English Version
আপডেট : ৬ মার্চ, ২০১৬ ১৮:৪২

হঠাৎ করেই এশিয়া কাপের উত্তাপে বৃষ্টি

নিজস্ব প্রতিবেদক
হঠাৎ করেই এশিয়া কাপের উত্তাপে বৃষ্টি
ইতিহাস গড়ার পথে বাংলাদেশ। এই ইতিহাস গড়তে আজ ভারতকে হারাতে হবে টাইগারদের। এশিয়া কাপের ফাইনালে ভারতকে হারাতে পারলেই নতুন ইতিহাসের সূর্ষে নাম লিখাবে বাংলাদেশ। প্রথমবারের মতো এশিয়া কাপের শিরোপা উঠবে বাংলাদেশের ঘরে। অাজ সন্ধ্যার এই ম্যাচ ঘিরে তাই উত্তাপে সমগ্র বাংলাদেশ।  কিন্তু হঠাৎ করেই সেই উত্তাপের মাঝে দেখা দিয়েছে বৃষ্টি-দমকা হাওয়া-বিদ্যুত চমাকনি।

আজ সন্ধ্যা ৬টার দিকে মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামের আকাশে ছিল ঘন কালো মেঘের ঘনঘটা। দু-এক ফোঁটা বৃষ্টিও হয়েছিল। বইছিল ভেজা বাতাসও। বৃষ্টির এমন আশঙ্কার মধ্যে ঢেকে ফেলা হয়েছিল পিচ।

স্বপ্ন পূরণে অবশ্য দৃঢ় আত্মবিশ্বাসী বাংলাদেশ। আর তাই এমন ভেজা আবহাওয়ার মধ্যেও মাঠের একপাশেই অনুশীলনে দেখা গেল বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটারদের। স্বপ্নের ফাইনালের আগে নিজেদের শেষ প্রস্তুতি সেরে নিতে ব্যস্ত ছিল মাশরাফিবাহিনী। তবে সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে সবাইকেই ছুটতে হয়েছে ড্রেসিংরুমে।

কেননা, এই সময় দমকা বাতাসহ শুর হয় বৃষ্টি। সঙ্গে দমকা হাওয়া। মেঘের গর্জন আর বিদ্যুতের চমকানি। সব মিলিয়ে শঙ্কায় পড়েছে বাংলাদেশ-ভারতের ফাইনাল ম্যাচটি।

এদিকে ২০১২ এশিয়া কাপে শিরোপার খুব কাছে গিয়েও স্বপ্নভঙ্গের বেদনায় পুড়েছিল বাংলাদেশ। ফাইনালে পাকিস্তানের বিপক্ষে ২ রানের সেই হারের পর সাকিব-মুশফিকদের কান্না কাঁদিয়েছিল গোটা দেশকেও। চার বছর পর সেই পাকিস্তানকে হারিয়েই বাংলাদেশ দ্বিতীয়বারের মতো এশিয়া কাপের ফাইনালে উঠেছে। সেই সঙ্গে ২০১২ সালের ফাইনালে হারের ক্ষতে দিয়েছে সান্ত্বনার প্রলেপ। এখন স্বপ্নের শিরোপা থেকে মাত্র এক কদম দূরে মাশরাফি বিন মুর্তজার দল।

টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে অনুষ্ঠানরত এবারের এশিয়া কাপে ভারতের কাছে হেরে টুর্নামেন্ট শুরু করেছিল বাংলাদেশ। এরপর ঘুরে দাঁড়ানোর গল্পটাও তো সবার জানা। সংযুক্ত আরব আমিরাত, শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানকে হারিয়ে স্বপ্নের ফাইনালে।

ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডে ক্রিকেটে বাংলাদেশের পাঁচটি জয় থাকলেও তিনটি টি-টোয়েন্টি খেলে হার সব কটিতেই। রোববার ফাইনালের আগে বাংলাদেশ অনুপ্রেরণা নিতে পারে তাই ওয়ানডে থেকেই। গত বছর তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ভারতকে ২-১-এ হারানোর স্মৃতিটা এখনো টাটকাই। ২০১২ সালে তো এই এশিয়া কাপেই ভারতকে উড়িয়ে দিয়েছিল বাংলাদেশ। মিরপুরে সেদিন শচীন টেন্ডুলকারের শততম আন্তর্জাতিক সেঞ্চুরি ম্লান হয়ে গিয়েছিল তামিম, সাকিব, নাসির, মুশফিকদের দারুণ ব্যাটিংয়ের কাছে।