে ২০৮ রানে শেষ হয় ওয়ার্নারদের ইনিংস। কাটিংয়ের ইনিংসে ছিল ৪টি ছয় এবং  ৩টি চারের মার।

আরসিবির হয়ে সবচেয়ে খরুচে বোলার ওয়াটসন। তিনি চার ওভার বল করে ৬১ রান দিয়ে উইকেট শূন্য থাকেন। তাছাড়া জর্ডানও ৪ ওভারে ৪৫ রান দিয়েছেন। তবে তিনি ৩টি উইকেট লাভ করেছেন। ম্যাচে হায়দরাবাদ দলে ফিরেছেন বিস্ময় বোলার মুস্তাফিজুর রহমান। ইনজুরির কারণে কোয়ালিফাইং ম্যাচে দলের বাইরে ছিলেন তিনি।