English Version
আপডেট : ২২ এপ্রিল, ২০১৬ ২০:৪২

টাওয়েল বয় থেকে জয়ের নায়ক জুবায়ের

অনলাইন ডেস্ক
টাওয়েল বয় থেকে জয়ের নায়ক জুবায়ের

ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগের প্রথম দিনে আবাহনী লিমিটেডের হয়ে কলাবাগান ক্রীড়া চক্রের ব্যাটিং লাইন আপ একাই গুড়িয়ে দিলেন লেগস্পিনার জুবায়ের হোসেন লিখন। ৯ দশমিক এক ওভার বল করে মাত্র ৩৪ রান খরচায় ৬ উইকেট নিয়েছেন এই লেগ স্পিনার। যার মধ্যে তিন তিনটা বোল্ড।

প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে দল পেলেও মূল একাদশে অনিয়মিত জায়গা হয় না। জাতীয় দলে ডাক পান, আবার বাইরে চলে যান। দল পাননি বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগেও (বিপিএল)। গতবারও ডিপিএলে আবাহনীতে পানির বোতল আর টাওয়েল টেনেছেন। জাতীয় দলের কোচও তার মধ্যে বারুদটা খুঁজে পেয়েছিলেন। কিন্তু লম্বা সময় ম্যাচ না খেলে নিজের ধার পরীক্ষা করার মতো অবস্থা ছিল না তার। অবশেষে সুযোগ পেয়েই সব কিছুর জবাবটা দিলেন জুবায়ের।

ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে তামিম ইকবালের দলের হয়ে প্রতিপক্ষের ছয়জন ব্যাটসম্যানকে সাজঘরে ফেরান এই স্পিনার। তাঁর বোলিং তোপেই মাত্র ৩৩ ওভার এক বলে ১৪০ রানে গুটিয়ে যায় মাশরাফি বিন মুর্তজার কলাবাগান। জবাবে ১২৯ বল হাতে রেখে কলাবাগান ক্রীড়া চক্রকে ৭ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে দেয় আবাহনী।

একে একে জুবায়ের ফিরিয়েছেন দলের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক জিম্বাবুয়ের ওপেনার হ্যামিল্টন মাসাকাদজা(৪১), মেহরাব হোসেন জুনিয়র (১০), শরিফুল্লাহ (০), তানভির হায়দার (৭), নিহাদুজ্জামান (৮) এবং আব্দুর রাজ্জাক (১২)।

৬ ম্যাচে ১৬ উইকেট নিয়ে টেস্ট দলে জায়গাটা কিছুটা শক্ত করে ফেলেছেন লিখন। অন্যদিকে তিনটি ওয়ানডে খেলে ঝুলিতে ভরেছেন ৪ উইকেট। সব মিলিয়ে ফতুল্লায় দিনটা ছিলো স্পিনারদের। জুবায়ের বাদেও বাঁ-হাতি স্পিনার সাকলাইন সজীব দুটি উইকেট পান। এর বাদে দুই পেসার তাসকিন আহমেদ ও আবুল হাসান রাজু পান একটি করে উইকেট।