English Version
আপডেট : ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ ১২:৪৩

আসন্ন বিশ্বকাপে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের বিরুদ্ধে আন্দোলন

অনলাইন ডেস্ক
আসন্ন বিশ্বকাপে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের বিরুদ্ধে আন্দোলন

 

রাজনৈতিক রেষারেষিতে ডিসেম্বরের দ্বিপাক্ষিক সিরিজ ভেস্তে গেছে। এখন প্রশ্ন উঠে গেছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের ভবিষ্যৎ নিয়েও। ওই ম্যাচটা যেখানে হওয়ার কথা ছিল, সেই হিমালয়ের ধর্মশালাতে এর মধ্যেই শুরু হয়ে গেছে আন্দোলন। দাবি উঠেছে, ম্যাচটি ধর্মশালা থেকে সরিয়ে দেওয়া হোক।

ভারত-পাকিস্তানের সর্বশেষ দ্বিপাক্ষিক সিরিজ হয়েছিল তিন বছর আগে। সেটি অবশ্য শুধু ওয়ানডে, সর্বশেষ টেস্ট সিরিজ আরও নয় বছর আগে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ অবশ্য দুই দলের দ্বৈরথের মঞ্চ সাজিয়ে দিয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত মঞ্চটা ভেস্তে যাবে কি না, এখন সেই প্রশ্নই উঠে গেছে। পাকিস্তান যে ভারতে আসবে, সেটাই এখনো অনিশ্চিত। পাকিস্তান সরকার এখনো দলকে ভারতে খেলার ছাড়পত্র দেয়নি। পাকিস্তান সরকার পাল্টা জবাব হিসেবে দলকে ভারতে বিশ্বকাপ খেলতে দিতে দেয় কি না, এ নিয়ে একটা সংশয় দেখা দিয়েছে। এরই মধ্যে ধর্মশালায় ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ আয়োজনের বিরুদ্ধেই হয়ে গেল প্রতিবাদ। ধর্মশালা থেকে ম্যাচ সরিয়ে দেওয়ার দাবি যখন উঠেছে, সেই অনুমতি পাওয়াটা এখন বোধ হয় আরও কঠিনই হয়ে গেল। পাকিস্তান সরকারও কারণ দেখাতে পারে, ভারতে তাদের খেলোয়াড়দের নিরাপত্তা নিয়ে ঝুঁকি আছে। গত বেশ কিছু দিন ধরেই সীমান্তে দুই দেশের সংঘর্ষ চরমে পৌঁছেছে। হিমাচলেরই পাঠানকোট ঘাঁটিতে পাকিস্তান বিমানবাহিনীর হামলায় কয়েক দিন আগে দুই ভারতীয় জওয়ান নিহত হয়েছেন। এখন হিমাচল প্রদেশের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের সংগঠনের প্রধান বিজয় সিং মানকোটিয়া দাবি করেছেন, ম্যাচটা ধর্মশালা থেকে সরিয়ে দেওয়া হোক। তাঁর স্পষ্ট কথা, টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট আর সহিংসতা পাশাপাশি চলতে পারে না।’ গত কয়েক দিনের সংঘাতটাও মনে করিয়ে দিয়েছেন, ‘বিসিসিআইকে অবশ্যই শহীদ ও অন্যান্য দেশপ্রেমিকদের পরিবারের অনুভূতির প্রতি সম্মান জানাতে হবে।

মানকোটিয়ার মতে, ম্যাচটা আয়োজন করা মানে শহীদদের প্রতি অবজ্ঞাই প্রকাশ করা, ‘টি-টোয়েন্টি ম্যাচটা আয়োজন করলে সেটা হবে শহীদদের স্মৃতির প্রতি একটা অপমান। দেশের জন্য যাঁরা নিজেদের উৎসর্গ করেছেন, তাঁদেরও ছোট করে দেখা হবে। আমরা আশা করব, বিসিসিআই এমন কিছু করবে না যাতে দেশপ্রেমের পরীক্ষায় তারা ব্যর্থ হবে।’ দুই দলের ম্যাচটা হওয়ার কথা ১৯ মার্চ। তবে পাকিস্তান দল ভারতে আসার অনুমতি আদৌ পাবে কি না সেটা জানা যাবে এই সপ্তাহের মধ্যে। এর আগে পিসিবি নিরপেক্ষ ভেন্যুতে ম্যাচটা খেলার প্রস্তাব দিয়েছিল।